
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পেছনে এখনো সক্রিয় রয়েছে আওয়ামী লীগের গোপন কর্মীরা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বারবার দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং ধর্মীয় স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের মতো সাজানো ঘটনা ঘটিয়েছে।
বুধবার বিজয়া দশমী এবং শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন ফখরুল। তাঁর এই শুভেচ্ছা বাণীটি প্রকাশ করা হয় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী। এ উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
বিএনপি মহাসচিবের মতে, দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি হিন্দু সমাজে এক বিশিষ্ট আলোকময় স্থান দখল করে আছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই উৎসব হয়ে উঠেছে ঐশ্বর্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক। তিনি বলেন, ‘দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক। পৃথিবীতে অঞ্চলভেদে যে কোনো উৎসবই মানুষের মধ্যে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা নিয়ে আসে।’
ফখরুল বলেন, উৎসব কোনো বিভাজনের জায়গা নয়, বরং এটি মানুষের মিলনমেলা। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধর্মীয় স্বাধীনতার চেতনায় গড়া, যেখানে সব ধর্মবিশ্বাসীর জন্য রয়েছে মর্যাদা ও সহাবস্থান। তাঁর ভাষায়, দুর্গাপূজার মূল শিক্ষা হলো, ‘অশুভের ওপর শুভের জয়। দুর্গা তার গৌরবময় লক্ষ্য অর্জনের জন্য মন্দকে উপলব্ধি করেন, তা প্রতিহত করেন।’
বিএনপি নেতার দাবি, সরকার পরিবর্তিত হলেও ক্ষমতার আড়ালে থাকা আওয়ামী লীগের অনুগত গোষ্ঠী এখনো নেপথ্যে থেকে নানা ধরনের উসকানিমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।