
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে কোনো তাড়াহুড়ো নেই বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের অযৌক্তিক শর্তগুলো আলোচনার পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—সরাসরি আলোচনা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ, ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে সীমাবদ্ধতা, এবং ইরানের আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করা।
আরাগচি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমতার ভিত্তিতে কথা বলতে চায়, তবে ইরান পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।” তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, “ওদের দেওয়া শর্তগুলো অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য। তারা যেমন তাড়াহুড়ো করছে না, আমরাও তেমন তাড়াহুড়ো করছি না।”
আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের পুনর্বহাল করা নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও তেহরান তাদের দৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে আরাগচি বলেন, “বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি ইসরায়েলের বিপক্ষে মোড় নিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি মাঝে মাঝে আমার সহকর্মীদের বলি, নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধী হলেও একটি কাজ ভালো করেছেন—তিনি পুরো অঞ্চলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ইসরায়েলই মূল শত্রু, ইরান নয়, আর কোনো দেশও নয়।”
আরাগচির এই মন্তব্য এসেছে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদির বক্তব্যের পর। বদর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার চরমপন্থী সরকারকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন।
বদর বলেন, “আমরা বহুদিন ধরেই জানি, ইসরায়েলই এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস, ইরান নয়।” তিনি আরও যোগ করেন, “গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) বহু বছর ধরে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে, এখন সময় এসেছে সেই নীতি পরিবর্তনের।”