
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন আসলে একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করবে। তার ভাষায়, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, একটি ইসলামী দল পিআর-এর জন্য তুমুল আন্দোলনের কথা বলেছে। এটা একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান, যা কারও জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না। পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি কারও জন্য মঙ্গল হবে না। বরং এতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনাকে স্মরণ করে তিনি আরও যোগ করেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের সময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের রক্ত নিয়ে তামাশা করেছিল শেখ হাসিনা। অপপ্রচার, গণহত্যা দিয়ে মুসলমানদের দমন করা যাবে না।
এদিন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মাওলানা ফারুকীর প্রতি সহমর্মিতা ও শুভকামনা পৌঁছে দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, রুবেল আমিন ও শাহাদত হোসেন।
এছাড়া হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হেদায়েতউল্লাহ কাসেমী, মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা সালেহ আহমদ আজম ও মুফতি এনায়েত উল্লাহ।