
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সংঘটিত গুলির ঘটনায় মৃত ব্যক্তি এবং হামলায় জড়িতদের কেউই বিএনপির সদস্য না বলে দাবি করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে এই দাবি জানান তিনি। রিজভী ঘটনাটিকে ঘিরে প্রশাসনের রয়শৈলতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানান।
রিজভী বলেন, “রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় মো. আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হন। এই সহিংস ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির একটি বড় ধরনের নজির। এই রক্তাক্ত ঘটনা ওই এলাকার জনমনে উদ্বেগ ও ভীতির সঞ্চার করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, চারিদিকে অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা ও হতাশা বিরাজমান, যা এই বর্তমান সরকারের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশা করে না। জনপ্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দুস্কৃতিকারীরা অপকর্মে মেতে উঠেছে। সমাজের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়, সেই কারণে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। জনগণ এই অরাজক পরিস্থিতির দ্রুত অবসান দেখতে চায়।
রিজভী আরও বলেন, “উল্লিখিত সহিংস ঘটনা সম্পূর্ণরূপে সমাজবিরোধী কিছু দুর্বৃত্ত চক্রের পরিকল্পিত হিংস্র কর্মকাণ্ড। এর সঙ্গে রাজনীতি বা বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। নিহত ব্যক্তি ও দুষ্কৃতকারীদের কেউই বিএনপির নেতাকর্মী নন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কয়েকটি গণমাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন”।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শেষ করেন সেই আবেদন জানিয়ে, “বিএনপি রাউজানের সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে এলাকায় আধিপত্যকামী দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।”