
রাজধানীর শ্যামলীতে চাপাতির ভয় দেখিয়ে শিমিয়ন ত্রিপুরা (৩০) নামে এক যুবকের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় কবির (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক।
তিনি জানান, শ্যামলীতে এক যুবক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেলে তিন যুবক আসে। এসময় তারা তাকে চাপাতি দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, জুতা ও পরণে থাকা টি-শার্ট খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশের নজরে আসে। ছিনতাইয়ের সেই ঘটনায় মোটরসাইকেলসহ কবির নামে একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত, তাদের সবাইকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে শ্যামলী ২ নম্বর রোডে অবস্থিত কাজী অফিসের দিক থেকে ছাতা হাতে এক ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এসময় তার পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে আসতে দেখা যায় তিনজনকে। ভুক্তভোগীর কাছে এসে মোটরসাইকেলের পেছনের ব্যক্তি নেমে পড়েন। বাকি দুজন মোটরসাইকেলটি ইউটার্ন নিয়ে ভুক্তভোগীর সামনে এসে দাঁড়ান। এসময় চালকের পেছনে থাকা অন্য ছিনতাইকারীও নেমে পড়েন। অভিযুক্ত তিন ছিনতাইকারীর মধ্যে দুজনকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এবং একজনকে খালি গায়ে দেখা গেছে।
পরে দুই ছিনতাইকারীরা ভুক্তভোগীর কাছে থাকা টাকাসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেন। এসময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখানো হয় এবং তার জামা ও জুতা খুলে নিতেও দেখা যায়। ছিনতাই শেষে মোটরসাইকেলে চেপে তিন ছিনতাইকারীকে আবার কাজী অফিসের দিকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মামলায় ভুক্তভোগী শিমিয়ন ত্রিপুরা উল্লেখ করেন, তিনি ধামরাইয়ে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, থাকেন শ্যামলীতে। ওইদিন সকাল ছয়টায় সাভারের উদ্দেশে তিনি শ্যামলীর বাসা থেকে রওনা হন।
তিনি যখন শ্যামলীর মেরি গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পূর্ব পাশে আসেন, তখন পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে থামে। মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসা তিনজন চাপাতির ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়।