
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ (ডিওএল) এইচ-১বি ভিসার সম্ভাব্য অপব্যবহার রোধে ব্যাপক তদন্ত অভিযান শুরু করেছে। ‘প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল’ নামে পরিচিত এই উদ্যোগের আওতায় ইতিমধ্যেই ১৭৫টি পৃথক তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই অভিযান প্রমাণ করছে, বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগ দেওয়া কোম্পানিগুলোর ওপর দেশটি আরও কঠোর নজরদারি চালাতে যাচ্ছে। বিশেষভাবে নজরদারিতে থাকবে ভারতীয় প্রযুক্তি ও আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো। তদন্তে বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয় উঠে এসেছে।
অন্যতম উদ্বেগের মধ্যে একটি হলো, কিছু উচ্চশিক্ষিত বিদেশি কর্মীর বেতন কাজের বর্ণনায় উল্লেখ করা পরিমাণের তুলনায় অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থা ভিসাধারী বিদেশি কর্মী ও মার্কিন নাগরিক উভয়ের বেতন হ্রাসের কারণ হয়েছে। এর ফলে একই শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন আমেরিকান কর্মীরাও কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তদন্তে দেখা গেছে, কিছু নিয়োগকর্তা এইচ-১বি ভিসাধারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করলে তা ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসকে অবিলম্বে জানাতেন না বা জানাতে দেরি করতেন।
আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হলো লেবার কন্ডিশন অ্যাপ্লিকেশন (এলসিএ) ফর্ম। এটি নিয়োগকর্তাদের এইচ-১বি, এইচ-১বি ১ ও ই-৩ ভিসা প্রগ্রামে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আগে লেবার ডিপার্টমেন্টে জমা দিতে হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এলসিএ ফাইল করার সময় নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই আমেরিকান কর্মীদের জানাতে হয় যে তারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে চলেছে।