
কোনো আসনের কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিলে, সেই আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সিইসি জানান, এই সংলাপ শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য নয়, বরং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে আরপিও সংশোধন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আইনে পোস্টাল ব্যালটের বিধান থাকলেও আগে এর বাস্তবায়ন হয়নি জানিয়ে সিইসি বলেন, বর্তমান কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে।
সিইসি আরও উল্লেখ করেন, আগে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা অনেকেই ভোট দিতে পারতেন না। তবে এবার থেকে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এ ধরনের ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ বলেও তিনি জানান।
সংলাপে অংশ নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণই ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও নারী সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।