
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
আগামী বুধবার (২৭ আগস্ট) কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দিতে হবে। এরপর অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জাগো নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। তিনি বলেন, আমরা কোনো ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। সবাই স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা একটি কমিটি গঠন করব এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার বিদ্যালয়ের বসুন্ধরা শাখার ষষ্ঠ শ্রেণিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরায় ক্লাস থেকে বের করার অভিযোগ ওঠে ফজিলাতুন নাহার নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিভাবক ও শিক্ষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, রোববার সকালেই ২০-২২ জন শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাসে উপস্থিত হয়। দিনের প্রথম সব ক্লাসে শিক্ষকদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু শেষ পিরিয়ডের ইংরেজি ক্লাসে ফজিলাতুন নাহার শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, এই সময় তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববারও সন্তানরা হিজাব পরে ক্লাসে গিয়েছিল। কিন্তু পরে বাসায় এসে জানায়, হিজাবের কারণে তাদের ক্লাস থেকে বের করা হয়েছে এবং ‘মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মতো কেন হিজাব পরে এসেছে’ বলে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার সাংবাদিকদের জানান, আমাদের স্কুলের একটি ড্রেস কোড আছে। কেউ পর্দা করতে চাইলে সাদা স্কার্ফ ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী ওড়না ব্যবহার করেছে। এজন্য তাদের ক্লাস থেকে বের করা হয়েছে।