
রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত হোসেন জানান, তিনি হাসপাতালের ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ দেখেন, একজন ব্যক্তি দৌড়ে হাসপাতালের দিকে আসছেন। এরপর পেছন থেকে দু’জন মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “প্রথম গুলি হাসপাতালের ওপরের দিকে ছোড়া হয়, যা তিনতলার কাচে লেগেছে। পরে ছয় থেকে সাতটি গুলি ছোড়া হয়। এক গুলি ওই ব্যক্তির বুকের ডান পাশে লাগে, আর হাতেও গুলি লাগে। গুলি চালানো দু’জনের মুখে মাস্ক ছিল এবং তারা লাল-কালো রঙের একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তারিক সাইফ মামুন (৫৫) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকার এস এম ইকবালের ছেলে। এক সময়ে তিনি সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সাইফ মামুনের সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলছিল।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ সাইফ মামুন দৌড়ে হাসপাতালের ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। পেছন থেকে দু’জন বন্দুকধারী তাকে লক্ষ্য করে সাতটি গুলি ছোড়েন, যার মধ্যে তিনটি তার শরীরে লাগে।
হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শুনে হাসপাতালে উপস্থিতরা সাইফ মামুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।