উপদেষ্টা নিয়োগে প্রথম ছাত্র কোটার প্রয়োগ হয়েছে: বিন ইয়ামিন


March25 Naeem/molla.jpg

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শেষে ৫ আগস্টের পর সর্বপ্রথম উপদেষ্টা নিয়োগে ছাত্র প্রতিনিধি কোটার প্রয়োগ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্যা।

সোমবার (৩ মার্চ) বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ‘কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সু-চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে’ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিন ইয়ামিন বলেন, ছাত্রকোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে বলা হয়— ওনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি। পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল—  সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিত প্লাটফর্ম। সেখান থেকে সব ছাত্র সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। পরে চালু করা হয় সমন্বয়ক কোটা। এর পরে আরেকটি কোটা চালু করা হয়, সেটি হলো বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি কোটা।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে কোনও প্রোগ্রাম কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না। যারা এই কাজ গুলো করেছে তারাই এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতা।

‘আমরা এখন দেখছি, সমন্বয়ক কোটায় কীভাবে বড় বড় জায়গায় চলে যাওয়া যায়। মোংলায় কর্মচারীদের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া যায়। চাঁদাবাজির কথাও শোনা যায়।’

বিন ইয়ামিন মোল্যা বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। আমাদের জুলাইয়ের যে চেতনা তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক অবস্থানে গিয়ে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক ছানাউল্লাহ হক বলেন, কোটাকে কবর দেওয়ার মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য আবার কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই না আপনারা একই খেলা খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে তিদনটি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্যা। তাদের দাবি গুলো হলো—

১. বৈষম্যমূলক কোটা অনতিবিলম্বে বাতিল করা।

২. ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

৩. শহীদ পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৫০ লাখ টাকা এককালীন প্রদান করা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাবি সংসদের সদস্য সচিব রাকিবুল হাসানসহ বিভিন্ন শাখার নেতারা।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×