আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৩৮ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সংগঠনটি আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীক দ্রুত নিষিদ্ধের দাবি জানায়। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশ করে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে ও সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। জুমার নামাজের পর তারা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল শুরু করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে মিছিল করে শিক্ষার্থীদের একটি দল।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি হবে না। আওয়ামী লীগ নামে কোনো সংস্কার হবে না। বাংলাদেশকে আমরা আরও একটি গণহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। নামে-বেনামে আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেটা যেখান থেকেই হোক, এর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, আমরা আগস্টে যেভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনও তেমনই আছি। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, ততদিন আমরা মাঠে থাকব।
রাজু ভাস্কর্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আড়াই তিন বছর বিএনপি ক্ষমতায় থাকবে। এরপর আওয়ামী লীগ ভারত ও ইসরায়েলকে সঙ্গে নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করবে তিন বছরের মাথায় বিএনপিকে লাথি মেরে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে দুই হাজার শহিদের বাবা-মা, ভাইবোনদের কচুকাটা করবে। ৫০ হাজার আহতদের প্রত্যেককে ধরে ধরে কচুকাটা করবে। তাই শহিদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের বাঁচাতে রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে দেব না।
সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে সমাবেশে শিক্ষার্থী শাহেদ ইমন বলেন, দুই হাজার শহিদ ভাইয়ের লাল রক্তে জুলাইয়ে কোটি জনতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। আমরা বলে দিচ্ছি, আমরা জান দেব, জুলাই দেব না। শহিদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। এই বাংলার মাটিতে যতক্ষণ লীগ নামক শব্দ থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।