চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণ
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৩৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে বিঝু উৎসব শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমা, চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালকও অপহৃত হয়েছেন, তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানা যায়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়। তারা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহৃতদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
অপহরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পাহাড়ি আঞ্চলিক কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা জানান, শিক্ষার্থীরা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় তারা কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। সেখান থেকে বুধবার সকালে তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। পিসিপি দাবি করেছে, ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর হাত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।’