.png)
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই দাবিকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু ভিসি আসে, ভিসি যায়—শিক্ষার্থীদের এই দাবি যেন সব সময়ই উপেক্ষিত থাকে। সর্বশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমের কাছে যে দাবিগুলো পেশ করা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথম ও দীর্ঘমেয়াদি দাবি ছিল ক্যাম্পাসের আয়তন ৩০০ একরে উন্নীত করা। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও জমি অধিগ্রহণে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, প্রশাসন বারবার মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির দোহাই দেয়। কিন্তু আমরা দেখি, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে হাজার কোটি টাকার বাজেট পায়, সেখানে ববি থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত। এর মূল কারণ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত সেপ্টেম্বরে তারা তিন দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়েছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল জমি অধিগ্রহণ। প্রশাসন তখন আশ্বাস দিয়েছিল যে দাবি পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে, কিন্তু বাস্তবে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জিসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ই ৩০০ একর জমিতে ক্যাম্পাস বিস্তারের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজও আমরা মাত্র ৫৩ একর জমিতে সীমাবদ্ধ। চারপাশে পর্যাপ্ত খালি জমি থাকা সত্ত্বেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবার ভিসি এসে আশ্বাস দিয়ে চলে যান, কিন্তু আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না।”
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তামিজুল কবির বলেন, “তিন দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলনের অন্যতম বিষয় ছিল জমি অধিগ্রহণ। নতুন ভিসির কাছে পেশ করা দীর্ঘমেয়াদি দাবিগুলোর মধ্যে এটিই ছিল প্রথম দাবি। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাইনি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে।”
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম জানান, “আমি এসেছি মাত্র পাঁচ মাস হয়েছে। আগের প্রশাসনের কিছু কাজ ইনভ্যালিড হওয়ায় আমাকে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। জমি অধিগ্রহণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তবে অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে।”