
শেখ হাসিনা হলের নাম জুলাই-৩৬, বঙ্গবন্ধু হলের নাম শাহ আজিজুর
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা চারটি হল ও একটি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (০৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হল’ করা হয়েছে। শেখ রাসেল হলের নাম ‘শহীদ আনাছ হল’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ‘শাহ আজিজুর রহমান হল’, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম ‘উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হল’ এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের নাম ‘ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন’ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৭তম (সাধারণ) সভায় নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভার ৬ নম্বর প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের অনুলিপি ডিনসহ সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।

তিন দাবি দিয়ে অবরোধ তুলে নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
রাষ্ট্র পুনর্গঠন কাঠামোতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ এবং ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রাজশাহীতে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে তিন দফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা এবং দাবি উত্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব। তাদের দাবিগুলো হলো রাবি, জাবি, চবি, জবি, সাত কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ বাংলাদেশের সব স্টেকের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; সংস্কার কমিশন, পিএসসি, ইউজিসিসহ রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো পুনঃর্গঠন করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। এর আগে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘ঢাবি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘অবৈধ সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবি না রাবি, রাবি রাবি’, ‘ঢাবি না খুবি, খুবি খুবি’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘ঢাকা না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে দেশের প্রতিটি প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয়, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের একটা দুর্গ গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সেই একক আধিপত্যবাদের ব্যাপারটা আবার চলে এসেছে। ইউজিসি-পিএসসিতে সদস্য, সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, এমনকি উপদেষ্টামন্ডলী- সবকিছুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনে দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত ঝরেছে, তাহলে সুবিধা কেন একটি প্রতিষ্ঠান পাবে?’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নবীন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবীন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি পালন শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে চবির জিরো পয়েন্টে বুথ স্থাপন করে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার নেতৃবৃন্দ। সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে চবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহশিন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন। সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে লড়ে যাওয়া দেশের অন্যতম বড় সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সুষ্ঠু নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মানে সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের পর স্বাধীন ক্যাম্পাসে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, নবীন সদস্য যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সব শিক্ষার্থী বান্ধব কার্যক্রম তরান্বিত হবে। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আজকের এই সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি যা কয়েক দিন চলমান থাকবে।’ এ সময় নবীন সদস্যদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে চবি শাখার সদস্য কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়। যেখানে চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহশিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন উর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রেজিস্ট্রার পদ নিয়ে ইবির ভিসি কার্যালয়ে হট্টগোল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হট্টগোল হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, উপ-উপাচার্য ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ বিএনপিপন্থি এক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষকদের মধ্যে থেকে রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে হট্টগোলের সময় সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে গেলে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে বাধা দেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলীসহ বেশ কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ সময় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অপসারণ দাবিতে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। তাদের দাবির মুখে এক পর্যায়ে প্রশাসন পরিকল্পনা পরিচালক ড. নওয়াব আলীকে (আওয়ামীপন্থি) সভাকক্ষ থেকে বের করে দিতে বাধ্য হয়। স্থগিত করা হয় সভা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এয়াকুব আলী, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ফারুকুজ্জান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুনের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্য কার্যালয়ে ঢোকেন। এ সময় সাংবাদিকরা সেখানে প্রবেশ করলে ছাত্রদল নেতা সাহেদ, মিথুনসহ অন্যরা তাদের বের করে দেন। এক পর্যায়ে হঠাৎ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বাধা দেন। পরে তাদের উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে সমন্বয়ক এস এম সুইট ও ছাত্রদল নেতা সাহেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে উপ-উপাচার্য এয়াকুব আলী প্রক্টর অধ্যাপক শাহিনুজ্জামানকে ‘জামায়াত’ আখ্যা দিলে দু’জনের মধ্যে সৃষ্টি হয় বাগ্বিতণ্ডা । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুইট বলেন, আগে দেখতাম ছাত্রলীগ পদ ভাগাভাগি নিয়ে হট্টগোল, প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করত। এখন ছাত্রদল একই পথে হাঁটছে। ভিসি কার্যালয়ে হট্টগোলের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা ভিসিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার ওয়ালিদ হাসান পিকুলকে রেজিস্ট্রার বানানোর জন্য প্রো-ভিসি, ছাত্রদল নেতা সাহেদ, মিথুন উঠে পড়ে লেগেছেন। আমরা চাই জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের যোগ্য একজন ব্যক্তিকে রেজিস্ট্রার বানানো হোক। আর সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজ দলের কর্মীদের চেয়েও খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের এমন আচরণের দায় ছাত্রদল নেবে না। উপ-উপাচার্য এয়াকুব আলী বলেন, ভিসি কার্যালয়ে এক জুনিয়র শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। উপাচার্য এর বিচার না করলে আমি বিষয়টি অন্যভাবে দেখব। উপাচার্য অধ্যাপক নকীব বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, সেহেতু আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব।

রাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের ‘পৃষ্ঠপোষকের’ নিয়োগের পেছনে প্রভাব খাটানো হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জনসংযোগ দপ্তরে অনুসন্ধান কাম তথ্য কর্মকর্তা পদে অ্যাডহকভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ‘পৃষ্ঠপোষক’ রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ রাজন গত সোমবার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে তার নিয়োগের পেছনে ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক প্রভাব খাটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা বলছেন, স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল শাহরিয়ার শুভ, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সিকদার ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শামিন ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বাক্য পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন। লিখিত বক্তব্যে রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে একত্রিত হয়েছি। রাশেদুল ইসলাম রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পৃষ্ঠপোষক। তিনি স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক। সবার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, মেহেদী সজীব, ফাহিম রেজাসহ স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের আরও কয়েকজন সদস্য রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলে আছেন। আমাদের ধারণা, অতীতের আওয়ামী লীগের মতো মেহেদী সজীব, ফাহিম রেজাসহ কতিপয় সমন্বয়করা নিজেদের প্রভাব খাটিয়েছে এবং এই নিয়োগের পেছনে তারা জড়িত থাকতে পারে। স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।’ উপ-উপাচার্য নিয়োগসহ একাধিক নিয়োগে সমন্বয়কদের প্রভাব রয়েছে দাবি করে রাকিব হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন সমন্বয়কের মধ্যে ১২ জন সম্মত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নিয়োগে কলকাঠি নেড়েছে। আমাদের আশঙ্কা, উপ-উপাচার্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে জিম্মি করে রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয়কদের এই অংশটি শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়া নয় আরও অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করছে। অতীতে জনসংযোগ দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসকও সমন্বয়ক মেহেদী সজীবের বিভাগের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক। তাছাড়া বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রেও তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। অবিলম্বে রাশেদুল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি রাশেদুল ইসলামের একাডেমিক ফলাফল এবং সামগ্রিক বিষয়ে উপাচার্য অবগত নয়। এই নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হওয়ায় তারা নিয়োগ দেওয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। অতিদ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং অনতিবিলম্বে রাশেদুলের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। ছাত্র সংগঠনগুলোর সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকারের জায়গা থেকে ছাত্ররা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কথা বলেছে। তবে আমি মনে করি না প্রশাসনের দিক থেকে কোথাও এতটুকু বিচ্যুতি আছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সব নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অ্যাডহক কমন একটা বিষয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একশ বা তারও বেশি অ্যাডহক নিয়োগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছে। এ জায়গা থেকেই আমরা যখন জরুরি প্রয়োজন মনে করেছি, তখন ছয় মাসের জন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

শপিং ব্যাগে দা নিয়ে সনদ তুলতে এসে চবির শিক্ষার্থী আটক
ভর্তির সময় জমা রাখা সনদ তুলতে নিজের বিভাগে এসে দাসহ আটক হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে থেকে হৃদয় নাথ নামের ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি আটক করে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী। আটকের পর তাকে হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বজলুর রহমান বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তির পর অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন। শিক্ষাজীবনে তার বিরতিও (ড্রপ) আছে।’ ‘সোমবার সে এইচএসসির সনদ তোলার জন্য বিভাগের অফিস কক্ষে যায় এবং সেখানকার কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এ সময় শিক্ষকরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও নিবৃত্ত করতে পারেনি। বিভাগের সভাপতির কক্ষের বাইরে সে একটি শপিং ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করছিল যাতে একটি দা ছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীদের খবর দিই এবং তাকে কৌশলে আটক করে নিরাপত্তা বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ বজলুর রহমান বলেন, ‘বিভাগে তার এইচএসসির সনদ ছিল না। তারপরও সে কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। সে বিভিন্ন সময়ে অসংলগ্ন কথা বলছিল। মনে হয়েছে মানসিক কোনো সমস্যার মধ্য দিয়ে সে যাচ্ছে।’

উপদেষ্টা নিয়োগে প্রথম ছাত্র কোটার প্রয়োগ হয়েছে: বিন ইয়ামিন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শেষে ৫ আগস্টের পর সর্বপ্রথম উপদেষ্টা নিয়োগে ছাত্র প্রতিনিধি কোটার প্রয়োগ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্যা। সোমবার (৩ মার্চ) বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ‘কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সু-চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে’ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিন ইয়ামিন বলেন, ছাত্রকোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে বলা হয়— ওনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি। পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল— সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিত প্লাটফর্ম। সেখান থেকে সব ছাত্র সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। পরে চালু করা হয় সমন্বয়ক কোটা। এর পরে আরেকটি কোটা চালু করা হয়, সেটি হলো বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি কোটা। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে কোনও প্রোগ্রাম কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না। যারা এই কাজ গুলো করেছে তারাই এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতা। ‘আমরা এখন দেখছি, সমন্বয়ক কোটায় কীভাবে বড় বড় জায়গায় চলে যাওয়া যায়। মোংলায় কর্মচারীদের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া যায়। চাঁদাবাজির কথাও শোনা যায়।’ বিন ইয়ামিন মোল্যা বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। আমাদের জুলাইয়ের যে চেতনা তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক অবস্থানে গিয়ে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক ছানাউল্লাহ হক বলেন, কোটাকে কবর দেওয়ার মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য আবার কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই না আপনারা একই খেলা খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে তিদনটি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্যা। তাদের দাবি গুলো হলো— ১. বৈষম্যমূলক কোটা অনতিবিলম্বে বাতিল করা। ২. ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। ৩. শহীদ পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৫০ লাখ টাকা এককালীন প্রদান করা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাবি সংসদের সদস্য সচিব রাকিবুল হাসানসহ বিভিন্ন শাখার নেতারা।

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে। আজ রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটক শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আপ্যায়ন-বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও সাদ্দাম হোসেন হল ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা মারুফ আহমেদ। জানা যায়, সমাজকল্যাণ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হলে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই নেতাও পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই অন্য শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা অনুষদ ভবনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ জানান। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের নেতারা উপস্থিত হয়ে তাদের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে রক্ষা করে থানায় সোপর্দ করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আটক নাঈম ও মারুফ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেন। তারও আগে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। আন্দোলনে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। আজকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘বিভাগের শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আটক দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ওখানে একটা মব তৈরি হয়েছিল, প্রায় ৭০-৮০ জন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সেখানে সমবেত হয়েছিল। যেহেতু তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, তাই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ইতোমধ্যেই কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

ছাত্রদল-শিবির-বামপন্থীসহ ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে পরিচিতি সভা করল ছাত্রসংসদ
জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ শনিবার পরিচিতি সভা করেছে। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ বা বিরাজনীতিকরণ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় ও দেশের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতি থাকতে হবে। তারা ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং ডাকসু নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে এই পরিচিতি সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সভায় ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মানসুরা আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ঢাবি ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, ছাত্রফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের খালেদ সাইফুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বক্তব্য দেন। ছাত্রদলের মানসুরা আলম বলেন, ছাত্রসংসদের নেতারা ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার রাজত্বের অবসানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরাও (ছাত্রদল) একই সঙ্গে মাঠে ছিলাম। ক্যাম্পাসে সকল ক্রিয়াশীল সংগঠনকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে। ছাত্রশিবিরের মহিউদ্দীন খান বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে দীর্ঘসময় রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল না। সহাবস্থান রাখতে হবে। তিনি আশা করেন ছাত্রসংসদের নেতারা যেভাবে জুলাইয়ে অবদান রেখেছেন, আগামী দিনে ক্যাম্পাসে এবং দেশ বিনির্মাণে তারা একইভাবে কাজ করবেন। ছাত্রইউনিয়ন মেঘমল্লার বসু বলেন, ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরণ কোনো সমাধান নয়। অতীতে অনেকে বিরাজনীতির কথা বলেছেন। এটি সঠিক পথ হতে পারে না।ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইয়াসিন আরাফাত বলেন, একাত্তরকে আওয়ামী লীগ এককেন্দ্রিক করে তুলেছিল। জুলাই যাতে একদলের কেন্দ্রীভূত বিষয় না হয়। বাস্তবতা মেনে রাজনীতি করতে হবে।সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলাই হলো ছাত্ররাজনীতি। দখলদারিত্ব-সন্ত্রাসের রাজনীতি আমরা চাই না। বিরাজনীতি সমাধান নয়, সমাধান হলো- আমরা একটি আদর্শভিত্তিক রাজনীতি চাই, যে রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিত হবে, যে রাজনীতির মধ্যে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়তে পারব। সামনের দিনে একটি সোহার্দ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে আমরা মতামত চর্চা করব।স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদ বলেন, দিন দিন ক্যাম্পাসের পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনের দিকে আমাদের যেতে হবে।ছাত্রফেডারেশনের সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্রসংসদে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদেরকে আমরা জুলাইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখেছি। দেশে আগামীতে হয়তো আরও অনেক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং আহতদের পুনর্বাসনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।আব্দুল কাদের বলেন, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকল ছাত্রসংগঠন একত্র হতে পেরেছি। আমরা বিভাজনের রাজনীতি ভুলে গিয়ে ঐক্যের ডাক দিতে চাই। আমরা ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনীতির পরিসর বিনির্মাণ করতে চাই। সবার রাজনৈতিক সহাবস্থান যেন বজায় থাকে।ঢাবি শাখা ছাত্রসংসদের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম এবং মুখপাত্র রাফিইয়া রেহনুমা হৃদির সঞ্চালনায় সভায় ছাত্রসংসদ ঢাবির শাখার সদস্যসচিব মহির আলম সমাপনী বক্তব্য দেন।

ডুয়েট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর ১৫ নেতার পদত্যাগ
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শাখা ছাত্রদল কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতিসহ ১৫ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে ছাত্রশিবির, অছাত্র ও ছাত্রলীগকে স্থান দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) রাতে এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দিন নাছির। এতে আশরাফুল হককে সভাপতি ও জামিরুল ইসলাম জামিলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যের ডুয়েট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই কমিটি ঘোষণার পরপরই নেতারা গণপদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে যাকে (নাছিরউদ্দিন নাছির) সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনি ছাত্রশিবিরের অনুপ্রবেশকারী। তার বিষয়ে আগে থেকে কেন্দ্র এবং তাদের সাংগঠনিক টিমকে জানানো হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে তাকে পদায়ন করেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদর্শগত ভিন্ন মেরুর হওয়ায় তার সঙ্গে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তারা বলেন, ‘কমিটিতে বিবাহিত এবং অছাত্র আরাফাত হোসেনকে এক নম্বর সহসভাপতি করা হয়েছে। ইমন মোল্ল্যার বিরুদ্ধে বিগত দিনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় থাকার প্রমাণ রয়েছে। ছাত্রদলের মতো আদর্শিক সংগঠনের একটি ইউনিট কমিটিতে ছাত্রশিবির, অছাত্র আর ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী থাকলে সেখানে অন্তত আদর্শের রাজনীতি হতে পারে না।’ পদত্যাগকারী নেতারা হলেন নতুন কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক, সহসভাপতি হাসান আল বান্না, আব্দুল কাদের, শাহ আলম মিয়া, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মো. ইব্রাহীম, শাকিল আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন সিকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ মানিক, দপ্তর সম্পাদক সাহেদ আলম, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক তৌফিক এলাহী, ক্রীড়া সম্পাদক রাকিব হোসেন মজুমদার। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক টিমের সদস্য মিয়া মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের যে অভিযোগ উঠেছে, সেরকম কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখার সময় ছাত্রলীগ নেতা আটক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখার সময় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আটককৃত ব্যক্তি নিজের নাম রেজওয়ানুল কবির চয়ন (৩১) বলে স্বীকার করেছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সি ইউনিট বাণিজ্য অনুষদের দ্বিতীয় সেশনের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। আটক হওয়ার পর রেজওয়ানুল কবির চয়ন বলেন, আমি শুধু জয় বাংলা লিখেছি। জগন্নাথের দেয়াল ছাড়া আর কোথাও লিখিনি। আমাকে কেউ এটা লিখতে বলেনি আমি নিজেই লিখেছি। ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান খান বলেন, আজকে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের ডান পাশে জয় বাংলা লেখার সময় আমরা একজনকে আটক করেছি। আটক পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করি। আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম চলমান আছে, সেজন্য তারা তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব কাজ করে দেশের মধ্যে আবারও অরাজকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, এক ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে জয় বাংলা লেখার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। পরবর্তীতে আটক ব্যক্তিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদের কাছে সোপর্দ করি।

পবিপ্রবিতে ছাত্রদলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, শিক্ষার্থীদের বাধায় নামানো হল ব্যানার
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শের-ই-বাংলা হলে (বর্তমানে জিয়াউর রহমান হল) ছাত্রদলের ব্যানারে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে-ই-বাংলা হলের ব্যাডমিন্টন কোর্টে ছাত্রদলের ব্যানারে শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ব্যানার সরিয়ে ফেলতে বললে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম এবং ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মেহেদী হাসান সিকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন। পরে তারা ছাত্রদলের ব্যানার নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন নাইম বলেন, ‘যেহেতু ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে টুর্নামেন্ট আয়োজন স্পষ্টতই আইন লঙ্ঘন। আমাদের একমাত্র চাওয়া, ছাত্রলীগের যে ফ্যাসিবাদী রূপ, সেটি যেন অন্য কোনোভাবে ক্যাম্পাসে ফিরে না আসে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার যে নিয়ম রয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনোই চাইনি খেলা বন্ধ হোক, শুধু চেয়েছি কোনো রাজনৈতিক ব্যানার থাকবে না। তবে ঘটনাস্থলে যেসব শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন, তারা প্রথমে ব্যানার রেখে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন, যা আমাদের মর্মাহত করে। পরে প্রতিবাদ ও তোপের মুখে তারা ব্যানার সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা আজিম হাসান দিপু বলেন, ‘ছাত্রদলের স্পন্সরশিপে আমরা একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করি। কিন্তু হঠাৎ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে বাধা দেয় এবং খেলা বন্ধ করার হুমকি দেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের তর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে আমরা কোনো ঝামেলা চাইনি, তাই শিক্ষকদের মাধ্যমে বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ছাত্রদলের ব্যানারে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলো কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা বাধা দিয়েছে, তারা চাইলে সরাসরি প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে পারত। প্রশাসন মনে করলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু এভাবে এসে বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার তাদের নেই।’ এ ব্যাপারে শেরে-ই-বাংলা হল-১-’এর প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল মালেক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং প্রশাসন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকালের ঘটনাটি অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’

আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি সিভাসু পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদন
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে সিভাসু পরিবার। সিভাসুর শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে শুক্রবার সকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) পৌনে ৯টায় মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ সিভাসু ক্যাম্পাসে আনা হয়। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সিভাসু পরিবারের পক্ষ হতে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ তিনি আরো বলেন, ‘মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে সিভাসু। ১৯৯৫ সালে তিনি ‘চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি এ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন।’ সিভাসুর উপাচার্য বলেন, ‘আজকে সিভাসু অনেক বড় একটি পরিবার। বাংলাদেশে কৃষিশিক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আজকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সুনাম অর্জন করেছে। সিভাসুর এই অর্জনের পেছনে যে মহান ব্যক্তিটি কাজ করেছিলেন-তিনি হচ্ছেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তাঁর এই অবদানের কথা সিভাসু পরিবার কখনো ভুলবে না। আমি তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ সিভাসুর উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান।শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া, মরহুমের স্মরণে সিভাসুর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে একটি শোকবহি খোলা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের’ কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। এসময় আবু বাকের মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গতকাল আত্মপ্রকাশ করেছে। এই ছাত্র সংগঠনের জন্য ঢাকাসহ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কাজ করে এসেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি, তাদের মতামত শুনেছি এবং নতুন বাংলাদেশে ছাত্র সংগঠন কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে আমরা পেপারওয়ার্ক করেছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কোনো ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চায় না। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ— আমরা সিদ্ধান্ত নেই, আমাদের এই ছাত্র সংগঠনটি কখনোই লেজুরবৃত্তি করবে না। এই ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক উপায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে বটম টু টপ অ্যাপ্রোচে তাদের নেতৃত্ব বাছাই করবে। আমরা দেখি, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বয়সসীমা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। অনেকে অছাত্র হয়েও সংগঠনে থাকেন। আমাদের এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে (কোনো সদস্যের) সর্বোচ্চ বয়স ২৮ বছর হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখার কমিটিগুলোতে যারা নেতৃত্বে থাকবেন, তারা ভর্তি হওয়া থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের মধ্যে নেতৃত্বে আসতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, নারীদের জন্য কমফোর্ট জোন পলিটিক্সের কথা আমরা বলছি। আমরা সেই চর্চা করব, সেই অঙ্গীকারও শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা করেছি। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের একাংশের বিক্ষোভ ও হাতাহাতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই চাই না, ক্যাম্পাসগুলোতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হোক। এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবোঝি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আহ্বায়ক কমিটিতে হাজার হাজার লোক রাখা সম্ভব না। বাকের জানান, ইউনিটভিত্তিক কমিটি প্রস্তুত করা হবে এবং পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ পাবে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং সারা দেশে কমিটি ঘোষণা করতে প্রায় ছয় মাস সময় লেগে যাবে। এ সময় কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সদস্য সচিব পদপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। অন্যান্য পদপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী। নতুন কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপি, ইউল্যাব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পদ পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মহির আলম, মুখপাত্র আশরেফা খাতুন, ঢাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সদস্য সচিব আল আমিন সরকার প্রমুখ। এর আগে গতকাল নতুন ছাত্র সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’-এর নাম ঘোষণা করা হয়, যা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আসা একটি অংশের উদ্যোগে গঠিত হয়। সংগঠনটির মূল স্লোগান হলো ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’। এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য একটি অংশ জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়েছে, যা আগামীকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানিক মিয়া এভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, যিনি সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে পদত্যাগ করেছেন, নতুন দলের সাথে যোগ দিতে পদত্যাগ করেছেন। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার নিন্দা ও দোষীদের বিচারের দাবি চুয়েট উপাচার্যের
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদকে সম্প্রতি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং একইসঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রদত্ত বিবৃতিতে চুয়েটের উপাচার্য বলেন, ‘কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদ একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক ও দক্ষ প্রশাসক হিসেবে বিবেচিত। সারাদেশে শিক্ষা-গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে তা বিশ্বমানের হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে, তিনি সেখানে একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব এবং তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্ষদের সভাপতি। এমন একজন শিক্ষাগুরু ও গবেষককে অসম্মান মোটেই কাম্য নয়। তাঁকে এভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও বিস্মিত।’ এ ধরনের ঘটনার আর যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো বেশি দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া।

যুদ্ধাপরাধীর বাবার নামে আবাসিক হলের সিদ্ধান্ত স্বাধীনতাবিরোধী: ছাত্র ইউনিয়ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য নবনির্মিতব্য হলের নামকরণ ফজলুল কাদের চৌধুরী করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা এই নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া হলটির নাম পরিবর্তন করে বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের নামে নামকরণ করার দাবিও জানানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে সাড়ে চারটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। নগরের ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে এই সম্মেলন হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধানতম দালাল হয়ে কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রামে শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনী, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠনে তিনি ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী গণহত্যা শুরু করার পর মুসলিম লীগের শীর্ষনেতা মানিক মোহাম্মদ কাসিমকে সঙ্গে নিয়ে ফজলুল কাদের চৌধুরী গভর্নর টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করেন। এতে তিনি কীভাবে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনীকে সহযোগিতা করা যায় এবং তৎকালীন পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার সংগ্রাম ধূলিসাৎ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।’ লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফজলুল কাদের চৌধুরীর গুডস হিলের বাড়িটি চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নৌযানে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আনোয়ারা উপজেলায় গহীরা উপকূলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে তিনি। পরে তাকে বাঙালির বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করা হয়।’ এই হল তার নামে না করে বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের নামে করার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘যে মানুষটা কখনও চায়নি বাংলাদেশ নামে একটা রাষ্ট্রের জন্ম হোক, যিনি সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তার নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নির্মিতব্য আবাসিক হলের নামকরণের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অবিলম্বে স্বাধীনতাবিরোধী ফজলুল কাদের চৌধুরীর নাম বাতিল করতে হবে। এই হলের নাম বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম ঘোষণা করতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সুদীপ্ত চাকমা, সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন কৃষ্ণ সাহা, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা এবং চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভ দেবনাথ প্রমুখ। নেতারা জানান, তারা এই হলের নাম পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। তারা প্রশাসনকে এক মাসের সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন। এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রদের নামে নতুন এক হল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সভায় পুরোনো শামসুন নাহার হলের জায়গায় করা এই হলের নামকরণ করা হয় ফজলুল কাদের চৌধুরী হল। সভায় শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের পাঁচ জনের নামে থাকা চবির পাঁচটি স্থাপনাসহ মোট ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি এই সভায় আরও ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

নতুন ছাত্রসংগঠনে ঢাবি পেল ৫ নেতা, জাবি থেকে একজন
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ নামে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ছয় সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী। এদিকে নতুন এই সংগঠনে বৈষম্যের শিকার হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এমন দাবিতে আজ বিকেলে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে বিক্ষোভ, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসময় অন্তত ১১ জন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। নতুন এই ছাত্রসংগঠনের আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদারকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ছাত্রসংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ছিলেন আবু বাকের মজুমদার। গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর ছাত্রসংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব করা হয়েছে জাহিদ আহসানকে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলের সম্পাদক। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামকে। সিনিয়র সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফাত রশীদ। নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরীকে। আর মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন আশরেফা খাতুন। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগে ফেস্ট ও বিদায় অনুষ্ঠান
নানা আয়োজনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং(পুরকৌশল) বিভাগের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও ফেস্ট সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম সিটির বায়েজিদের আরেফিন নগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম। উদ্বোধক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান। উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মোজাম্মেল হক, রেজিস্ট্রার এএফএম মোদাচ্ছের আলী, অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম। শুরুতে র্যালি ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মো. নুরুল করিম বলেন, ‘এটা জীবনের সবেচেয় গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন কারণ আজ থেকে তোমাদের শুরু হচ্ছে প্রকৌশলী হিসেবে দেশকে সেবা করার সুযোগ। যারা ডিগ্রি অর্জন করে ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছো তাদের সবার জন্য শুভকামনা। দেশের উচ্চ শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীতে দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আশা করি, তোমাদের এই অর্জন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।’ এই শিক্ষা যাতে দেশ ও জাতির কল্যাণে আসে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে পরামর্শ দেন তিনি। শরীফ আশরাফউজ্জামান বলেন, ‘তোমরা যারা ডিগ্রি অর্জন করলে সবাইকে অভিনন্দন। আশা করি, এ ডিগ্রি তোমাদের ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করবে। সামনের দিনগুলো আরও সুন্দর হোক অনেক অনেক শুভ কামনা তোমাদের জন্য। ‘ সরওয়ার জাহান বলেন, ‘যে গুণগত শিক্ষার প্রতিশ্রম্নতি নিয়ে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল তা আজ বাস্তব রূপ নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করছে। যারা গ্রাজুয়েট হয়েছো, মনে রাখবে আজ থেকে তোমাদের কর্ম যুদ্ধ শুরু হলো। সঠিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবে এটাই প্রত্যাশা করছি।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অর্জিত সনদের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সফল হয়ে দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে দাও তার জন্য শুভ কামনা। বিশ্বমানের শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জনশক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি।’ সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী আবুল হাসান বলেন, ‘এই বিদায় আনন্দের। কারণ, তোমরা ডিগ্রি অর্জন করে নতুন একটি জগতে প্রবেশ করছো। আশা করি, নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবে।

হল ছাড়ছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করতে শুরু করে। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাড়ি চলে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী হল থেকে বের হয়ে গেছে, বাকিরাও হয়তো নির্ধারিত সময়ের আগে হল ত্যাগ করবে। উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি, প্রো-ভিসির অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভিসির বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় সার্বিক নিরাপত্তার কারণে আজ বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত না মেনে হলে অবস্থান করার ঘোষণা দেন।

হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে রাতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ
হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েট প্রশাসন তাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করেনি। আন্দোলন দমানোর জন্য তাদেরকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা কেউ হল ছাড়বেন না। ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এর আগে সন্ধ্যায় নিরাপত্তার স্বার্থে কুয়েটের সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

‘আমি ছাত্রলীগ করে খেলে আসছি, এখনও খেলে দিবো’
মাদক সেবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় শিক্ষার্থীদের শাসালেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনীতি-শান্তি হলে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর নাম রাবিনা ঐশি ও লাবিবা ইসলাম। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মাদক সেবনের সংবাদ প্রকাশের পর সন্ধ্যা ৬টায় হলের সি ব্লকের কয়েকটি রুমে যান তারা দুজন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চান, অভিযোগপত্রে কে কে সাক্ষর করেছে। শিক্ষার্থীরা ‘হ্যাঁ’ সূচক স্বীকারোক্তি দেন। তখন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম ও একই বিভাগের রাবিনা ঐশি তাদের হুমকি-ধামকি দেন। হুমকির রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। রেকর্ডে লাবিবাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ছাত্রলীগ করে খেলে আসছি, এখনও খেলে দিবো, আসো। তোদের মতো পতিতা না মেয়ে নিয়ে রুমে রুমে যাবো। তোদের সবাইকে দেখে নিবো, সব বের করবো।’ তাঁর সাথে থাকা রাবিনা ঐশি বলেন, ‘গাঁজা লাগবে গাঁজা? গাঁজা দিতে আসছি।’ তাদের এমন উদ্ধত আচরণে হলের শিক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমি রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। উঠে দেখি তারা দুজন চিৎকার করছে। সবাইকে শাসাচ্ছেন। তাদের ভয়ে সবাই রুম বন্ধ করে বসে ছিলো। এসব আচরণে আমাদের হলের পরিবেশ নষ্ট হয়। অনেকে সন্ধ্যার পড়াশোনা করে বা বিশ্রাম নেয়। আজকে তাদের আচরণে মনে হয়েছে পুরো হলে বড় কিছু হয়ে গিয়েছে।’ এই বিষয়ে অভিযুক্ত লাবিবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দিইনি, আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। আমার সাথে একজন একটু উল্টাপাল্টা কথা বলছিল, আমি তার সাথে চিল্লাপাল্লা করেছি। আমি হলের কোনো মেয়েদের সাথে চিল্লাপাল্লা করিনি।’ অভিযুক্ত রাবিনা ঐশী বলেন, ‘আগামীকাল আমার পরীক্ষা। আমার পাশের ব্লক থেকে আমার বন্ধুরা আসছিলো। আমাদের মধ্যে নিউজটা নিয়েই কথা হচ্ছিলো। আমি সার্কাস্টিকভাবে জোরে জোরে বলেছিলাম, ‘আমরা তো গাঁজা খাই। গাঁজা লাগবে, গাঁজা?’। তখন আর আমি এক্সাক্টলি কী বলেছি সেটা মনেও নেই।’ এর আগে হলের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুজনসহ চারজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ করেন। হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে সুনীতি-শান্তি হলের ২১৪ নং কক্ষ দখল করে মাদক সেবনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন ফার্মাসি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আতেফা লিয়া ও একই শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা রহমান রোদিতা।

কুয়েটের আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিন সন্ধ্যায় কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্তারিত আসছে...

ফরম পূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক ছাত্রদল নেতা
ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকাশকে ক্যাম্পাসে আটক করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাকে হলের একটি কক্ষে আটক করে রাখে। শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের বিজয় ২৪ এর আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম টাকায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফরম পূরণের জন্য টাকা নেন আকাশ। প্রায় ৯৮ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এর জেরে শিক্ষার্থীরা তাকে বিজয় ২৪ হলে আসলে আটকে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউল হক খান চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যারা প্রকৃতপক্ষে হতদরিদ্র তাদেরকেই মূলত কলেজের দরিদ্র হতবিল থেকে সাহায্য করা হয়। কোনও পার্টির আসলে সে যে পার্টিই হোক এভাবে ফরম পূরণের টাকা কম রাখা হয় না। ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা পূর্ণ সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি, এর পর থেকে আর কোনও অনৈতিক কাজের সাথে আমরা জড়াতে চাই না। এদিকে অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর আসাদুজ্জামান আকাশকে ছাত্রদলের কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে ভিসি বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেল কুয়েট শিক্ষার্থীরা
শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিতে গেলে শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানান। কুয়েটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান। এ সময় তারা হ্যান্ডমাইকে উপাচার্যের বাসভবনে যারা রয়েছে তাদের ৫ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে বাসা খালি করার আহ্বান জানান। ভেতরে তখন উপাচার্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরা গেটের কাছে এসে শিক্ষার্থীদের তালা লাগানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। তালা লাগানো হলে শিক্ষকরা গণপদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন। তখন শিক্ষার্থীরা তালা না দিয়ে ফিরে যান। পরে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।