জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আজহারীর ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামিক আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। বুধবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে তিনি স্ট্যাটাসটি দেন। পোস্টটি দেওয়ার পর নিমিষেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত পোস্টটিতে ১ লাখ ৪২ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়েছে। মন্তব্য পড়েছে ৯ হাজারের বেশি ও শেয়ার হয়েছে ২ হাজারের বেশি।এর আগে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, এ ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‌‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম- ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।উল্লেখ্য,১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্বনাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‌‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম জানানো হয়।এতে দেখা যায়, জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব। হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী। মহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।

জাবিতে শিবিরের আত্মপ্রকাশ, প্রতিবাদে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

প্রায় ৩৫ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। গঠিত হয়েছে তাদের কমিটি। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একটি দল।মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন শিক্ষার্থীরা।সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম। এতে শিবির স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেসব ব্যক্তি কারা ছিল—তার চেয়ে আমাদের কাছে বড় হিসাব হলো, কোন সংগঠন ছিল।তিনি আরও বলেন, আজ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আপনি সেই সংগঠনের আদর্শকে ধারণ করে এখানে রাজনীতি করতে আসছেন, যে সংগঠন বাংলাদেশকে কোনো দিন চায়নি; স্বাধীনতাকে চায়নি—সেই সংগঠন স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে দাঁড়িয়ে কোনোভাবেই একটি ছাত্রসংগঠন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না।’সমাবেশে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার সহযোগী সংগঠন জামায়াত-শিবির। শেখ হাসিনার সরকারের হাতে যেমন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হত্যার খুনের দাগ রয়েছে, তেমনি ৭১ এর গণহত্যার রক্তের দাগও জামায়াত-শিবিরের হাতে লেগে রয়েছে। এই গণহত্যার দায় তারা অস্বীকার করতে পারে না। আশির দশকেও ছাত্রশিবির একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিকৃষ্টতম কার্যক্রম চালিয়েছে। এখন আবারও তারা পুনর্বাসিত হওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আমরা বারবার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে প্রতিহত করে এসেছি। যার ফলশ্রুতিতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।’

হামলাকারীদের ভিডিও দেখাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে তা বড় পর্দায় দেখাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রেজওয়ান আহমেদ রিফাত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তিনি বলেন - আপনারা জানেন বিগত ১৫ বছর ধরে সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। সবশেষ তারা ১৫ জুলাই আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। ইতোমধ্যে কিছু মামলা নেওয়া হয়েছে। অনেক জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তারা এখনো ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে এখনো অনেকে দম্ভ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে।এই সমন্বয়ক আরও বলেন, আবার দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাঘববোয়ালদের ছেড়ে ছোট ছোট পদধারীদের ধরা হচ্ছে। শুধুমাত্র পদ থাকলেই তাকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এটি আমরা চাই না। আমরা চাই সুস্পষ্ট আইনের মাধ্যমে এর বিচার হোক। আওয়ামী লীগের সময়ে যে অনাচার হয়েছে মিথ্যা মামলার রাজনীতি হয়েছে সেটি আমরা চাই না।তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের ভেতরে এমন অনেকেই ছিল যারা সবার আগে পদ পদবী ছেড়ে সাধারণ ছাত্রদের কাতারে নেমে এসেছিল। সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে লড়াই করেছে কিছু ক্ষেত্রে তাদেরকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সুতরাং যাদের কাছে ছবি ভিডিও তারা নিজেদের মোবাইলে ধারন করেছেন বা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন সেসব ছবি ভিডিওগুলো আমরা এখানে প্রদর্শন করতে চাই এতে করে মামলার প্রসিডিউরের প্রয়োজনে যে সাক্ষীর দরকার হয় সেটাও আমরা এখান থেকে পেয়ে যাব। সাক্ষী না থাকলে আসলে আইনী প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।কতদিন নাগাদ এই কার্যক্রম চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে রেজওয়ান আহমেদ বলেন ‘১৫-১৭ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ভিডিও দেখে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বড় পর্দায় দেখানোর জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকুই। নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।’

ঢাবি হল ছাত্রলীগের খাদিজা ও রাকিব গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ।রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঊর্মির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২২০ জন সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।মামলার অন্যতম আসামী হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির সায়ন ও সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত।

জবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ১৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে মো. ইকবাল হোসেন শিকদার এবং সেক্রেটারি হিসেবে মো. আসাদুল ইসলাম দায়িত্ব পেয়েছেন।শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।অফিস সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো রিয়াজুল ইসলাম, বিজ্ঞান, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাজমুল হক, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ইব্রাহীম আলী, বায়তুলমাল সম্পাদক পদে মো. শাওন সরদার ও দাওয়াহ সম্পাদক পদে মো. আরিফুল ইসলাম দায়িত্ব পেয়েছেন।এছাড়াও সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মাঈন উদ্দিন, স্কুল, বিতর্ক ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান রাসেল, সমাজসেবা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. জুবায়ের আহমেদ, আবাসন ও পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. মাসুম বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষা সম্পাদক পদে শাহিন আহমেদ, এইচআরডি ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জাহেদ ও আইন সম্পাদক পদে মো. সোহাগ আহমেদ দায়িত্ব পেয়েছেন।উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে প্রকাশ্যে আসেন ইকবাল হোসেন শিকদার ও আসাদুল ইসলাম এবং ওই দিনই প্রচার সম্পাদক হিসেবে প্রকাশিত হয় মো. ইব্রাহিম আলীর নাম। বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ -১৬ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের (১১ ব্যাচের) শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন শিকদার, আগে তিনি বিভাগে সাফওয়ান ডাকনামে পরিচিত ছিলেন।সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (১২ ব্যাচের) শিক্ষার্থী। আর প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী।

ইউএপির সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে চীনের সিয়াস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।১৫ অক্টোবর চীনের বেইজিং কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টসের (আইএইউপি) সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্কের সূচনা হয়েছে।চীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা স্বীকৃত সিয়াস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এখানে ৩০ হাজার ছাত্র রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনা এবং আমেরিকান উভয় স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের জন্য চীনের স্টেট কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত।ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এবং সিয়াস ইউনিভার্সিটির প্রভোস্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. লুসি লু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা স্বাক্ষর করেন।ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি উচ্চশিক্ষার একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়। ড. ডেভিড সোহন ২০০৮ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এসিসিএস দ্বারা স্বীকৃত এবং স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশন ফর ভার্জিনিয়া দ্বারা প্রত্যয়িত। এছাড়াও স্কুল ফেডারেল আইনের অধীনে অভিবাসী ছাত্রদের তালিকাভুক্ত করার জন্য অনুমোদিত। একইদিনে ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ইউএপির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি যৌথভাবে একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক সামগ্রী এবং প্রকাশনা বিনিময় করবে। একইসঙ্গে ছাত্রদের জন্য যৌথ সম্মেলন ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন, কর্মশালা, অনুষদ, কর্মী এবং ছাত্র বিনিময় প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলাসহ দেশব্যাপী সহিংসতার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দফা এক দাবি এক, দালাল সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ’, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাওয়া যায়নি বলে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে আবারও গণঅভ্যুত্থান হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, ক্যাম্পাসে থাকা সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ফাইজা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা জাহাঙ্গীরনগরে তেমন হামলা দেখতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দোসর আছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা জানতে পেরেছি, ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ের হামলার পেছনে মদদদাতা সাবেক প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশাসন কেন তাকে এ সুযোগ দিচ্ছে, তার ব্যাখ্যা চাই।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নিবিড় ভুঁইয়া বলেন, ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দাবি করেছিলেন, শেখ হাসিনা তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অথচ আজ একটি জাতীয় দৈনিকে তিনি বলেছেন, তার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র নেই। এই স্ববিরোধী বক্তব্য রাষ্ট্রপতির মর্যাদা নষ্ট করেছে। জনগণ এখন তার পদত্যাগ দাবি করছে।

স্নাতক পাস করলেন ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেরোবির জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী।রবিবার (২০ অক্টোবর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর অনুমোদনক্রমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।ফলাফল প্রকাশকালে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলো। ৬৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আবু সাঈদ মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছে। এটি আমাদের ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে আমরা শোকাহত। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’ফলাফল প্রকাশকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রউপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ হোসেন এবং অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ফিরোজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামাস প্রধান শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে ‘আজাদ ফিলিস্তিন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা গায়েবানা জানাজার পরে ফিলিস্তিনের শহীদদের জন্য দোয়া করে, সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় কর্মসূচিটি। এসময় শহীদদের স্মরণে, ভয় করিনা মরণে; ফ্রী ফ্রী ফিলিস্তিন; ফ্রম দা রিভার টু দ্যা সী, ফিলিস্তিন উইল বি ফ্রী ইত্যাদি বলে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে যেভাবে জুলুমমুক্ত করেছি, সেভাবে ফিলিস্তিনসহ পুরো বিশ্বকে একদিন জুলুমমুক্ত করব।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন বলেন, ‘ফিলিস্তিনের আজাদী আন্দোলন এখন আর ফিলিস্তিনের একার না, তা সারা বিশ্বের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ফিলিস্তিনের আজাদী আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা সবসময় সাড়া দিবে।গায়েবানা জানাজা নামাজের ইমামতি করেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক বিল্লাহ। নামাজ শেষে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি। মোনাজাত শেষে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘অকিউপেশন অকিউপেশন, নো মোর নো মোর’, ‘আমাদের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, লাল সালাম লাল সালাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। গত বুধবার ইসরায়েলের হামলায় এ হামাস নেতা নিহত হন। এরপর গতকাল রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) ডিএনএ পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

শহীদ আবু সাঈদের বোনকে চাকরি দিলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ হওয়া আবু সাঈদের বোন সুমি আক্তারকে সেমিনার সহকারী হিসেবে চাকরি দিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বুধবার (৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।আবু সাঈদের বোন সুমির কান্না সবাইকে অশ্রুশিক্ত করেছিলে। তাকে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট (স্থায়ী) পদের বিপরীতে সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কিছু শর্তের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।শর্তগুলো-১. এই পদে যোগদানের তারিখ থেকে আপনার নিয়োগ কার্যকর হবে।২. আপনি জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী টাকা ৮৫০০-২০৫৭০/- স্কেলে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।৩. কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হতে গৃহীত ছাড়পত্র যোগদানের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে।৪. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে যোগদানের পর চাকরি হতে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ২ (দুই) মাসের অগ্রিম নোটিশ প্রদান করতে হবে অথবা ১ (এক) মাসের বেতন সম্পূর্ণ করতে হবে।৫. আপনার চাকরি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের আওতায় প্রণীত ও প্রণীতব্য সকল সংবিধি, প্রবিধান, রেগুলেশন ও বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে।৬. আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোষ্ঠী বিমায় অংশগ্রহণ করতে হবে।উপরে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক আপনি এ নিয়োগ গ্রহণ করতে সম্মত থাকলে আগামী ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদপত্রসহ অন্যান্য সনদপত্রের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার নামাঙ্কিত সিল দ্বারা সত্যায়িত অনুলিপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র, শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং যোগদান পত্র নিম্নস্বাক্ষরকারীর দফতরে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে

আচরণ ভঙ্গের অভিযোগ এনে ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ন হলের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা থেকে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে জানা গেছে। কলেজ ছাত্রদলের সহ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হাবিব হাওলাদার শিহাব ওরফে আশফাকুর রহমান শিহাব ও তার সহযোগীরা এ ঘটনায় জড়িত বলে জানান ভুক্তভোগী ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ রেজা।হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শিহাবের সাথে ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল রাহাত ওরফে আফজাল হোসাইন, অর্থনীতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান অর্নব।এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, আমি মারুফ রেজা ঢাকা কলেজের ইংলিশ বিভাগের ২য় বর্ষের (২১-২২ সেশনের) ছাত্র। গতকাল রাতে আমার জীবনের সব থেকে জঘন্য কালো অধ্যায়ের রচনা হয়। ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ন হলে ৩০১ নাম্বার রুমে গতকাল রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আমার ওপর চলে অকথ্য নির্যাতন।চারজনের নাম উল্লেখ করে তিনি লেখেন, সালাউদ্দিন ভাই রুমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিল। এক পর্যায়ে আমি সালাউদ্দিন ভাইকে বলি, ভাইয়া গালাগালি কইরেন না ছোট ভাই পড়ছে পাশে। এরপরই আমার দিকে তেড়ে আসে মারার জন্য। এক পর্যায়ে আমার রুমের রামিম ভাই এবং ৪ তলার রাহাত ভাই ঠেকাতে আসলে তাদেরও গালাগালি করে। এরপর রাহাত ভাই নর্থ হল থেকে সিয়াব ভাইকে ডেকে এনে রুম আটকে দেয় এরপর রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আমার উপর নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে আমি স্যারদের বলার জন্য ফোন দিতে গেলে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।তিনি আর লেখেন, আমি সেসময় কি করবো বুঝতে পারছিলাম না তখন ডিপার্টমেন্ট বন্ধু সিআর ইমরানকে কল দিয়ে বাঁচাতে বললে সে রাত সাড়ে ৪টাই আমার হলে নিচে আসে তারপর আমি বের হয়। তাকে সব বলি সে আমাকে কলেজ গেইট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যাই তারপর সেখান থেকে বড় ভাইয়ের ঢাবির হলে ঢুকে পড়ি। তারপর সকালে বাড়ি চলে আছি।নির্যাতনের সময়কার ২৪ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ থেকে শোনা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে গালাগালি ও হেনস্তা করা হচ্ছে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। তরে কে বাঁচাবে? তোর কে বড় ভাই আছে? তাকে ফোন দে ইত্যাদি হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই বেশ কয়েকটি আঘাতের শব্দ শোনা যায়। পুরো সময়জুড়েই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়।নির্যাতনের সাথে জড়িত আল রাহাত বলেন, নির্যাতনের বিষয় না এটা, তার সাথে কথা বলা যাকে বলে আরকি। একটা ছেলে বেয়াদবি করে সরিও বলেনি, উলটো সিনিয়র নিয়ে আসার হুমকি দিয়েছে। আমার রুমে আসা গেস্টের সাথে যদি সে বেয়াদবি করে ক্ষমা না চায় তাহলে রুমে থাকা ঠিক হবে কিনা? মারধর তো আর করিনি, গালাগালিই। কি রকম সরি না বলে যখন চুপ করে থাকে, চোখ পাকায় সেক্ষেত্রে রাগ হবে এটাই স্বাভাবিক।এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিজেদেরই কর্মী আখ্যা দিয়ে বলে, গতকালও তিনি আমাদের সাথেই প্রোগ্রাম করেছে। এটা নিজেদের নিজেদের ভেতরেই ঘটনা, আমরা নিজেরাই দেখছি ইনশাআল্লাহ।তিনি বলেন, তিনি যেভাবে টর্চারের ঘটনা লিখেছে ব্যাপারটা আসলে তেমন না। অন্য সংগঠন থেকে ওকে প্রলোভন দেখিয়ে এগুলো করানো হয়েছে। এরপরও আমরা দুই পক্ষের সাথে কথা বলে যদি অভিযুক্তকে দোষী হিসেবে পাই অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে দক্ষিণায়ন হলের প্রভোস্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি অবশ্যই শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। শুরুতে যদি আমি কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে এটা অন্য রুমেও ঘটতে পারে। এমন পদক্ষেপ নিবো যেন ভবিষ্যতে শিক্ষা হয়ে থাকে।তিনি বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারুফের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি বাড়িতে চলে গেছে। যেহেতু তিনি নাই এজন্য পদক্ষেপ নিতে পারছি না। আমি অধ্যক্ষ স্যারের সাথে কথা বলেছি। হলের শৃঙ্খলাবিরোধী যেকোনো বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবো।এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম ইলিয়াস বলেন, হল প্রভোস্টরা এ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই-না এমন কোনো ক্ষুদ্র ঘটনাও এখানে ঘটুক।

বেরোবিতে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু আজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হচ্ছে আজ রোববার (৬ অক্টোবর) থেকে। যা চলবে আগামী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে প্রাথমিক ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের এস.এস.সি সমমান ও এইচ.এস.সি সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র চূড়ান্ত ভর্তির সময় স্ব-স্ব বিভাগে জমা প্রদান করবেন, এবং মূল নম্বরপত্র জমাদানের পর 'স্বীকৃতি স্লিপ' সংগ্রহ করবেন।চূড়ান্ত ভর্তির সময় ৬ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত ভর্তির জন্য প্রাথমিক নিশ্চায়ন পরবর্তী অবশিষ্ট ভর্তি ফি, ভর্তি ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বিভাগে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রদান করবেন। যে সকল শিক্ষার্থী উল্লিখিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তি হতে পারবে না তাদের ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগে আসন রয়েছে ১৩৯৫টি। বেরোবিতে ভর্তিতে ‍প্রাথমিক ও চূড়ান্ত মিলে মোট জমা দিতে হচ্ছে ১১৯৩০ থেকে ১২৬৫০ টাকা।উল্লেখ্য, গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৭ এপ্রিল। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ৪ মে ও ‘সি’ ইউনিটের ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর হ্যামদান পুরস্কার পেলো গুড নেইবারস বাংলাদেশ

দেশে প্রথমাবের মতো ইউনেস্কোর হ্যামদান পুরস্কার পেলো গুড নেইবারস বাংলাদেশ। শিক্ষক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এ পুরস্কার পেয়েছে আন্তর্জাতিক এই উন্নয়ন সংস্থা।শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই পুরস্কার ঘোষণা করে ইউনেস্কো। সেখানে গুড নেইবারস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাইনুদ্দিন মাইনুল। এরপর তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন।বক্তব্যে মাইনুদ্দিন মাইনুল বলেন, এই পুরস্কারটি আমাদের শিক্ষকদের জন্য এক অনন্য স্বীকৃতি। তারা (শিক্ষকরা) শুধুমাত্র শিক্ষাই দিচ্ছেন না, পাশাপাশি সকল ধরনের বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই লড়াই শুধু সুশীল সমাজের নয়। এই লড়াই এনজিওসহ গোটা জাতির।দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিস্তৃত এবং শিক্ষামূলক পরিবেশ তৈরিতে পরিচালিত হচ্ছে জিএনবির শিক্ষা কার্যক্রম। দেশের ১৩টি জেলার মোট ৩৯৬টি স্কুল নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। এতে কাজ করছেন ৪৯ জন উচ্চ প্রশিক্ষিত শিক্ষক।

১১২ দিন পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু রোববার

দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর আগামীকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে।২ জুন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস ছুটি দেওয়া হয়। এরপর নানা ঘটনা পেরিয়ে দীর্ঘ ১১২ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস খুলছে। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ বর্ষ বাদে সকল বর্ষের ক্লাস রোববার শুরু হবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। চলতি বছরের ২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ছুটি দেওয়া হয়। কোনো কোনো বিভাগে এই ছুটির মধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১ জুলাই থেকে ক্লাস খোলার কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে।এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ৭ জুলাই থেকে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস আর শুরু হয়নি। এরমধ্যে কোটা আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।কোটা থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এদিকে সরকার প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রত্যাহার করলে ৪ আগস্ট তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সরকার পতনের পর ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন।২৭ আগস্ট উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। নিয়োগের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় হল, বিভাগ, অফিস প্রধান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আলোচনা করেন। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।উল্লেখ্য, গত ১০ বছরে কখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস এতদিন বন্ধ ছিল না।

তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে আজ, বাতিল করেছে হলের সিট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত আটজন শিক্ষার্থীর আবাসিক সিট বাতিল করেছে হল প্রশাসন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথা জানায় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। এরপর অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থী হলেন- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল মিয়া ও আবদুস সামাদ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল আলম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ কবির ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবদুস সামাদ। তাদের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ ছাড়া বাকি ছয় শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি আটজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের মর্মান্তিক ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছে ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় হল প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় তদন্ত কমিটি চিহ্নিত আটজন অভিযুক্তের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত এই আটজনের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে এবং সবার সহযোগিতা কামনা করছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাঁদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করে। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সাময়িক বহিস্কার হোয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, মোহাম্মদ রাজন মিয়া, রাজু আহম্মদ, মো. মাহিমুদুল হাসান রায়হান, জুবায়ের আহমেদ, হামিদুল্লাহ সালমান, মো. আতিকুজ্জামান আতিক, সোহাগ মিয়া ও আহসান লাবীব।

জাবিতে গণপিটুনিতে হত্যার ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ। এছাড়া আতিক নামে আরেকজন শিক্ষার্থীকে দেখা গেছে ভিডিওতে। সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, রাজন হাসান একই বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, হামিদুল্লাহ সালমান ইংরেজি ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং এমএন সোহাগ কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ভিডিও ফুটেজে লাঠি হাতে শামীমকে মারতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবকে। এছাড়া লাথি দিতে দেখা গেছে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিককে।গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা তাকে আরেক দফা গণপিটুনি দেয়। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে প্রাথমিকভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়। তারা হলেন- সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ।ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিরাপত্তা কার্যালয়ের ভেতরে চেক শার্ট পরিহিত অবস্থায় শামীমকে পেটাচ্ছেন রাজু আহমেদ। এ সময় তার হাতে গাছের ডাল দেখা গেছে। এছাড়া রাজন হাসানের গায়ে হাফ হাতা লাল রংয়ের শার্ট দেখা গেছে। হামিদুল্লাহ সালমানের গায়ে হাফ হাতা শার্ট ও সোহাগের গায়ে সাদা টি শার্ট ও চশমা দেখা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, জিন্স প্যান্ট ও শার্ট পরিহিত অবস্থায় শামীমকে মারধর করছেন সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া। তবে তারা প্রত্যেকেই মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।গণপিটুনিতে নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাসের বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

ঢাবিতে গণপিটুনিতে যুবককে হত্যা মামলায় ৩ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ শিক্ষার্থী গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, জালাল আহমেদ, মোত্তাকীন সাকিন, মোহাম্মদ সুমন। এদের মধ্যে জালাল ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী, সুমন মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিভাগ এবং মোত্তাকিন পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিউটের শিক্ষার্থী।এর আগে, বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারপভাইজার মোহাম্মদ আমানউল্লাহ। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। একই সাথে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিস্কার ও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছিলেন, এখানে হল প্রশাসনের অবহেলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলের প্রভোস্ট রাতে ঘটনাস্থলেই যাননি, হাউজ টিউটররা ছিলেন। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে তাকে খাবারও খাওয়ায় শিক্ষার্থীরা। এরপর আবারও তাকে মারধর করা হয়। এ সময় মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মধ্যরাতে তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গণপিটুনিতে জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিস্কার ও গ্রেফতার করা হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিস্কার ও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। এ সময় নিহতের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান তিনি।প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এখানে হল প্রশাসনের অবহেলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলের প্রভোস্ট রাতে ঘটনাস্থলেই যাননি, হাউজ টিউটররা ছিলেন। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে তাকে খাবারও খাওয়ায় শিক্ষার্থীরা। এরপর আবারও তাকে মারধর করা হয়। এ সময় মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মধ্যরাতে তোগাজ্জলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।উল্লেখ্য, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষার ৭ মাস পর প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর ঘোষণা

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫৩তম ব্যাচের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) প্রথম বর্ষের সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট, ওয়ার্ডেন, আবাসিক শিক্ষক, উপ- রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে গত ২১ জুলাই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় নবনির্মিত বীর প্রতীক তারামন বিবি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে শিক্ষার্থী উঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও আবাসিক হলগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম তদারক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এবং হল প্রভোস্টগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।সভায় আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী অনুপাতে জনবল পুনঃবন্টন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আবাসিক হলগুলোতে অবস্থানরত মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অতিদ্রুত হল ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করা হয়।উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ (৫৩তম আবর্তন) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলতি বছরের ২২-২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর ক্লাস শুরু করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সংঘর্ষের জেরে স্টেট ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা

গত দুইদিন ধরে চলা সংঘর্ষের জেরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্টেট ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং ও জনসংযোগ বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. ওমর ফারুক তারেক এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে শনিবার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২৫ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে থাকা দুই শিক্ষার্থী হলেন- মামুন ও রাফি। আহত অন্যদের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, বাসের সিট দখল নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি বিভাগ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে শনিবার সংঘর্ষে জড়ায় দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগেও ৪ সেপ্টেম্বর দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিট দখল নিয়ে হাতাহাতি হয়।এ বিষয়ে স্টেট ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং ও জনসংযোগ বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ওমর ফারুক তারেক বলেন, আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তবে শনিবারের ঘটনার পর কমিটিতে আরও চারজনকে যুক্ত করে দুদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। আইসিইউতে থাকা শিক্ষার্থীদের অবস্থা এখন ভালো। তাদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দোষী, তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। আপাতত ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর ক্লাস শুরুর বিষয়টি নির্ভর করছে।

ঈদে মিলাদুন্নবীতে আকিকা দেবে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১২ রবিউল আউয়াল, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সারা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ের স্পন্দন ও পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত শেষ রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র নামে আকিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।আকিকার জন্য তারা দুটি গরু কিনেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, রোববার মাগরিবের নামাজের পর শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী।এ পবিত্র দিনে পৃথিবীতে আগমন করেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ উপলক্ষে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রিয় নবীর পবিত্র নামে আকিকা করবো।তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নবীকে ভালোবাসি। এই কথাটা সর্বত্র উচ্চারিত হোক।সেই ভালোবাসা থেকে আমাদের আজকের এই আয়োজন। আমরা চাই, সেই ভালোবাসার ফোয়ারা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ ইয়াকুব আহমেদ মজুমদার বলেন, আকিকার পশু জবাইয়ের পর সেই গোশত দিয়ে তবরাক রান্না হবে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মল চত্বরে এক নাতে রাসুল ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান ‘দাওয়াত-এ-ইশক’ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান থেকে আকিকার তবারক বিতরণ করা হবে।

নর্থ সাউথের নতুন ভিসি হান্নান চৌধুরী

দেশের শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নতুন ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী।বৃহস্পতিবার তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।‌নিয়োগের শর্তে বলা হয়, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন।

ঢাবির ক্লাস শুরু হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে দীর্ঘ তিন মাস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব শিক্ষা কার্যক্রম। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে বৈঠকে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান নির্দেশ দেন।বিস্তারিত আসছে..