বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধর, আবাসিক এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকদের মাঝে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল হককে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আবাসিক এলাকা সংলগ্ন সড়কে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই শিক্ষক ও ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক আফরিনা মুস্তারীর বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মঙ্গলবার রাতে কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল আলমের বাসায়ও ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানিয়েছেন আফরিনা মুস্তারী। ঘটনার সময় নিরাপত্তা কর্মীদের অনুপস্থিতি ও ঘটনা পরবর্তী প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই শিক্ষকদের ওপর এ রকম হামলা এবং সেটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন সক্রিয় পদক্ষেপ না নেওয়াকে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা হিসেবেই উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। ভুক্তভোগী মো. রিজওয়ানুল হক বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে দশটার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব থেকে বাসায় ফিরছিলাম। ঠিক সেই সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন দুর্বৃত্ত আমার পিছু নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা আমাকে ফের আক্রমণ করে। তারা আমাকে এলোপাথাড়ি লাথি দেয় এবং হাতের মুঠিতে কিছু একটা রেখে ঘুষি দিতে থাকে। মাথায় হাত দিয়ে ঢেকে রাখার কারণে বড় কোন বিপদ হয়নি। হামলার পর তারা আমার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি আমার বাসাতেই উপস্থিত ছিল।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে ঘটনা সম্পর্কে জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই একজন শিক্ষককে এভাবে মারধর করা হল, অথচ নিরাপত্তা কর্মীদের দেখা মেলেনি। প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালেও তদন্ত বা বিচার নিয়ে কোন আশ্বাস আমাকে তারা দেয়নি। প্রক্টরিয়াল বডি আমার বাসায় এসে শুধু বলেছে, যে বিষয়টি দুঃখজনক। গতকাল যদি আমাকে গুলি করত, তাহলেও কেউ নিরাপত্তা দিতে আসত না। আমি মনে করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’ ভুক্তভোগী আফরিনা মুস্তারী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত একটার দিকে আমার বাসার সামনে তিনটি ককটেল বিস্কোরণ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে এসে ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে যায়। গভীর রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ভেতরে ককটেল নিয়ে কেউ কিভাবে অবাধে চলে আসতে পারে, সেটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের তাহলে কাজটা কি? এত রাতে আবাসিক এলাকার তেতরে কেউ আসলে, তাকে অবশ্যই তল্লাশী করে তারপরে অনুমতি দিতে হবে।’ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীমের সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শুরু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত আবেদন শুরু হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই আবেদন প্রক্রিয়া।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক আবেদন নেয়া শুরু হয়, যা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান ছিল। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। পাঁচটি ইউনিটে ২ হাজার ৮১৫টি আসনের বিপরীতে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রতি ইউনিটে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন এ বছর। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪০ হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বাছাই করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বরকে (চতুর্থ বিষয়সহ) ভিত্তি করে যোগ্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত আবেদনকারীর করণীয়: ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত আবেদনকারীকে বহুনির্বাচনী ও লিখিত ভর্তি পরীক্ষা ফি বাবদ ৭০০ টাকা সার্ভিস চার্জসহ জমা দিতে হবে। ১৭ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে। JnU Admission ওয়েবসাইটে ‘Applicant Login’ লিংকে ক্লিক করে এইচএসসি ও এসএসসির রোল, মোবাইল নম্বর এবং মোবাইল নম্বরে প্রদত্ত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে/ইউনিট ভিত্তিক বিষয় পছন্দ দিতে হবে। ওয়েব সাইটে প্রদর্শিত তালিকার সব বিষয়কেই অগ্রাধিকার অনুযায়ী পছন্দ করতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষয় পছন্দ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সময়ে আবেদনকারীর প্রদত্ত বিষয় পছন্দক্রম কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন করা যাবে না। তাই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভেবেচিন্তে বিষয় পছন্দক্রম সাজাতে হবে। ফাইনাল সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর পূরণ করা ফরমের কোন তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না। তাই ফাইনাল সাবমিট বাটনে ক্লিক করার আগেই নিশ্চিত হতে হবে যে ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করা হয়েছে। চেক করার পর সকল তথ্য যথাযথ হলে ফাইনাল সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। উল্লেখ্য, চার বছর পর গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এবার ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে। এবার দ্বিতীয়বার কেউ ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিট চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট কলা অনুষদ, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিট ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হবে। ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক দলের হামলায় প্রক্টরসহ আহত পাঁচ

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের মূল নাম খচিত ব্যানার শহিদ বেদিতে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক দলের হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শ্রমিক দলের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা কমিটি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে পিরোজপুর শহরের নিরব হোটেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত চারজন পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও এখনো পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আহত প্রক্টর মো. মুসা খান। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে পিরোজপুর শহরের বলেশ্বর নদীর পাড়ে শহিদে বেদীতে ব্যানার সহকারে ফুল দিতে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ব্যানারটি সরিয়ে ফেলতে বলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যানারটি সরিয়ে ফেলে। এরপর ফুল দেয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুসা খানসহ শিক্ষার্থীরা শহরের নিরব হোটেলে নাস্তা করার সময় শ্রমিক দলের ১৫-২০ জন তাদের উপর হামলা করে। এ সময় হাতাহাতিতে প্রক্টরসহ উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়। পরবর্তী আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই শিক্ষার্থী ও শ্রমিক দলের দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শহীদুল ইসলাম জানান, শ্রমিক দলের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা দায়ের করবেন। এ নিয়ে ফিরোজপুর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীরা শহিদ বেদিতে ঢুকেছিল। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন। জেলার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রদলের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত

বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কলেজের প্রাঙ্গণে এসব কর্মসূচি পালন করা হয় কমার্স কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রায়হানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফয়সাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মিঠু। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক নূর জাফর নাঈম রাহুল, সদস্য ইমরান হোসেন বাপ্পি, ডিএইচ শিশির। উপস্থিত ছিলেন কমার্স কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সদস্য আরাফাত হোসেন, রবিউল, মারুফ, নাইমুল, জীন্নাহ ওয়াবেদ রাফি, শরিফ, মহিউদ্দিন প্রমুখ।

প্রেমিকের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে গলায় ফাঁস তরুণীর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আবাসিক হল থেকে তাকিয়া তাসনিম নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪) শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের সপ্তম তলায় ৭০০৫ নম্বর কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।তাকিয়ার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, প্রেমিক সাব্বিরের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন তাকিয়া। তৎক্ষণাৎ তাকিয়ার বান্ধবীদের ফোন করে দ্রুত রুমে গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করতে বলেন সাব্বির। তবে, তারা সময়মত দরজা ভাঙতে ব্যর্থ হন। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার বান্ধবীরা।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক হলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এবং ওই ছাত্রীর মামা হলে উপস্থিত হয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশকে খবর দেন।জানা যায়, তাকিয়া ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও নিয়মিত তিনি হলে থাকতেন না। সাভারে তার মামার বাসায় থাকতেন। শনিবারই (১৪ ডিসেম্বর) তিনি হলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা।

জাবির হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে তার কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকিয়ার গ্রামের বাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীতে। তার বাবার নাম আরিফ হোসেন। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। নিহত শিক্ষার্থীর নাম তাকিয়া তাসনিম বিভা (১৯)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ৭০০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী হলের শিক্ষার্থী শিউলি আক্তার বলেন, ভোর ৪টা ৪৬ মিনিটে একটি অজানা নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে এক যুবক তাকে বলেন,‘আপনি কি তাকিয়ার পাশের রুমের?’ আমি বলি, আমার থেকে একটু দূরে ওর রুম।সে বলে ‘তাকিয়া সুইসাইড করতে পারে, দ্রুত তার রুমে যান।’ এরপর শিউলি দৌড়ে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেন এবং অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে তাকিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেওয়া হয়। আরেক শিক্ষার্থী উম্মে মারিয়াম বলেন, আমরা ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, তাকিয়া ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিল। আমরা একটি বটি দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নামাই। তখন তার শরীর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসককে হলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তাকিয়ার স্থানীয় অভিভাবক ও মামা মনির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হল থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। আমি সাভার থেকে ঘটনাস্থলে এসে দেখি তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে। আমি এরপর তার বাবা-মাকে ফোন করে ঘটনা জানাই। পুলিশের ডিউটি অফিসার মাসুদ জানান,আমরা প্রাথমিকভাবে নিহত শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছি। তার রুম থেকে একটি ডায়েরি, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পরিবার ও হল কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে।

ঢাবি এলাকায় কখন কোন দিকে যান চলবে জানাল প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) প্রক্টর অফিসের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শুক্র, শনি ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকাল তিনটা থেকে রাত দশটা এবং কর্মদিবসে বিকাল পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত সাতটি প্রবেশপথ দিয়ে ঢাবির স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি) ছাড়া অন্য কোন যানবাহন ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে পারবে না।’প্রবেশপথগুলো হল শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত। ঢাবির শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু শনিবার

বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টেকসই উন্নয়ন ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিশ্বের মোট ২৩টি দেশের কয়েক’শ শিক্ষক, গবেষক ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে আয়োজিত এই সম্মেলন আগামী ১৪-১৫ ডিসেম্বর আয়োজন করা হবে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিডিয়া ল্যাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান, অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব তারেক, ড. হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, রাশিয়া, ইতালি, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, জাপান, চীন, ইরান, ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা অংশ নেবেন। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছে; যা থেকে ১০২টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, অর্থনীতি, সমাজ ও জীবনযাত্রা- বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে টেকসই উন্নয়ন জরুরি। তিনি বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। চীনসহ বেশ কিছু দেশ গার্মেন্ট শিল্পসহ অনেক কিছুকে অটোমেশন পদ্ধতিতে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশও আগামীতে সেই পথে চলে যাবে। এসব কারণেই এসটিআই’র মতো সম্মেলন জরুরি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে প্রতিবছর প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমেও সেটি করা হচ্ছে। শুধু ব্যক্তিজীবনের জন্য নয়, টেকনোলজির টেকসই উন্নয়নই এসটিআই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য। অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ এসটিআই সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৫.০ ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্মেলন হল গ্রিন ইউনিভার্সিটির এসটিআই; যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের নানা ইস্যুর সমস্যা তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। আয়োজক কমিটি জানান, সম্মেলনে মূলত চারটি পৃথক ট্র্যাক প্রাধান্য পাবে। এর মধ্যে রয়েছে- ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেম, এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন; ইন্ড্রাস্টি ৫.০ ডিজাইন অ্যান্ড এপ্লিকেশন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। সম্মেলনে উপস্থাপন করা মোট ৩টি প্রবন্ধ ও পোস্টার পেপার প্রেজেন্টেশন ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান জমা পড়া প্রবন্ধ ও এর ধরনসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন, টেকসই না হলে শুধু প্রযুক্তিগত নয়, কোনো উন্নয়নই মানবজাতির কাজে আসবে না। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ভালো করছে। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, পরিবর্তিত প্রযুক্তি সমাজে সব সময় ইতিবাচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে কি না? এটি জনগণের জীবন উন্নতভাবে গড়ে তুলছে না ধ্বংস করছে, সেটিই বিবেচ্য। ইতিবাচক উন্নয়নগুলোকে কীভাবে দ্বিগুণ, তিনগুণ কিংবা বহুগুণে বাড়ানো যায়, সম্মেলনে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর বাইরেও সম্মেলনে প্যানেল ডিসকাশন, ১০টি এমওআই সাক্ষর, গবেষণাপত্র উপস্থাপন, নতুন আইডিয়া তৈরি, সাসটেইনেবল টেকলোজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।

মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করা ঢাবি শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করা এবং ২৪-এর শহীদদের নিয়ে উপহাস এর অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য এবং গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ ফ্যাসিবাদীর সব দোসর শিক্ষকদের ‘কঠোর’ বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এমন দাবি জানান তারা। এসময় আওয়ামী লীগের আমলে করা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, শিশির তুই গেলি কই’; বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না মুসলমান, ‘ধর্ম/শহীদ নিয়ে তামাশা, চলবে না চলবে না’; শিশির/নিজামুল হকের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’; অবৈধ /দালালদের/ফ্যাসিবাদের সন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; শিক্ষক সমিতি, বয়কট বয়কট’; ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো : ১. বিশ্বনবীকে অপমান ও ২৪ এর শীদদের অবমাননার জন্য শিশির ভট্টাচার্যকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ২. যে-সব শিক্ষকরা গণহত্যায় মদদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে৷ ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডি দ্রুত ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। ৪. অতিদ্রুত ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে৷ সমাবেশে, ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজা আক্তার স্মৃতি বলেন, বিশ্বনবীকে অবমাননা করা একজনকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই, সে শিক্ষার্থীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, অন্যথায় তাকে অবশ্যই চাকরিচ্যুত করতে হবে। অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদের দোসর যে-সব শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পরেও চুপ ছিল, গণহত্যায় যারা মদদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, আজকে আমরা বিশ্বনবীকে অপমান এবং চব্বিশের শহীদদের অবমাননার জন্য শিক্ষক নামের কলঙ্ক শিশির ভট্টাচার্যকে পদচ্যুত করে বিচার নিশ্চিতের দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই এই শিক্ষককে দ্রুত চাকরিচ্যুত করা হোক। তাকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চাই না। তিনি বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নীল দলের শিক্ষকরা নিজামুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তারা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে এবং ক্লাসেও অংশ নিচ্ছে। যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি সেখানে এই দালাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা এই শিক্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীদের দাবি শুনতে সেখানে উপস্থিত হন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। উপাচার্য বলেন, যেকোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কোন প্রকার বিরূপ মন্তব্য করা উচিত না। তাকে যদি চাকরিচ্যুত বা শাস্তির আওতায় আনতে হলে সেটা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেতে হবে। তাছাড়া, অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে৷ আমি আইনি পদক্ষেপগুলো দেখবো কতদিন সময় নেয়, পরবর্তীতে তোমাদের জানিয়ে দিবো। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫ জন শিক্ষককে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ বাকিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নীল দলের শিক্ষকরা গোপনে জড়ো হয়ে পুনরায় নির্বাচন চাচ্ছে-এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা গতকাল শুনেছি। আগামীকাল আমরা মিটিং ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

জবির অধ্যাপককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

জুলাই গণহত্যায় সমর্থন করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানকে বিভাগে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) কয়েকজন শিক্ষার্থী চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা সংবলিত ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে ও বিভাগে লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান জুলাই গণহত্যার অন্যতম সমর্থনকারী। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অতীতে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। তারা জানান, মুর্শিদা বিনতে রহমান ক্লাসে আওয়ামী লীগ বিরোধী মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের হেয় প্রতিপন্ন করতো। শিক্ষার্থীরা ব্যানারে উল্লেখ করেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সমর্থনকারী ইতিহাস বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান; যিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর মুনতাসীর মামুন এবং শাহরিয়ার কবিরের অনুসারী। তিনি জুলাই বিপ্লবের সময় গণহত্যার দায় ছাত্রদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তার অফিসে এখনো শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রেখেছেন এবং শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে নিয়মিত কথা বলেন। জুলাই বিপ্লবের সরাসরি বিপক্ষে থাকা স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানকে ইতিহাস বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। জানা যায়, ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের কয়েকজন ইতিহাস বিভাগে ‘বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি: ২০১৯-২০২৪, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ শীর্ষক বিষয়ে এমফিল করতে আবেদন করলে সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান এর বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য এই শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ড.মুর্শিদা ২০২৩ সালের ১১ জুলাই থেকে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২৮টি ছাত্র সংগঠনের সভা: যে কারণে ডাকা হয়নি শিবির ও বৈষম্যবিরোধীদের

ঢাবি:দেশের চলমান ইস্যু, ভারতীয় আগ্রাসন ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতিসহ একাধিক বিষয়ে মতবিনিময় করেছে ২৮টি ছাত্র সংগঠন। তবে এই সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরকে রাখা হয়নি।বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাঁটাবনের সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকটি আয়োজিত হয়।বৈঠকে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে থাকার বিষয়ে সংগঠনগুলো ঐক্যমতে পৌঁছেছে।এছাড়া ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি রাখা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় রাজনীতির হালচাল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমম্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের কথা বলেছি।আমরা মনে করছি ছাত্র সংসদ না থাকার কারণে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরছে না। যে গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথা আমরা বাংলাদেশের জন্য বলছি, তা যদি ক্যাম্পাসগুলোতে নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে গণঅভ্যুত্থান সঠিক পথে যাবে না।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে আমরা সব ছাত্র সংগঠন ছিলাম। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অঙ্গীকার করেছিল, সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর পরামর্শ নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নেব। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে সরে গেছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য হয়েছিল, সেখানে এক ধরনের ফাটল ধরেছে। এই ফাটল যে ধরল, তার দায় কোনোভাবেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এড়াতে পারে না।ছাত্রশিবিরকে না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের বিষয়ে কোনো আপত্তি ছিল না। যেসব ছাত্রসংগঠন আলাপ-আলোচনার করে বসতে চেয়েছি, তারাই এসেছি। ব্যাপারটা এইরকম না যে ওনাদের নিয়ে আপত্তি আছে। কারণ যারা আলোচনায় এসেছে, তাদের বাইরেও অনেক ছাত্র সংগঠন আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে প্রত্যেকের মধ্যে একটা কমননেসের ভিত্তিতে বসেছি।ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, বর্তমান ক্যাম্পাস রাজনীতি, ভারতের ইস্যু, জাতীয় রাজনীতিসহ সব ইস্যু নিয়ে একটি রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে ছাত্র সংগঠনের সাথে বসেছি। উদ্দেশ্য ছিল জুলাই-আগস্টের পর নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়া। এর আগেও আমরা ছোট পরিসরে বসেছিলাম। তবে এবার বড় পরিসরে বসলাম।এর আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বৈঠকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় ছাত্র সংগঠনগুলো। সেখানে ছাত্রশিবির অংশ নিলেও ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো অংশ নেয়নি।তবে নাছির মনে করছেন দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে তা কার্যকর হবে না। বৈঠকে তারা সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাননি। নাছির বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি মত দিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরাও একটা মত দিয়েছি যে, তাড়াহুড়ো করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিলে তা কার্যকর হবে না।তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুলনামূলক বিচার করার সুযোগ পায়নি। কারা শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারবে, কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, এ পরিস্থিতিটি বোঝার জন্য যে পরিবেশ, তা তারা পায়নি। ফলে আমরা মনে করি, এখন যেহেতু ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক সময়। ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের বোঝার সময় দিতে হবে। কোন ছাত্রসংগঠন ভালো কোনটা মন্দ, সে সময়টুকু নিশ্চিত করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মতামতও দেখতে হবে।তবে কতদিন সময় দেওয়া প্রয়োজন এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি।ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে আহ্বান না করার বিষয়ে নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে বসব। এখন যেহেতু তারা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন না। পরে বসব। আজ যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভর, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছে, যাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির ঐতিহ্য রয়েছে, আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও সামনে আহ্বান করা হবে। ছাত্রশিবিরের বিষয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। সেকারণে তাদেরকে আমরা এ পর্বে আমন্ত্রণ জানাইনি।এ দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ২৮টি ছাত্র সংগঠন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে হাজারো জনতার রক্তের ওপর যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিলো গোষ্ঠীগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহারের কারণে তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা এই জাতীয় ঐক্যে যদি ভাঙনের সৃষ্টি হয় তার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্রসমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (প্রধান) বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

আসিফ-নাহিদের রুটি তৈরির ছবি ভাইরাল, যা জানা গেল

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুইজন ব্যক্তির রুটি তৈরির একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে থাকা দুইজনকে বলা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, এআই দিয়ে অন্যের ছবিতে আসিফ ও নাহিদের মুখ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, রুটি তৈরির ভাইরাল ছবিটি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের নয়। বরং, ছবিটি ভিন্ন দুই শিক্ষার্থীর। প্রকৃতপক্ষে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রিফাত ও তার বন্ধু মো. সাইফুল্লাহ আল হাদীর এই ছবিটি ক্যাম্পাসের পাশে মেসে থাকাকালীন ২০২২ সালে ধারণকৃত। রিউমর স্ক্যানার জানায়, এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রিফাতের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই প্রকাশিত একটি পোস্টে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ছবিতে দুইজন তরুণকে রুটি বানাতে দেখা যায়। ছবিটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টদাতা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রিফাতের সাথে যোগাযোগ কার হয়। ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছবিটা আমাদেরই। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মেসে থাকাকালীন ২০২২ সালের ২৭ জুলাই দুই বন্ধু মিলে রুটি বানাচ্ছিলাম, সেই ছবি।’ আচানক আলোচিত এই ছবিটি আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের নয়। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন দুই শিক্ষার্থীর ছবিকে আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

সার্টিফিকেট তুলতে এসে আটক হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ সংগঠনের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তাকে ছাত্রদলের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আব্দুল মালেক। গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম ফিরোজ মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়। জানা যায়, গতকাল রাতে জিয়া হলের সামনে থেকে কিছু ছাত্র তাকে মারধর করে। আহত অবস্থায় মতিহার থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে মতিহার থানায় নিয়ে আসেন। বর্তমানে তাকে মতিহার থানা হাজতে রাখা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ফিরোজ মাহমুদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল রাতে আহত ছাত্রলীগের এক নেতাকে চিকিৎসা দিয়ে থানায় প্রেরণ করা হয়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে এসেছিলেন। সে বর্তমানে মতিহার থানার হাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জব উৎসব’

বিভিন্ন শিল্পখাতে ৬০০-এর বেশি পদে ২৫০০-এর বেশি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের সুযোগ নিয়ে ১৩০টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনে আজ ২৯ নভেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘জব উৎসব ২০২৪’ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নূরুজ্জআমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আয়াতুল ইসলাম এবং মাইক্রোসফটের (বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্¦বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার এবং বক্তব্য রাখেন ক্যারিয়র ডেভেলাপসেন্টারের পরিচালক ও ‘জব উৎসব ২০২৪’ তানভীর আবীর ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিৃটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফিজার আহমেদ। দুই দিনব্যাপী সাভারের বিরুলিয়ায় বিশ^বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে এই উৎসব চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।এ উৎসবের মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়োগকর্তাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয় এবং চাকরিপ্রার্থীরাও তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পায়। তাছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের কর্মজীবন শুরু করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ কওে এ ‘জব উৎসব ২০২৪’।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আখতার বলেন, ‘এটাকে শুধু ‘চাকরির মেলা’ নয়, বরং এটা শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের একটা দারুণ সুযোগ। পাশাপাশি এই ‘জব উৎসবে’ শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করতে যে অন্যান্য পদক্ষেপ গুলো নেয়া হয়েছে, তা আমাদের শিল্প খাতের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের এই সুযোগকে অবশ্যই কাজে লাগানো উচিত।’এসময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. মাহবুবল উল হক মজুমদার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি শিক্ষার্থীবান্ধব। তাদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি শিল্পখাতের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে তোলার জন্য সবধরনের কার্যক্রম কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে আসছে। তৃতীয় বারের মতো আয়োজিত এই ‘জব উৎসব’-এ আমরা আশাবাদী আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরি খুঁজে পাবে এবং চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে যথাযথ দিক-নির্দেশনাও পাবে।উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য এই আয়োজনের অংশ হিসেবে আরও বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে শিল্পখাতের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দৃষ্টিভঙ্গি ও নির্দেশনার জন্য ‘লিডারস টক সেশন’, শিল্পখাতের নতুন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনটি বিশেষ ‘মাস্টারক্লাস সেশন’, চাকরি প্রার্থীদের পেশাদারিত্ব এবং চাকরির জন্য প্রস্তুতি বিষয়ক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ‘গ্রুমিং সেশন’, চাকরিদাতাদের সরাসরি সিভি জমা দেয়ার জন্য রয়েছে ‘রিজুমে ড্রপ’ এবং সরাসরি নিয়োগের জন্য ‘অন-স্পট ইন্টারভিউ’-এর ব্যবস্থা রয়েছে।শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রæতির বজায় রাখতে এবং বিশ^বাজারের চাহিদার সঙ্গে নিজেদের দক্ষতার সামঞ্জস্য ঘটাতে এই আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে বিশ^বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তবিক অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে এমনটাই আশা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এবার প্রকাশ্যে এলেন শাবিপ্রবির শিবির সভাপতি-সেক্রেটারি

প্রকাশ্যে এসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভাপতির নাম তারেক মনোয়ার ও সেক্রেটারির নাম মাসুদ রানা তুহিন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) শাবিপ্রবির উপাচার্য এএম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে ফ্যাসিবাদমুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ১৩টি বিষয়ে ৫২টি প্রস্তাবনা দেন শিবিরের নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারেক মনোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। আর মাসুদ রানা তুহিন বাংলা বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী।

ঢাবিতে আইনজীবী আলিফের গায়েবানা জানাজা

নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের গায়েবানা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গায়েবানা জানাজা হয়। জানাজার আয়োজন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব লোহাগড়া-সাতকানিয়া। গায়েবানা জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। গায়েবানা জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বরে যান। এসময় তারা ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এর আগে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ইসকন সমর্থকদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনের সড়কে ঘটে এ ঘটনা।

এবার কবি নজরুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা

সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) কলেজের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) কবি নজরুল সরকারি কলেজের শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকবে। এর আগে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ। জানা যায়, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ২০ নভেম্বর ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা লাশ নিতে এলে না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যার পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়। পরদিন ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ডিএমআরসির শিক্ষার্থীরা আবার ন্যাশনাল মেডিকেলে এলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাই সে হামলার প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সুপার সানডে ঘোষণা করে ন্যাশনাল মেডিকেল, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের নেতৃত্বে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার মোল্লা কলেজের নেতৃত্ব ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলার প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) মেগা মানডে ঘোষণা করে সকাল থেকেই কলেজ গেটে অবস্থান নেয় সরকারি সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুলসহ সাত কলেজের হাজারও শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুরের দিকে হাজারও শিক্ষার্থী নিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে তান্ডব চালায় তারা। এ সময় মোল্লা কলেজের ভবনের গ্লাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। বের করে নিয়ে আসতে দেখা গেছে মোল্লা কলেজের বেশ কিছু আসবাবপত্র ও কম্পিউটার। সে সময় সংঘর্ষের কারণে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক। ঘটে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যানচলাচলকারীদের। সংঘর্ষের সময় লাঠিসোঁটা, রড নিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সবশেষে তথ্য মতে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় মোল্লা কলেজের সামনে ইতোমধ্যে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আরও জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৩৫ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এদিকে সংঘর্ষে জড়ানো সোহরাওয়ার্দী, কবি নজরুল ও মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বসার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৪ নভেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, অনিবার্য কারণবশত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কলেজের সকল শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এদিকে বন্ধের নোটিশ উপেক্ষা করেই সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই কলেজ গেটে অবস্থান নিয়ে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুলসহ সাত কলেজের হাজারও শিক্ষার্থীরা ডেমরায় অবস্থিত মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে তাণ্ডব চালিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা চলছে। এ ঘটনায় মোল্লা কলেজের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভুল চিকিৎসায় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল ন্যাশনাল মেডিকেল, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায় মোল্লা কলেজের নেতৃত্বে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স প্রথম বর্ষের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন ‘সুপার সানডে’ ঘোষণা করে সোহরাওয়ার্দী কলেজে, নজরুল কলেজ ও ন্যাশনাল মেডিকেলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। গতকালের হামলার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের নিজস্ব গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ আলমারি ভেঙে নগদ অর্থও লুট করা হয় বলে জানায় কলেজ প্রশাসন।

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে দিনভর সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন। অধ্যক্ষ বলেন, রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রথম বর্ষ সম্মান সমাপনী পরীক্ষা চলছিল। সেসময় অতর্কিত যাত্রাবাড়ী ডেমরা রোডে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি) এবং অন্যান্য কলেজের সহস্রাধিক ছাত্রের একটি দল প্রধান ফটক ভেঙে কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি বারবার পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়ে সন্তোষজনক কোনো সাড়া পাইনি। বিষয়টি মাউশির ডিজি, মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সহায়তা পাইনি। তিনি আরও বলেন, এ সময় ছাত্ররা কলেজ ভাঙচুর করে এবং কেন্দ্রে পরীক্ষারত পরীক্ষার্থীদেরকে আহত করে বের করে দেয়। তারা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত শিক্ষকদের গাড়ি, মোটরসাইকেল, কলেজের মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে এবং কলেজের ১৭টি বিভাগের প্রতিটিতে হামলা চালায়। সকল বিভাগ ও শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র, ফ্যান, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার এবং অফিস ও প্রতিটি বিভাগের আলমারি ভেঙে নগদ অর্থ লুট করে। প্রতিটি বিভাগের বুক সেলফ, অফিসে রক্ষিত শিক্ষার্থীদের মার্কশিট, সনদপত্র, ভর্তি ও ফরম পূরণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভাগের বিভিন্ন বই-পুস্তক ও অন্যান্য মালামাল তছনছ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। সেসময় ডিএমআরসির অধ্যক্ষকে বারবার বিষয়টি অবগত করার জন্য ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। অধ্যক্ষ বলেন, আগে থেকে অবগত থাকা সত্ত্বেও তিনি (ডিএমআরসির অধ্যক্ষ) একবারের জন্যও আমাদেরকে নিজে থেকে অথবা তার কোনো প্রতিনিধিকে দিয়ে খোঁজ নেওয়ারও প্রয়োজনবোধ করেননি। সোহরাওয়ার্দী কলেজের শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে, তারা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালাবে না। যদি কোনো সন্ত্রাসী এই সুযোগের অপব্যবহার করে তবে এর জন্য সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা দায়ী থাকবে না। এ সময় তিনি ডিএমআরসির অধ্যক্ষ এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কলেজের এই অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসলীলার ক্ষতিপূরণ ও দায়ী ছাত্রদের চিহ্নিত করে বিচার ও জবাবদিহিতার দাবি জানান। সেই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, পুলিশের ডিসি (লালবাগ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ডিএমআরসির অধ্যক্ষ প্রতিনিধি নিয়ে একটি জরুরি আলোচনায় বসার দাবি জানান। হামলাকারী শিক্ষার্থীদের আচরণ মেনে নেওয়ার মতো নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজের এক শিক্ষকের গাড়ি ভেঙে তারা তাণ্ডব উল্লাসে মেতেছিল। এটি অশোভনীয় এবং মেনে নেওয়ার মতো নয়। কলেজ রক্ষা করতে না পারায় আমার যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে সেটি সম্পূর্ণ আমার ঘাড়ে নিচ্ছি। তার জন্য যেকোনো ধরনের শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব। এটি অনেক পুরোনো একটি কলেজ। যেখানে অসংখ্য আসবাবপত্র এবং মূল্যবান দলিলাদি ছিল। এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে আগামীকালের মধ্যে (২৫ নভেম্বর) উদ্ভূত সংকটের সমাধান অতীব জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ৭ই ডিসেম্বর ঢাকা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আগামী ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ শনিবার (২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা সম্মেরন কেন্দে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা আইসিপিসি -ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোাগ্রামিং কনটেষ্ট) এর ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব। প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং এর বিশেষত্ব নিয়ে আজ ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রোববার, জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত “মিট দ্যা প্রেস” অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার নানা দিক তুলে ধরেন আইসিপিসি ঢাকা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর আঞ্চলিক পরিচালক এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। “মিট দ্যা প্রেস” অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিেিটডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহআলম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপক (সিস্টেমস) মোঃ গোলাম রাব্বানী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উধ্বতন সহকারি পরিচালক মোঃ অঅনোয়ার হাবিব কাজল, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাষক মোঃ ফেরদৌস আহমেদ ফয়সাল, প্রভাষক তানজিনা আফরোজ রিমি।গংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইসিপিসি ফাউন্ডেশন পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (ওঈচঈ), বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং দক্ষতা, দলগত সমন্বয়, এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা প্রদর্শনের অন্যতম বৃহৎ মঞ্চ। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় প্রতিবছর ৩,০০০-এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০,০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করে ওয়ার্ল্ড ফাইনালের জন্য সেরা দল নির্বাচন করা হয়। ঢাকা আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ী দলগুলো ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড ফাইনালে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বিশ্বের বৃহত্তম অনসাইট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ঢাকা আঞ্চলিক আইসিপিসি ২০২৪, অংশগ্রহণকারী ৩০৮টি দল নিয়ে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় অনসাইট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রিলিমিনারি রাউন্ডে বাংলাদেশের ১৪৮টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন আইটি ইনস্টিটিউটের ২,৪৮৯টি দল অংশগ্রহণ করে। এই রাউন্ডের ফলাফলের ভিত্তিতে এবং অতীতের সাফল্য ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই দলগুলো নির্বাচিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতার বিশ্ব ফাইনাল আগামী ২০২৫ সালে কোথায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা নিয়ে এখনও কোন ঘোষনা না আসলেও চায়না এবং মেক্সিকোর মধ্যে সর্বশেষ পর্যায়ের বৈঠক চলছে, যেই দেশ ই আয়োজন জন করুক না কেনো তা ঐ দেশের জন্য একটি বড় সম্মান।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ৭ই ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত (বিরতিহীন) সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ^বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রতিযোগীতা চলবে। শীর্ষস্থানীয় ১০ টি ইউনিভার্সিটি নগদ অর্থ পুরস্কার, সনদপত্র এবং প্রথম ৩ টি দল ও শীর্ষস্থানীয় নারী দল নগদ অর্থ পুরস্কার, সনদপত্র ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জনের সুযোগ পাবে। প্রথম স্থান বিজয়ীরা ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড ফাইনালে সরাসরি অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পাবে। এছাড়া সকল বিজয়ীরা (চ্যাম্পিয়ন ইউনিভার্সিটি ব্যতীত) ২০২৫ সালের এশিয়া ওয়েস্ট ফাইনালে সরাসরি অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পাবে। এশিয়া ওয়েস্ট ফাইনালে ঢাকা সহ ভারত, পাকিস্তান, ইরান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্থানের আঞ্চলিক বিজয়ীরাও অংশগ্রহণ করবে (চ্যাম্পিয়ন ইউনিভার্সিটিব্যতীত)। এশিয়া ওয়েস্ট এর শীর্ষস্থানীয় দলগুলোও ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ। এবারের আয়োজনে প্রোগ্রামিংয়ে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে জুনিয়র কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।আইসিপিসি ২০২৪ প্রতিযোগিতার সফল আয়োজনের পেছনে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছেঃ এর মধ্যে ডাচবাংলা ব্যাংক লিমিটেড প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে কারিগরি সহযোগিতায় যুক্ত রয়েছে। আর ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড হার্ডওয়্যার সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।প্রতিযোগিতার বিশেষ দিকসমূহঃ ১. মাইক্রো ক্রেডেনশিয়াল প্রোগ্রাম চালু: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদ (ঋঝওঞ)-এর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিশেষ মাইক্রো ক্রেডেনশিয়াল প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষার্থীরা অডঝ, ঙৎধপষব, এবং ঈড়সঢ়বঃরঃরাব চৎড়মৎধসসরহম-এর মতো বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে পারবে, যা তাদের আন্তর্জাতিক পেশাদার দক্ষতায় পরিণত করবে।২. বৃহৎ পরিসরে আয়োজন: দেশের সর্ববৃহৎ জব ফেয়ার আয়োজন, যেখানে শীর্ষস্থানীয় আইটি কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করবে।ক্স প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে লাইভ স্কোরবোর্ড প্রদর্শন এবং বিভিন্ন টেক টক সেশন।ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের চেষ্টায় এ বছরের প্রতিযোগিতা শুধু প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং দেশের আইটি খাতের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।ক্যাপশনঃ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আগামী ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিতব্য আইসিপিসি-২০২৪ (ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোাগ্রামিং কনটেষ্ট-২০২৪) এর ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে আইসিপিসি-২০২৪ এর আঞ্চলিক পরিচালক এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী, ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিেিটডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহআলম পাটোয়ারী ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপক (সিস্টেমস) মোঃ গোলাম রাব্বানীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বাড়ল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কারিগরি সমস্যার কারণে সেবাদানে বিঘ্ন ঘটায় আবেদনের সময় দুই দিন বাড়িয়ে ২৭ নভেম্বর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে সেবাদানে বিঘ্ন ঘটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা আগামী ২৭ নভেম্বর রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে সব অপারেটরের মাধ্যমে এসএমএস চালু রয়েছে। এদিকে গত কয়েক দিন ভর্তির আবেদনের সময় অপারটরদের মাধ্যমে মেসেজ করার পরও ফিরতি মেসেজ না পাওয়ার অভিযোগ করেন একাধিক ভর্তিচ্ছু। উল্লেখ্য, ভর্তিসংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে আবেদনকারীরা। এদিকে বিশ্ব ইজতেমার কারণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে সিটি কলেজ

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সিটি কলেজ প্রশাসন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে সিটি কলেজের ওয়েবসাইটে এ নোটিশ দেয়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা সংক্ষিপ্ত নোটিশে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনার পর ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেয়াসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণা করে। এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েন।

জাবিতে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় আফসানা রাচী নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আট দফা দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান। আজিজুর রহমান জানান, শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) আবদুর রহমান বাবুল, নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, সহকারী সুপারভাইজার আব্দুস সালাম ও ডিউটি গার্ড মনসুর রহমান। আফসানা মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সড়ক উন্নয়ন, সার্বিক নিরাপত্তাসহ আট দাবিতে মঙ্গলবার রাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার করতে হবে। পর্যাপ্ত সড়কবাতি, ফুটপাথ ও গতিরোধক স্থাপন করতে হবে এবং যানবাহনে গতি পরিমাপক রাখতে হবে। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে। নিবন্ধনহীন সব যানবাহন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নিবন্ধন প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সব রিকশাচালকের প্রশিক্ষণপূর্বক নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। অদক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে হবে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবি সাবেক প্রক্টর ৩ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আদালতে তোলা হয় এবং ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। বেরোবি’র সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর আলমনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তার বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই রংপুর।