আমার এলাকার খবর

চট্টগ্রাম সিটির যানজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: মেয়র

চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার বিচ্ছিন্ন কার্যক্রমের বদলে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে চট্টগ্রাম সিটির যানজট নিরসনকল্পে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় মেয়র বলেন, ‘নগরীকে যানজট মুক্ত করতে চসিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিসহ (বিআরটিএসহ) সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন। এ জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য যত্রতত্র চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে যানজট কমানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন। ব্যাটারি রিকশাগুলোর জন্য যে সব অবৈধ চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো বন্ধে আমি আমাদের যেসব ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন, তাদেরকে বলেছি। তবে, আমি বিআরটিএসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলব।’ ‘কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে যে যানজট হচ্ছে, সেটার জন্য আমরা ডিসিকে একটা জায়গার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছি। আশা করি, এই জায়গাটা বেশি বড় না হলেও ওখানকার যে গাড়িগুলো আছে, আমরা হয়তোবা পাার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারব। আশা করছি, সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে বাস টার্মিনাল অথবা বাস স্টেশন চালু হবে। আর বহদ্দারহাট একটা বাস টার্মিনাল আছে, এটাতে আসলে পর্যাপ্ত সুবিধা সেখানে নেই। সেখানে টয়লেট ফ্যাসিলিটিসটা আসলে ভেরি ইম্পর্টেন্ট ও সেখানে লাইটিং ফ্যাসিলিটিস বোধয় কম আছে। তাই, ওগুলো যদি আমরা আরেকটু নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে নাগরিকদের সুবিধা হবে।’ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরীর যানবাহনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হলে যত্রতত্র বাসসহ যে কোন যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না। যাত্রী ছাউনি, বাস স্টপেজ যেখানে থাকবে, সেখানে দাঁড়াতে হবে। এই জায়গায় আমাদেরকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়ানোর কারণে কেবল যে যানজট বাড়ছে, তা নয় বরং সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই অব্যবস্থাপনা।’ ‘আমি কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে, আমাদের কর্পোরেশন উদ্যোগে ভূমি বরাদ্দ দিলে সেখানে দিনের বেলায় কার পার্কিং থাকবে। আর রাতের বেলায় তারা ওই জায়গাটাকে ছোট ছোট দোকান হিসাবে যেগুলো এখন রাস্তায় বসছে, সেগুলোকে মার্কেট হিসেবে তারা ব্যবহার করতে পারবে। এই টাইপের একটা চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। এই চিন্তা নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। যেখানে ফ্লাইওভারগুলো আছে, সেখানে বেশ স্পেস আছে। সে জায়গাগুলোতে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। অন্যান্য যেসব জায়গায় প্রশস্ত না সেগুলোতে শুধু পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি আমার যে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি, অনতিবিলম্বে গোলচত্বরগুলোকে সাইন্টিফিক ওয়েতে কিভাবে যানজট নিরসণের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে, কীভাবে স্পেসটা কমিয়ে এনে যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে, সে ধরনের একটা স্টাডি এনালাইসিস করে আমাকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।’ মেয়র বলেন, ‘বাওয়া স্কুলের যে র‌্যাম্প, সেটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এখানে র‍্যাম্প হতে দেওয়া যাবে না, এটা আমি মেয়র হিসেবে স্ট্রংলি বলতে চাই। আমি সিডিএকে বলেছি, সিডিএর চেয়ারম্যানকে এবং এখানে সিটি নিয়ে যারা পরিকল্পনা করে তাদেরও। নগর পরিকল্পনা নিয়ে যারা ভাবেন, তারাও এই র‌্যাম্পের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয়, এই জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যে, কোন একজন ব্যক্তির লাভের জন্য আমরা আমাদের সিটিতে যানজট করতে পারি না।’ ‘এটা ওই সময়কার একজন ব্যবসায়ীকে খুশি করার জন্য, তার হোটেলের ব্যবসায় ভাল হওয়ার জন্য একটা র‌্যাম্প সেখানে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তার হোটেলের যাত্রীগুলো খুব দ্রুত এয়ারপোর্ট চলে যাওয়ার জন্য। আমি সেদিন উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সামনে স্পষ্ট বলেছি। যারা সাংবাদিক ছিল তারা হয়তোবা আমার কথা শুনেছেন। আমি পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সামনে স্পষ্ট বলেছি যে, পেনিনসুলার যে মালিক, তার খুশি করার জন্য এই কাজটি করা হয়েছে। এখানে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে সেটা করা হয়েছে।’ সভায় ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (ট্রাফিক-উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা। একটি শহরকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন। তবে, চট্টগ্রামে সড়ক আছে মাত্র দশ শতাংশ। এক্ষেত্রে, আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পার্কিংয়ের সংকট। অতি দ্রুত চট্টগ্রাম শহরে পার্কিং প্লেস নির্ধারণ করা জরুরি। আনফরচুনেটলি দেখা যায়, রাস্তার পাশে বিভিন্ন যে কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, মার্কেটগুলো আছে তারা তাদের যে পার্কিংগুলো আছে, সেগুলোকে অকুপাইড করে রেখেছে অন্য কাজে। এগুলো উন্মুক্ত করা দরকার। এক্ষেত্রে সিডিএ’র নিজস্ব ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর মত ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। আমাদের সিটি কর্পোরেশনও আছে। যে সব জায়গায় যতগুলা পার্কিং থাকার কথা, সিডিএর কাছে নিশ্চয় প্ল্যানে আছে। ওগুলো যদি অকুপাইড হয়ে থাকে, সেগুলোকে উন্মুক্ত করলে দেখা যাবে যে, মার্কেটকেন্দ্রিক যে গাড়িগুলো আসে, সেগুলো বেশিরভাগই মার্কেটের নিচে পার্কিংয়ের সুযোগ পাবে।’ সভায় বক্তব্য দেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, বিআরটিএর পরিচালক মো. মাসুদ আলম, ট্রান্সপোর্ট প্রফেসনালস এলাইয়েন্সের সিইও মোহাম্মদ নুরুল হাসান, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী।

এবার বেনাপোলে তিন বাংলাদেশিকে খুনে অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

এবার যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। ইছামতি নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই জায়গায় পাওয়া গেছে আরও এক বাংলাদেশির মরদেহ। স্থানীয়দের ধারণা, একইভাবে তাকেও খুন করা হতে পারে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার উল্টোটা করছে বিএসএফ। এবার বেনাপোল সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল বিএসএফের বিরুদ্ধে। স্বজনরা জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের শাহাবুর হোসেন ভারতে যাচ্ছিলেন কাজের সন্ধানে। আর কাগজপুকুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন যাচ্ছিলেন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধরে নির্যাতন করে, হত্যার পর লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ তাদের। এ দিকে, একই নদী থেকে অজ্ঞাত আরও এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকেও, একইভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তিনটি মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বিজিবির সদস্য রহিস উদ্দীন। এ নিয়ে বেনপোল সীমান্তে চলতি বছরই চার বাংলাদেশি খুনের শিকার হল বিএসএফের হাতে।

গার্মেন্টস কারখানার রুমে ঝুলছিল নারী শ্রমিকের মৃতদেহ

ঢাকার রামপুরা থানা ডিআইটি রোডের ৪৭৫/ই চারতলার মিয়া গার্মেন্টসের একটি রুম থেকে মোছা. শিউলি আক্তার (৩৫) নামে নারীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহমেদুল আরেফিন ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, নিহত শিউলি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার কাঁঠালবাড়ি এলাকার মো. খিদির ব্যাপারীর মেয়ে। বর্তমানে রামপুরার বউবাজার এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া থাকতেন। শিউলির পরিবারের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আহমেদুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৪৭৫/ই ডিআইটি রোড মালিবাগ চতুর্থ তলার মিয়া গার্মেন্টসের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদহ ময়নাতদন্তে জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতন্ত্রের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ শিউলির ভাই আব্দুর রাজ্জাক হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার বোন প্রায় ২৫ বছর ধরে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। সে তুহিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মিয়া গার্মেন্টস নামের একটি গার্মেন্টস পার্টনারশিপ হিসেবে কাজ করে। আমার বোনের তার সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে বহু দিন ধরেই দ্বন্দ্ব হয়ে আসছিল তুহিনের।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতে আমার বোনকে ওই গার্মেন্টসে ডেকে নিয়ে যায়। দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বোনকে মারধর করে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরে আমার বোন মারা গেলে ওই ব্যক্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।’

চা খেতে ২৫ হাজার নেন ইউএনওর অফিস সহকারী

রংপুর জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহকারী (কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক) মো. রায়হান মিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাতাসন লতিবপুর গ্রামের মৃত রজব উদ্দিনের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার পুত্রের স্ত্রী বানেছা বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ চেয়ে ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট ইউএনও বরাবর দুইটি আবেদন করেন। দীর্ঘ দিন পর আচানক মিঠাপুকুর ইউএনওর অফিস সহকারী রায়হান ভুক্তভোগী বিধবা কহিনুরের কল দিয়ে আবেদন খরচের কথা বলে দুই দফায় পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে কহিনুর ও বানেছা বেগম ঘর বরাদ্দ পেয়েছে এই কথা জানিয়ে দুই দফায় আরও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এতে মোট ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে রায়হান। এ দিকে দীর্ঘ দিন পর উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পায় কহিনুর বেওয়া (৭০)। কিন্তু, ঘরে উঠার আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশের স্থানীয়রা ঘর দখল করে নেওয়ায় ঘরে উঠতে পারেননি এই বিধবা। এক দিকে সুদ কারবারির কাছে নেওয়া টাকার সুদের চাপ, অন্য দিকে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে উঠতে না পাওয়ায় টাকা ফেরত পেতে চাপ দেওয়ার পর স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্থতায় ১৩ হাজার টাকা ফেরত পেলেও বাকি ১২ হাজার টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিধবা এই বৃদ্ধা নারী। মিঠাপুকুরের রাণীপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহফুজ আল রেজা বলেন, ‘এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বৃদ্ধা কহিনুরকে ঘরে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমি যাওয়ার পর সেখানে বসবাসকারীরা ঘরে তালা দিয়ে সরে থাকায় অবৈধ বসবাসকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত রায়হান বলেন, ‘আমার অত চাওয়া-পাওয়া নেই। মিঠাপুকুরে এমনও লোক আছে দিনে ১০-২০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আমি তো তার কাছে টাকা চেয়ে নেইনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর ওই মহিলা খুশি হয়ে দুই দফায় বিশ হাজার টাকা চা খাওয়ার জন্য দিয়েছিল। আমি কাজ করে দেই, এ জন্য অনেকে খুশি হয়ে এক-দুই হাজার টাকা এমনি দেয়।’ তিনি বলেন, ‘২৫ হাজার টাকা নেইনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর ওই মহিলা খুশি হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল চা খাওয়ার জন্য। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তো একটা করে ঘরের জন্য ৩০-৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। ওই মহিলা ঘরে উঠতে না পারায় স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্থতায় ১৩ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার আর কোন ঝামেলা নেই।’ মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, ‘আমি পরিদর্শনে আছি। আপনি অফিসে আসেন, এ ব্যাপারে সরাসরি কথা বলব।’

সাংবাদিক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায় প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে শামা ওবায়েদ সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুকে নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই মিছিল করা হয়। বুধবার বিএনপির নেতাকর্মীরা নগরকান্দা বাজার থেকে একটি ঝাড়ু মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে শামা ওবায়েদকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে প্রকাশ্যে ইলিয়াসকে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা যুবদলের নেতা তৈয়বুর রহমান মাসুদ, হেলাল উদ্দিন হেলাল, উপজেলা যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

ময়লা ব্যবসায়ের বিরোধে খুন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া যুবক

চট্টগ্রাম সিটিতে ময়লা ব্যবসায় নিয়ে বিরোধের জেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া জসিম উদ্দিন নামে যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান। জানা যায়, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত নয়টার জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন জসিম। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ধারাল কোন অস্ত্র দিয়ে জসিমের গলার এক পাশে আঘাত করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে শ্বাস নালি কেটে যায় জসিমের। পরে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ নিহতের চাচা বশির আহমদ বলেন, ‘আমার ভাতিজা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া জসিম বিএনপির রাজনীতি করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে সেটা জেনেছি। এ ঘটনায় খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’

বনানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন

ঢাকা উত্তর সিটির বনানী থানাধীন কড়াইলের বৌ বাজার বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ফায়ার সার্ভিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল ইসলাম ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বুধবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।’তিনি আরও বলেন, ‘বৌ-বাজার বস্তিতে আগুন লাগার খবর আসার পর পরই গাড়ি পাঠানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট। আরও দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। যানজটে রাস্তায় আটকে আছে।’প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোন খবর জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদন্ড। প্রবাসী কর্তৃক প্রেরিত রেমিটেন্স দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একমাত্র খাত। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দিন দিন দেশের অর্থনীতিকে অধিকতর শক্তিশালী করছে। তাই, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম।’ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সিটির কাজীর দেউড়ির সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস আয়োজিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার - বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিকেল ট্রেনিং সেন্টারের (বিকেটিটিসি) অধ্যক্ষ পলাশ কুমার বড়ুয়া, মহিলা টেকনিকেল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) অধ্যক্ষ আশরিফা তানজীম বক্তব্য দেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. কামরুজ্জামান আরো বলেন, ‘প্রবাসীরা আমাদের অমূল্য সম্পদ। কোন এলাকায় একজন প্রবাসী থাকলে সে এলাকার যুবক ছেলেদেরকে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। এতে দেশের বেকার সমস্যা যেমন সমাধান হয়, তেমনি অর্থনীতি হয় আরো শক্তিশালী।’ তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যেমন তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। তাই, প্রবাসীদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত। দেশে ও বিদেশে কোন প্রবাসী যাতে কোন রকম হয়রানির শিকার না হন, তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে।’ শুভেচ্ছা বক্তব্যে মহেন্দ্র চাকমা বলেন, ‘প্রবাসী বল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ১৬৮ টি দেশে বৈধভাবে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৭৬টি দেশে এক কোটি ৩০ লাখের অধিক বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী কর্মরত আছেন এবং তাদের প্রেরিত রেমিটেন্স আমাদের জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ।’ তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস হতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি হতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬১ হাজার ২৪৯জন অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীর নাম কেন্দ্রীয় ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়েছে। এছাড়াও, চট্টগ্রাম জেলায় বিকেটিটিসি, মহিলা টিটিসি, টিটিসি রাউজান ও সন্ধীপ অভিবাস প্রত্যাশী কর্মীদের প্রাক-বর্হিগমন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।’ অনুষ্ঠানে প্রবাসী পরিবারের মেধাবী সন্তান, মৃত প্রবাসী পরিবার, প্রতিবন্ধী, সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রদানকারী পরিবারের সদস্যদের চেক দেয়া হয়। এছাড়াও, এ উপলক্ষে আগ্রাবাদস্থ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে দিনব্যাপী জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। সভার শুরুতে সার্কিট হাউস চত্বরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষনবিশি প্রশিক্ষণ দপ্তর, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, ওয়েল ফেয়ার সেন্টার, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত অংশ নেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন।

আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আরও এক মামলায় গ্রেফতার দশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ দশজনকে আরও এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার দিকে অবকাশকালীন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বাকি আসামিরা হলেন আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস, সনু দাস।বুধবার সকালে আদালতের প্রাঙ্গণে সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনসহ দশ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।এ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতের প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় খুনের শিকার আলিফের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ দশজনকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।’চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ আরও দশজনকে কোতোয়ালি থানার আরো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। আদালতের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই হত্যার ঘটনায় এরা দশজনই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।’

উত্তপ্ত ইজতেমা ময়দানে ১৪৪ ধারা জারি

গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ এর আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে ওই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন ২০১৮’-এর ৩০ ও ৩১ ধারায় পুলিশ কমিশনারকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর দুইটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় নিম্নলিখিত আদেশ বলবৎ থাকবে।’ এ দিকে এ ঘটনায় টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে নাজমুল করিম খান বলেন, ‘মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই আদেশ বলবৎ থাকবে।’ জানা যায়, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে শতাধিক। এদের মধ্যে ৩৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বেলাল হোসেন (৫৫)। মুসল্লিরা জানান, আগামী শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জোর ইজতেমার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সে উপলক্ষে মুসল্লিরা আসতে থাকেন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে মুসল্লিদের একটি পক্ষ মাঠে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বাধে বিপত্তি। শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। এতে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গী আহসানউল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বেলাল হোসেন নামে আরেক জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

সাদপন্থিদের দুঃখপ্রকাশ, ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা

গাজীপুর জেলার টঙ্গিতে তাবলীগের ইজতেমা ময়দানে মারামারি ও নিহত-আহতের ঘটনায় সাদপন্থিরা দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তারা সরকারের নির্দেশ মেনে ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মাওলানা সাদপন্থী নেতা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। রেজা আরিফ বলেন, ‘গতকাল রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি আমরা। কারা এজন্য দায়ী সেটা নিয়ে এখন আর আলোচনা করব না । ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না এমনটা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই গ্রুপকে মাঠ ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ছেড়ে দিব আমরা। জুবায়ের গ্রুপ যেন মাঠ ছেড়ে দেন, সেই অনুরোধ করছি আমরা।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেজা আরিফ বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই আমরা মুসলমান হিসেবে এবং দেশের নাগরিক হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। যা হয়েছে, অনুচিত হয়েছে। মুসলমান মুসলমানের মারামারি এটা একেবারে ঠিক হয়নি।’ ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের পর মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে বুধবার বেলা ১১টায় বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা। সাদপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর যোবায়েরপন্থীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তারা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন উপস্থিত রয়েছেন। এর আগে ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে যোবায়েরপন্থি ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কতজন মারা গেছেন, তা নিয়ে কিছু বলেননি রেজা আরিফ।

চট্টগ্রামে পুলিশ সংস্কার সংলাপ: আস্থা ও পরিবর্তনের সুর

‘পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ হবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান; যা সামগ্রিকভাবে নাগরিকদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করবে। পুলিশ সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, তার বাস্তব প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য ও মামলা বাণিজ্য বন্ধ করে শতভাগ দুর্নীতিমূক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন করতে হবে। থানাগুলোকে সংস্কার করে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পুলিশের বেতন কাঠামো সংস্কার করে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে বিশেষ সংলাপের মাধ্যমে পুলিশ সংস্কারের পথে এসব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বাস জানানো হয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার এই মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘পুলিশ সংস্কার বিষয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশ্যা ও করণীয় শীর্ষক’ সংলাপটি আয়োজন করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশান (ইপসা)। এতে কারিগরী সহায়তা দেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনায় অংশ নেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। একটি আধুনিক, জনমুখী ও মানবাধিকার-সংবেদনশীল পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয় অনুষ্ঠানে। বক্তারা পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কারকে একটি সম্মিলিত প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে সাধারণ মানুষের মতামত ও অংশগ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সংলাপ যেন সেই জনমতেরই প্রতিচ্ছবি- এমনটাই আশা প্রকাশ করেন বক্তারা। তিনটি প্রধান বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় সংলাপ অনুষ্ঠান। কিভাবে জনগণের জন্য নিরাপত্তা পরিষেবার মান আরও উন্নত করা যায় এবং পুলিশের সাথে তাদের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও সহজ ও বন্ধুত্বপূর্ণ করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। পুলিশের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়, যেখানে বিভিন্ন প্রকার আইনি ও পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রস্তাব আসে। এছাড়া, কিভাবে নারী, পুরুষ, শিশু ও সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য পুলিশের সেবা আরও সহজলভ্য ও সমতাপূর্ণ করা যায়, সেই বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রয়োজন ও অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল একটি পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে। সংলাপে উপস্থিত সকলে পুলিশ বাহিনীর সামনে থাকা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেন এবং একটি আধুনিক ও জনমুখী পুলিশি কাঠামো তৈরীর জন্য তাদের মূল্যবান সুপারিশ পেশ করেন। বিশেষ করে, সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের সুসম্পর্ক স্থাপন, মানবাধিকার রক্ষা ও পুলিশ বাহিনীতে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণের বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আমীর মোহাম্মদ নাসরুল্লাহের পরিচালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নেসার উদ্দিন আহমেদ এবং সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা। বক্তব্য দেন চবির আইন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, শ্রমিক নেতা তপন দত্ত, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাদিকা সুলতানা চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, নীলা আফরোজ, আরিফ মঈনুদ্দীন, তাওহীদ আলিফ, সিটিজেন ফোরামের সহ-সভাপতি মো. আবু সাঈদ সেলিম, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, এডভোকেট মিলি চৌধুরী, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু সুমন প্রিয়, রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিনিধি সিয়াম আল জাকি, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার, ব্র্যাকের বিভাগীয় ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া প্রমুখ। সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, কমিউনিটি প্রতিনিধি, যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।সংলাপের শেষ পর্যায়ে বক্তারা জানান যে, এই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসা সব মতামত ও সুপারিশ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। এই সংলাপ শুধু একটি আলোচনাই নয়, বরং একটি উন্নত ও জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ- এমনটাই মনে করেন সকলে।

বিদেশফেরত প্রেমিকার লাগেজ নিয়ে চম্পট, প্রেমিক গ্রেপ্তার

মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে বিদেশ ফেরত প্রেমিকার লাগেজভর্তি মালামাল বিমানবন্দর থেকে নিয়ে সুকৌশলে চম্পট দেওয়া প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৮)।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ।সাদ্দাম হোসেন কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার বুলিয়া পাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার চরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসার বাসিন্দা।পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘এ সময় তার কাছে থেকে কম্বল, ৪টি ঘড়ি, সাবান, শ্যাম্পু, পারফিউম, মোবাইল এবং লাগেজসহ ২০ ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।’

বিএনপি নেতার নাম নিতে বিলম্ব করায় সরকারি কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

ভোলার লালমোহনে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনাকালে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নাম নিতে বিলম্ব করায় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, মহান বিজয় দিবসের সকালে লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠান শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন। সঞ্চালনাকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নাম বলতে বিলম্ব হয়। এতে ওই কর্মকর্তার ওপর ক্ষিপ্ত হন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত। এ সুযোগে ওই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বাবুল পঞ্চায়েতের ক্যামেরাম্যান যুবদল নেতা মেহেদী হাসানসহ আরও কয়েকজন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ছিল বিজয় দিবস। এটা ছিল সরকারী প্রোগ্রাম। কাজেই নেতার নাম নেওয়া নিয়ে কোন ঝামেলা হয়নি।হেনস্তার শিকার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন বলেন, যা হয়েছে তা তো শুনেছেন। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, বিজয় অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে কয়েকজন দাবি করেছেন যে, তাদের নেতার নাম যথাযথভাবে উচ্চারণ করা হয়নি বা বলা হয়নি। এটুকুই এর বেশি কিছু না।উল্লেখ্য, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় চাঁদাবাজি ও চরদখলসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানান, পটুয়াখালীসহ অন্যান্য জেলার সাথে মাঝেমধ্যে চরের বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়।

কলেজছাত্রী সুজানার বন্ধু কাব্যর মরদেহও মিলল একই লেকে

কলেজছাত্রী সুজানার পর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাঞ্চলে একই লেক থেকে তার বন্ধু শাহিনুর রহমান কাব্যের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। সুজানার মরদেহ উদ্ধারের ১৫ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে ১৬ বছর বয়সী কাব্যের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কাব্য কাফরুল থানার কচুক্ষেত বউবাজার এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে। সে রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।এছাড়া সুজানা ঢাকার ভাষানটেক সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও ঢাকার কচুক্ষেত এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার মেয়ে। বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও পুলিশের সহযোগিতায় সেতুর নিচ থেকে লেকের পানিতে মোটরসাইকেলের নিচে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আগের দিন লেক থেকে সুজানার মরদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, মঙ্গলবার সকালে পূর্বাচল ২ নম্বর সেক্টরে কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের বউরাটেক এলাকার ৪ নম্বর সেতুর নিচে লেক থেকে পুলিশ সুজানা নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। তার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি সুজানার সঙ্গে কাব্য নামে আরেক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। পরে আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় পুলিশ লেকের পানির নিচ থেকে মোটরসাইকেলসহ কাব্যের মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘুরতে আসা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

বরিশাল নগরীতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান আলী শোভন (৩৩) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইমরান ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে ওয়ার্ড যুবদলের পদপ্রত্যাশী।বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) নগরীর রূপাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তিনি রুপাতলী নতুন আবাসিক এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বন্ধুর সঙ্গে নগরীর নতুন হাউজিং এলাকায় ঘুরতে আসেন কাউনিয়া এলাকার এক তরুণী। তাদের দুজনকে রুপাতলী থেকে জিম্মি করেন যুবদল নেতা ইরমান ও তার সহযোগীরা। সেখান থেকে নিয়ে ইরমানের একটি বিশেষ কক্ষে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ সময়ে তরুণীর বন্ধুকে আরেকটি রুমে আটকে তার মোটরসাইকেল ও মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। এ ছাড়া তাকে বেধড়ক পেটান ইরমানের চারজন সহযোগী। পুলিশ আরও জানায়, বুধবার সকালে মুক্তিপণের টাকা ম্যানেজ করার কথা বলে বের হয়ে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে রুপাতলী এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি, শ্রমিক মারধর করার মতো অভিযোগ আছে। এ ছাড়া রূপাতলী এলাকার মাদক সিন্ডিকেটও তার দখলে বলেও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।

মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই হাফেজ নিহত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে পিকআপ-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বড়বাইদ এতিমখানার ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার বড়বাইদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শেরপুরের ইমাম হাফেজ হাবিবুর রহমান ও টাঙ্গাইলের নাগরপুরের হাফেজ হাসান শিরাজী মুয়াজ্জিন। পুলিশ জানায়, ভোরে মোটরসাইকেলে করে হাফেজ হাবিবুর ও হাফেজ হাসান এতিমখানায় যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিবুর ও হাসান নিহত হন। এ বিষয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।’

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর বালুঘাট দখলে নিতে তাণ্ডব, গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর দুটি বালুমহাল দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ১৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ৬টি অগ্নিসংযোগ করা হয়। মঙ্গলবার ফেরিঘাট বালুমহাল ও মসলেমপুর ১২ মাইল বালুরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার ওসি শহিদুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সশস্ত্র মহড়া এবং উত্তেজনা চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার পুরাতন ফেরিঘাট বালুমহালে হামলা চালায়। ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল থেকে নেমেই শতাধিক সন্ত্রাসী ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষার্থে বালু ব্যবসায়ীরা আড়ালে পালিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের ভাতিজা জহুরুল ইসলাম বিজলী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম চুনুর নামে ঘাট ছিল। টাকা উঠাতেন জাকিরুল নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। এই বালুঘাট দখল নিতে আধিপত্য বিস্তার করতেই রোকনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। আরেক বিএনপি নেতা বিপ্লব মালিথা বলেন, ‘নাইন এম এম পিস্তল, শটগান, দোনলা বন্দুকসহ প্রত্যেকের হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তারা প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছেন।’ এ দিকে ফেরিঘাটের বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই সশস্ত্র এই বাহিনী চলে যায় পাশের ১২ মাইল বালুঘাট দখল নিতে। সেখানেও একইভাবে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। বালুঘাটে থাকা বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম বিশু এবং তার ছেলে শামসুজ্জামান সবুজকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় অন্তত ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ বিষয়ে শামসুজ্জামান সবুজ অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি নেতা তৌহিদুল ইসলাম নির্দেশে তার ক্যাডার রোকন ও উজ্জ্বলের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘাটে প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আমার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।’ জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে খাস আদায় করার জন্য ইজারা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা অভিযোগ আনছেন তারাই জোর করে বালুমহাল চালাচ্ছেন। তাদেরই কোনো বৈধতা নেই। বরং গত দুদিনে তারা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছেন। আমার লোকদের ওপর গুলি করেছেন। আমার ৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবন নষ্ট করতেই একদল লোক কাজ করছেন। আমি সবকিছু বৈধভাবে কাজ করছি। এখানে কোনো মহড়া দেওয়া বা অবৈধ পথ অবলম্বন করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’ এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পঞ্চগড়ে ৮ ডিগ্রিতে নামল তাপমাত্রা, বিপর্যস্ত জনজীবন

উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৬ দিন ধরে এ অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় এ তথ্য জানান। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই গ্রামগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষরা। যদিও ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠে গেছে সূর্য। বেলা বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে রোদের তেজ। সকাল ৯টার পর হারিয়ে যেতে থাকে কনকনে শীতের প্রভাব। এ দিকে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতের প্রভাব থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক ও দিনমজুর। তারা জানান, সকাল ৯টার পর থেকে এ অঞ্চলে আর ঠান্ডা থাকছে না। তবে নদীর পানিতে পাথর তুলতে গেলে বরফগলা পানিতে নেমে পাথর তুলতে গেলে দিনশেষে জ্বর, সর্দি আর কাশিতে ভুগতে হচ্ছে। পাথর তুলেই পরিবার চলে। পরিবারের কথা চিন্তা করেই কাজে বের হতে হয় আমাদের। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। বুধবার সকাল তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৭৭ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। তবে ভোরে কুয়াশা থাকছে না। ভোরেই দেখা মিলছে সূর্য। দিনের তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।’

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাত, দুই কিশোরের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে তর্কাতর্কির জেরে ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার খোলসি গ্রামের এজাবুলের ছেলে মাসুদ এবং একই উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান। আহতদের নাম জানা যায়নি। নাচোল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাতে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে দুজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন এবং একজনকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে তর্কাতর্কির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

তাবলীগ জামাতের যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার জানান, রাতে ইজতেমা মাঠে মারামারির ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজন লোকাল হাসপাতালে, আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ৫০-৬০ জন আহতের খবর জানা গেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

মাঝরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল করা নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থি অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার দুইজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বী সৈয়দ ওসিফুল ইসলাম তাদের আরও এক সাথী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০)। অপরজন হলেন বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। ওসি হাবিব বলেন, রাতে ইজতেমা ময়দানে মারামারির ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজন হাসপাতালে, আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে। আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গীর খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)। পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা জোড় ইজতেমা পালন করেন। এরপর ২০ ডিসেম্বর থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা জোড় ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলে তাদেরকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেন জুবায়ের অনুসারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সাদ অনুসারীদের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ ঠেকাতে ময়দানের চারপাশে ও বিভিন্ন সড়কের মোড়ে লাঠি হাতে পাহারা বসায় জুবায়ের অনুসারীরা। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে বাস-ট্রাকে করে মাঠে আসতে থাকে। মধ্যরাতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সাদ অনুসারীদের গাড়ি আটকে দেন জুবায়েরপন্থিরা। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের দুইজন নিহত ও অন্তত অর্ধশত মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। সাদপন্থি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, ২০ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাদের জোড় ইজতেমা শুরুর হওয়ার কথা ছিল। মাঠ প্রস্তুতির জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাঠের আশপাশে রাস্তার পাশে মুসল্লিরা এসে অবস্থান নিচ্ছিলেন। আমাদের এ প্রস্তুতি দেখে জোবায়েরপন্থি লোকজন বাইরে থেকে গাড়ি ভরে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং আমাদের লোকজন ইজতেমা ময়দানে ঢুকে পড়ে। সেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে আবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে। সকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে করে জেলা আইনজীবী সমিতি। সংবাদ সম্মেলন করার পর দুপুরে আদালত ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। আইনজীবী সমিতি ভবনে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইউনুছ সরকার জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠজন আসাদুজ্জামান খোকনকে জামিন করান। চট্টগ্রাম আদালতে দায়ের হওয়া মামলার উপনথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এনে বিচারককে চাপ প্রয়োগ করে জামিন করিয়েছেন, যা নজিরবিহীন ঘটনা। এরপর কসবার একটি পারিবারিক সালিশ করার জন্য বাদী পক্ষের হয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের কক্ষে যান জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, জেলা সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদর উপজেলা সংগঠক হাসান নাসিমুল রাসেল। তবে বিলম্বজণিত কারণে ওইদন সালিশ না হবার কথা জানানো হয়। কিন্তু আতাউল্লাহসহ তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা ওইদিনই সালিশ করতে আইনজীবীদের সাথে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। একপর্যায়ে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে হওয়া টানা হেঁছড়ার সময় টেবিলের গ্লাসে লেগে পড়ে গিয়ে একজন আহত হন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকে লাইভ করে অপপ্রচার চালানো শুরু করে তারা। পরে তাদের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন এসে মফিজুর রহমান বাবুলের কক্ষে ভাঙচুর চালায়। তবে মফিজুর রহমান বাবুল কোনো পক্ষেরই আইনজীবী নন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এদিকে, দুপুরে পৌর এলাকার কাউতলীর সড়ক ভবনের সামনে থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শেষ হয়। সেখানে তারা মফিজুর রহমান বাবুলকে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক উল্লেখ করে তাকে গ্রেপ্তারে শ্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ তাদেরকে সেখানে আটকে দেয়। এক পর্যায়ে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে সার্কিট হাউজের ভেতরের রাস্তা দিয়ে আবার আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করে। এখানেও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তারা। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মো. আতাউল্লাহসহ বক্তারা বলেন, আদালতের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ ধরতে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে আইনজীবীর নামে কতিপয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, আদালত এলাকায় বিক্ষোভ কিংবা অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। বিক্ষোভকারীদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতিতে পুলিশ সতর্ক আছে। উল্লেখ্য, গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এক মামলা সালিশ সভায় বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে আইনজীবীদের হামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, জেলা সংগঠক জিহান মাহমুদ ও উপজেলা সংগঠক হাসান নাছিমুল রাসেল আহত হয় বলে অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

পূর্বাচলের লেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের একটি লেকে পাওয়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত কিশোরীর নাম সুজানা। ১৮ বছর বয়সী এ তরুণী ঢাকার ভাষানটেক সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। সুজানা ঢাকার কচুক্ষেত এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার মেয়ে। মরদেহটি শনাক্ত করেছেন তার মা চম্পা বেগম। নারয়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সোমবার বিকেলে বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বের হয়েছিল সুজানা। রাতে আর বাসায় ফেরেনি। গণমাধ্যমে একটি অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহটি সুজানার বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী ইসলাম। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালের দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল ২ নং সেক্টরের বউরারটেক এলাকার লেক থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা সকাল ৮ টার দিকে লেকটিতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, প্রাথমিকভাবে নিহতের গলা ও মুখমণ্ডলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, গতরাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। ওসি আরও জানান, লেকের পাশ থেকে একটি হেলমেট ও ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।