আইএমএফের ঋণ: চতুর্থ কিস্তিতে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নতুনভাবে আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও আইমএএফের প্রতিনিধি দল। চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গেল ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শেষে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্যের বিষয়টি জানায়। এ প্রতিনিধি দলের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফের আগামী নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে অনুমোদন সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। নতুন ঋণের বিষয়টিও ওই বোর্ড সভার অনুমোদন নিতে হবে। আইএমএফের সাথে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে সম্প্রতি আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায় মিশন।
আইওটা কনসালটিং বিডির সাথে এনসিসি ব্যাংকের বিশেষ সার্ভিস চুক্তি সই
আইওটা কনসালটিং বিডির সাথে বিশেষ সার্ভিস চুক্তি সই করেছে এনসিসি ব্যাংক। সম্প্রতি এ চুক্তি সই করা হয়। এই চুক্তির আওতায় এনসিসি ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে আইওটা কনসালটিং বিডি।এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন এবং আইওটা কনসালটিং বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চুক্তিতে সই করেন। এ সময় এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসভিপি ও সাসটেইনেবল ব্যাংকিংয়ের প্রধান নিঘাত মমতাজ, আইওটা কনসালটিং বিডির চীফ বিজনেস অফিসার সমীর হাসান, চীফ অপারেটিং অফিসার কায়সার মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না: সয়াবিন সরবরাহ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কি বহু বেশি শক্তিশালী- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট না বলে ব্যবসায়ী যারা আছে, তারা খুব শক্তিশালী। ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুব বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, এজেন্ট আছে, এটা একটা কমপ্লেক্স। যেটা ভাঙা সহজ না।’ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে যদি আমরা একসঙ্গে ধরি, তাহলে দেখবেন বাজারে এর থেকে আরও বেশি প্রভাব পড়বে। আমরা চাই, সবাই ব্যবসায় করুক। তবে, অতিরিক্ত লাভ করুক, তা চাই না। আমরা চাচ্ছি আমাদের দিক থেকে সরবরাহটা থাকুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা মেসেজ যায়।’ সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই। আজকে সার, সয়াবিন তেল, চাল, মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছি। এতে সয়াবিনের দাম সহনীয় হতে পারে। রমজান পর্যন্ত যত ধরনের নিত্যপণ্য আছে- চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করে চেষ্টা করছি, বাজারটা যাতে আরেকটু সহনীয় থাকে। তবে, একটু সময় লাগবে। কারণ, এগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। লোড আনলোডে সময় লাগে।’ বাজারে এখনও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা ২০০ টাকার ওপরে দাম নিচ্ছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারের বিষয়ে আমাদের একটু গ্যাপ আছে। যে দিন দাম আট টাকা বাড়ানো হল, তার পর দিন সরবরাহ বহু কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের একটা প্রত্যাশা আছে, আট টাকা বাড়ানো হয়েছে, আরও হয়তো বাড়বে। আজকে আমরা সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি, আমাদের দিক থেকে সরবরাহটা থাকুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা যায়।’ ভোক্তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে, বাজারে মনিটরিং হচ্ছে না, সে জন্য দাম বাড়ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজার মনিটরিং হচ্ছে না, বিষয়টা কিন্তু তা না। অন্যান্য দেশে কিন্তু এ রকম হয় না। বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কয়টা জায়গায় যেতে পারে। কিছু দিন আগে আমি পাবনা গেলাম। সেখানেও একই অবস্থা। ডিসিদের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা বাজারে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ঠিক থাকে। চলে এলে যেই সেই অবস্থা। এ জন্য ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। বাইরের দেশগুলোতে কিন্তু ভোক্তারা সচেতন৷ তারা অভিযোগ দেন।’
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শফিক অবরুদ্ধ
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ব্যাংকটির ম্যানেজাররা। তারা তাকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল দশটা থেকে তাকে ঢাকার কারওয়ান বাজারে টিকে ভবনে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ব্যাংকের ৩৩ শাখার ম্যানেজাররা। এ সময় ম্যানেজাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে (মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ) পুনর্নিয়োগ না দিলেও তিনি জোর করে অফিস করছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্তে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি ব্যাংক ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে তার পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করা হয়। পাশাপাশি, দ্রুত ব্যাংকটিতে একজন নতুন এমডি নিয়োগেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুশনে আরা শিখা। এ দিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এখনো অফিস করছেন শফিক। সেই সঙ্গে তার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পুনরায় আবেদন করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। এ নিয়ে মোহাম্মদ শফিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যাংক থেকে পুনরায় আবেদন করা হয়েছে।’ আপাতত নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ব্যাংকটি থেকে তাকে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের বাণিজ্য, অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় শেখ বশিরউদ্দীনে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগ বান্ধব ডেস্টিনেশন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তবর্তী সরকার বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।’ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রম সংস্কার কমিশন। শ্রমিকদের জন্য উত্তম কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীনে বলেন, ‘এ দেশের মানুষের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরি ও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের মাধ্যমে সুইডেন সম্পর্ককে আরো বেগবান করতে পারে।’ এ সময় তিনি এলডিসি উত্তর সময়ে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের কোটা সুবিধা চালু রাখতে সুইডেনের সহযোগিতা কামনা করেন। নিকোলাস উইকস বলেন, ‘বাংলাদেশে সুইডেনের কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে ট্রাডিশনাল, কমার্শিয়াল ও ইকোনমিক খাতে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি সুইডেনে তৈরি পোশাক পণ্য ছাড়াও অন্য পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান ও কাওসার নাজনীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পর্যায়ে রেমিট্যান্স এওয়ার্ড ২০২৪ পেল ন্যাশনাল ব্যাংক
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রেমিট্যান্স সংগ্রহে অনন্য অবদান রাখায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘রেমিট্যান্স এওয়ার্ড ২০২৪’ পেয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস’-এর অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছ থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে এওয়ার্ড নেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও ফরেন রেমিট্যান্স বিভাগের প্রধান মিল্টন রায়। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. রুহুল আমিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
টানা দ্বিতীয় দিন সূচক বাড়ল শেয়ারবাজারে
দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা দ্বিতীয় দিনের মত সূচক বেড়েছে; লেনদেনের পরিমাণ ছিল সাত কার্যদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হওয়া বাজারে দিন শেষে যোগ হয় ৪৫ পয়েন্ট। আগের দিন সোমবার (১৬ ডিসেম্ব) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল পাঁচ হাজার ১৭৮ পয়েন্ট। মঙ্গলবার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিন শেষে লেনদেন হয় ৪৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর আগে সবশেষ ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় সাত কার্যদিনে আগে। মাঝের কয় দিন লেনদেন নেমেছিল ৪০০ কোটি টাকার নিচে। এমনকি গত ৯ ডিসেম্বর তা ২৭৮ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকে। সবশেষ দুই কার্যদিবস বাদ দিলে তার আগের ছয় দিন একটানা সূচক ও লেনদেন ছিল নিম্নমুখী। গেল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সূচক বাড়লেও লেনদেনে খুব একটা আশা জাগায়নি। মঙ্গলবার লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরও। মঙ্গলবার সকালেই ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে মূল্যসূচক উঠে যায় পাঁচ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে। পরের ধাপে কিছুটা দর সংশোধন হলে শেষ বেলায় ৪৫ পয়েন্ট যোগ করে সূচক শেষ হয় পাঁচ হাজার ২২৩ পয়েন্টে। আগের দিনের মত তালিকাভুক্ত ‘এ’ শ্রেণির কোম্পানির লেনদেন ও শেয়ার দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড লেনদেন করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের কোম্পানি মিশ্র ধারায় লেনদেন করেছে। কিন্ত, লেনদেনে একক খাত হিসেবে ওষুধ ও রসায়ন খাত সূচক বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। খাতভিত্তিক লেনদেনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, মোট লেনদেনের মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর ছিল ১১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। মিশ্র ধারায় লেনদেন করে বস্ত্র খাতের দশ শতাংশ ও ব্যাংকের অবদান ছিল নয় দশমিক ছয় শতাংশ। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনে আসা ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়ে ২১০টির; কমে যায় ১১০টির ও আগের দিনের দরে লেনদেন হয় ৭৬টির। আচামকা ব্লক মার্কেটে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নয় কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। এছাড়া, বিতর্কে থাকা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের এক কোটি ২৬ লাখ টাকা, এবি ব্যাংকের দুই কোটি ১১ লাখ টাকা, ফাইনফুডসের এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের দুই কোটি ৮৩ লাখ টাকা ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। মঙ্গলবার দিন শেষে এ বাজারে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শীর্ষ দর বৃদ্ধি কোম্পানির তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং জিপিএইচ ইস্পাত। কোম্পানি দুটি সার্কিট ব্রেকারের কাছে, অর্থাৎ দশ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে। এছাড়া, দর বেড়েছে জেমিনি সি ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন ও অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের। অন্য দিকে, ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শেয়ার দর হারানোতে শীর্ষে উঠেছে মেঘনা পেট্রলিয়াম, জাহিন স্পিনিং মিল, মিরকল ইন্ডাস্ট্রিজ, নিউ লাইন ক্লোথিং ও তুংহাই নিটিং।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৮০তম সভা অনুষ্ঠিত
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৮০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ রাগিব আহসান এফসিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মোঃ আলী ও কোম্পানী সচিব অলি কামাল, এফসিএস সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও যুগ্ম পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন ‘এএমএল এন্ড সিএফটি এওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন। ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মোঃ ইয়াহিয়া, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্যামেলকো মোঃ সিরাজুল ইলসাম, এফএসআইবি ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল (চলতি দায়িত্ব) মোঃ হাবিবুর রহমান, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান ও ডিক্যামেলকো ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার
আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। এলসি নিষ্পত্তির চাহিদা বাড়ায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে বাড়তি দরে ডলার কিনতে হচ্ছে বলে জানান ব্যাংক নির্বাহীরা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, আবারও অর্থ পাচার হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছিলো ডলারের বাজার। ক্রোলিং পেগ পদ্ধতিতে দর ধরে রাখা হয়েছিলো ১২০ টাকা। তবে বিদেশি এই মুদ্রা পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার চাপে শুরু হয়েছে আবারও অস্থিরতা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণপত্র বা এলসি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের বেশিরভাগই যোগান দেয়া হয় এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে। চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে যার মূল্য নির্ধারণ করে এই হাউজগুলো। তবে নভেম্বরে মাঝামাঝি পর্যন্ত ১২২ টাকা দরে ডলার কিনতে পারলেও এখন ব্যাংকগুলোকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছ। এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজিতে অস্থিরতা বাড়ছে এই মুদ্রা বাজারে। সম্প্রতি বড় বড় এলসি নিষ্পত্তির সময় ঘনিয়ে আসা এবং বকেয়া পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায়, ব্যাংকগুলোতে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। যার প্রভাবে অর্থ পাচারের শঙ্কায় বিশ্লেষকরা। এদিকে রাজধানীর খোলাবাজারেও খানিকটা বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা দরে।
রোজায় ভোজ্য তেলের দাম কমাতে কর ও ভ্যাট অব্যাহতি
বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর আগামী ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আলাদা ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সব প্রজ্ঞাপনে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ সব পন্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এ সব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট নেই। এ লক্ষ্যে সর্বশেষ তিনটি এসআরও জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারি করা শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পাম ওয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মুসক কমানো হলো। সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে। সানফ্লাওয়ার তেল ও কেনোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর কমানো কারণে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা কমবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেয়া এসব পদক্ষপে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে আশা করছে এনবিআর।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএসইসির দোয়া মাহফিল
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কমিশনের সকল গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কমিশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর সূচনা হয় জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ, নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং বিএসইসির মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি- ২০২৪ এর সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কমিশনের অন্যান্য কর্মচারীগণ অনলাইনে জুম ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ ও নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা হয়। এছাড়াও সভায় মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের আত্মত্যাগসহ সকলের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ উপস্থিত সকলে উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। একইসাথে এদিন ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বিএসইসির পক্ষ হতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমল: শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিও বেড়েছে ১২৪৭৮টি, ৩৩৭ বিদেশি বিও বন্ধ
দেশের শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার যে ধারা চলছে তা এখনো থামেনি। হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ চালানোর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চার মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই মিছিল চলছে গত বছরের নভেম্বর থেকে। দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমলেও হাসিনা সরকার পতনের পর স্থানীয় তথা দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত চার মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। অবশ্য চলতি বছরের শুরুর তুলনায় বর্তমানে শেয়াবাজারে প্রায় ১ লাখ বিও হিসাব কম রয়েছে। বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিও হিসাবে বেড়েছে ১২ হাজার ৪৫১টি। অন্তর্বর্তী সরকার যেদিন দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয়, সেদিন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে তিনি দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান। সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এই সরকারের চার মাস পার হয়েছে। হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে পতনের পাল্লা ভারী হয়েছে। শেয়ারবাজারে মন্দা দেখা দিলেও বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৪৬ হাজার ৭৪৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। অর্থাৎ বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই প্রবণতা চলছে আরও আগে থেকেই। গত বছরের নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এরপর ওই বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৫ হাজার ৩৪৮টিতে। এ হিসাবে চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ৮ হাজার ৬০৪টি। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ৮ হাজার ৭৬৮টি। বিদেশিদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও সরকার পতনের পর স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ১৩৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৩ হাজার ৮২২টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৫৮টি। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১২ হাজার ৪৭৮টি। হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেলেও তার আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। অর্থাৎ চলতি বছরে বিও হিসাব কমেছে ৯২ হাজার ১০৫টি। এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টি। অর্থাৎ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৮৫৪টি। অপরদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫৯২টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ১২০টি। হাসিনা সরকার পতনের পর নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি। সে হিসাবে গত চার মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৪১৪টি। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৬টি, যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭টি। অর্থাৎ গত চার মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৮৯টি।অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯টি। অর্থাৎ গত চার মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৭১৫টি।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠান লে-অফ ঘোষণা
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কোম্পানিগুলোতে অর্ডার না থাকায় এবং কোম্পানির নামে ব্যাংকে পর্যাপ্ত ঋণখেলাপি থাকায় আর পরিচালনা করা সম্ভব না। তিনি জানান, বেক্সিমকো টেক্সটাইল লিমিটেড এবং গার্মেন্টসের ১৬টি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বর্তমানে কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক লে-অফ থাকবে। লে-অফ চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদেরকে আইন অনুযায়ী মজুরি প্রদান করা হবে। লে-অফ থাকাকালীন শ্রমিকের স্বশরীরে কারখানায় এসে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মালেক রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা , বাণিজ্য উপদেষ্টা , অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, বেক্সিমকো লিমিটেডের রিসিভার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বারের নতুন সভাপতি তাসকীন আহমেদ
২০২৫ সালের জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাসকীন আহমেদ। বর্তমানে তিনি দেশের খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। একইসঙ্গে রাজীব এইচ চৌধুরী এবং মো. সালিম সোলায়মান যথাক্রমে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বারের ৬৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাসকীন আহমেদকে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ডিসিসিআইর নব-নির্বাচিত অন্যান্য পরিচালক হলেন— এনামুল হক পাটোওয়ারী, মো. মোস্তফা কামাল, মিনহাজ আহমেদ, মোহাম্মদ জমশের আলী, রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম এবং সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম। ঢাকা চেম্বারের নব-নির্বাচিত সভাপতি তাসকীন আহমেদ ১৯৯৯ সালে তার পারিবারিক ব্যবসায় যোগদান করেন এবং তার দীর্ঘ ২৫ বছরের কর্মজীবনে, তিনি ইফাদ গ্রুপের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক ইউনিটের নেতৃত্ব প্রদান করেন। এছাড়া তিনি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি এবং বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমএ) ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনে সম্পৃক্ত থাকাকালে তিনি আঞ্চলিক ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে দৃঢ় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ের স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
চলতি মাসে প্রবাস থেকে এলো ১৩৮ কোটি ডলার
ডিসেম্বর মাসের প্রথম দুই সপ্তাহেই দেশে এসেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যার প্রতিদিনের গড় ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বর ও অক্টোবরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১০৯ কোটি ৭৬ লাখ ও ১১২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৬ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা বিপিএর
দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ দশটি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এসব দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোণা দেয় সংগঠনটি। এ দিকে, বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিম ও মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ সময় এসব দাবি তুলে বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিজ্ঞপ্তিতে ‘বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বার বার বলার পরও নজর দিচ্ছে না। উল্টো করপোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি, যেন দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারেন। বর্তমানে করপোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে, প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই সংকট দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বার বার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সহযোগিতা করছে। তাই, আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি ‘ ‘বিপিএ’র দশ দফা দাবি: করপোরেট কোম্পানিগুলোকে শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকার নিয়ম করতে হবে। কারণ, বর্তমানে করপোরেট কোম্পানিগুলো ডিম ও মুরগি উৎপাদনেও অংশ নিচ্ছে, যার ফলে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না; বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে; ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে; প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে; ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে; আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে প্রান্তিক খামারিদের জন্য; সরকারি নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; চুক্তিভিত্তিক ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে ও প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে।
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১১তম পর্ষদীয় সভা অনুষ্ঠিত
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরমান আর চৌধুরী, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৪০৩তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪০৩তম সভা অনুষ্ঠিত। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। সভায় অংশ নেন ব্যাংকের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, পরিচালক অশোক কুমার সাহা, ফিরোজুর রহমান, এসএএম হোসাইন, মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, মো. জাহেদুল হক, ফেরদৌস আলী খান, একেএম আবদুল আলীম, মো. আবুল হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. সিদ্দিকুর রহমান, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান।
সাবিককে দুই বছর আগেই জরিমানা করা উচিত ছিল
বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আরও দুই বছর আগে জরিমানা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশান ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য বলেন। অনুষ্ঠানে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, চুরি-দুর্নীতি বহু দেশেই ঘটে। কিন্তু, বাংলাদেশের মত দুর্নীতি সচরাচর দেখা যায় না। তিনি বলেন, ‘কর কমানো হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে দাম কমছে না এবং চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হলেও তা বন্ধ হয়নি।’ তিনি সাকিব আল হাসানের পুঁজিবাজারে কারসাজির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘সাকিব আল হাসানকে দুই বছর আগেই জরিমানা করা উচিত ছিল।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক তদন্তে সাকিব আল হাসানের নাম শেয়ার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২৩ ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকোর দায়-দেনা সাড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা
১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকোর ৫০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দায়-দেনা আছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বেক্সিমকোর ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে ৭৮ কোম্পানি ঋণ সুবিধা নিয়ে পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ হাজার ৫০০ কোটি দায়-দেনা আছে।এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো ব্যবস্থাপনায় ‘রিসিভার’ নিয়োগ করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে তা স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়।গেল ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত করে তা ব্যবস্থাপনায় তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এখন কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা কমবে: অর্থ উপদেষ্টা
আগামী অর্থ বছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা কমানো হবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এ প্রণোদনা সারা জীবন দেয়া সম্ভব নয়।’ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন তিনি কথা বলেন।সম্মেলনে উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘যৌক্তিক কর ব্যবসায়ীদের দিতে হবে। সারা জীবন প্রণোদনা দেয়া সম্ভব না। আগামী অর্থ বছরের বাজেটে প্রণোদনা কমানো হবে।’ট্যাক্স সিস্টেমকে রিফর্ম করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স ইমপ্লিমেন্টেশন আলাদা করা হবে।’এর আগে, একই অনুষ্ঠানে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনীতির পথরেখাকে কতটা সুগম করতে পারব, তার পুরোটা নির্ভর করবে কতটা অর্থনৈতিক স্বস্তি দেয়া হচ্ছে তার ওপর। সব সংস্কারের আগে অর্থনৈতিক সংস্কার কতটা স্বল্প সময়ে করা যায়, তা ভাবা বেশি জরুরি।’এ জন্য মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বিনিয়োগ হয় দীর্ঘ মেয়াদের ওপর। এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর বিনিয়োগগুলো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আনতে পারবো কিনা তা নিশ্চিত করা দরকার।’বিদেশি কোম্পানিগুলো তেল আহরণে আগ্রহ দেখালেও চুক্তি করতে চাচ্ছে না বলেও জানান দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগোনোর পথ সুগম করতে হবে।’
ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন
ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত ১৬০তম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) একাডেমির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও আইবিটিআরএ’র প্রিন্সিপাল কেএম মুনিরুল আলম আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ জুবায়েরুল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান মিজি, এনএসএম রেজাউর রহমান ও মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন কাওসার। বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ইন্টার্নশিপ কোর্সে অংশ নেন।
এনসিসি ব্যাংক ও জেনারেল ফার্মার মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং সেবা চুক্তি
এনসিসি ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি জেনারেল ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা সংক্রান্ত পেরোল ব্যাংকিং বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে জেনারেল ফার্মার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এনসিসি ব্যাংকের পেরোল ব্যাংকিংয়ের আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত যেকোনো শাখা ও উপ-শাখার মাধ্যমে দ্রুততার সাথে নগদ লেনদেন ও বিশেষ আর্থিক সেবা পাবেন। এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন এবং জেনারেল ফার্মার পরিচালক রাফিদুল হক ও সাকিবুল হকের উপস্থিতিতে এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম এবং জেনারেল ফার্মার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোঃ শাহীন হাসান স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময়, এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক- মোঃ রাফাত উল্লা খান, মোঃ জাকির আনাম, মোঃ মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসইভিপি ও সিআইও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, এসভিপি ও শ্যামলী শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দীন, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান শাহীন আক্তার নুহা এবং জেনারেল ফার্মার মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন সিদ্দীকসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকদের বেতন দিতে আইন শিথিল, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে বেক্সিমকো
দেশের আলোচিত শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন দিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরি মধ্যে গ্রুপটি এরই মধ্যে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া একক ঋণগ্রহীতার সীমাও অতিক্রম করেছে। ফলে নতুন করে তাদের আর ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা থেকে জনতা ব্যাংককে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১২ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে বেক্সিমকোকে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকটি। এদিকে তারল্যসংকট ও আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংক রেটে (সুদে) ৫ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা ধার চেয়েছে জনতা ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংকটি সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধনের জোগান চেয়েছে। জানা গেছে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আওতাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি পর্যালোচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভা গত ২৮ নভেম্বর শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ইউনিটগুলোতে নিযুক্ত শ্রমিকদের আগামী তিন মাসের বেতন পরিশোধে প্রয়োজনীয় অর্থসহায়তা দেবে জনতা ব্যাংক। তবে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এবং একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম করায় বেক্সিমকোকে আর ঋণ দেওয়ার সুযোগ নেই জনতা ব্যাংকের। পাশাপাশি ব্যাংকটি তারল্যসংকটে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনতা ব্যাংক চিঠি দিয়ে আইনের ধারা থেকে অব্যাহতি ও ঋণ বিতরণের অনুমতি চেয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে বর্তমানে জনতা ব্যাংকে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা, যা খেলাপি হয়ে পড়েছে। চিঠিতে জনতা ব্যাংকের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় ব্যাংকের ৬০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বা ৬১ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হচ্ছে। তহবিল সংকট কাটাতে ও আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে ব্যাংক রেটে (সুদে) ৫ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার কোটি টাকা মূলধনও চেয়েছে ব্যাংকটি। এমন পরিস্থিতিতে বেক্সিমকো গ্রুপকে ঋণ দিতে জনতা ব্যাংকের জন্য ব্যাংক আইনের দুটি ধারা শিথিলের অনুমতি প্রদান করা হয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়। প্রতি মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে তিন মাসের বেতন দিতে ১৮০ কোটি টাকা প্রয়োজন।