মাউশির ডিজির দায়িত্ব পেলেন রেজাউল করিম

শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীম। তিনি কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক ছিলেন। গেল ৫ আগস্টের পর মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ পদত্যাগ করায় তাকে মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার তিনি চলতি দায়িত্ব পেলেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রেজাউল করিমের মূল পদ ছিল মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন)। নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গেল ৬ জুন তাকে মাউশি অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক করা হয়। তিনি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন। গেল ২৫ আগস্ট থেকে তিনি মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে গেল ৬ জুন তাকে মাউশি অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক করা হয়। সাধারণ সরকারি ও বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও প্রফেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, বদলি, পেনশন, এমপিওভুক্তি এবং শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রধান কাজ।

কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার

কয়েক দিনের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘দেশে-বিদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য, সুপরিচিত, মেধাবী ও দক্ষতাসম্পন্ন লোকদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।’ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়ায় ডেফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে ডিন‌’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ সহকারী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সব সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করছে সরকার।’ বিশেষ সহকারী আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হওয়ার প্রবণতা জাগ্রত করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষাথীর ভিশন থাকতে হবে প্রথম হওয়া। দ্বিতীয় হওয়ার চিন্তাভাবনা শিক্ষাথীদের মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। কারণ, শিক্ষার্থীদের টপার হওয়ার মত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, খেলার মাঠ, বিভিন্ন কনভেনশন, পঞ্চাশটির অধিক ক্লাব, মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকমণ্ডলী রয়েছে এই ইউনিভার্সিটিতে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইংরেজিকে একটি বিষয় না ভেবে ইংরেজিতে প্রত্যেককে দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দেশে ও বিদেশে কর্মক্ষেত্র তৈরি, কর্মদক্ষতা অর্জন, গবেষণা ও অন্যান্য সব কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় তরুণ ও কিশোরদের ক্রিয়েটিভিটিকে মূল্যায়ন না করে মুখস্থবিদ্যাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। যার কারণে শিশুকিশোরদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে যায়। তোমরা সবাই নিজেকে একজন কর্মদক্ষ উদ্ভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তাহলেই আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’ আমিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উপর জোর দেন এবং শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিল্পব পরবর্তী এআইয়ের সাথে উপযোগী হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিভাগের ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিন'স অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষক বাকি ১৯ জন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ২৬৫তম সিন্ডিকেটে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ তবে, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নাম ওপদবি জানানো হয়নি। ঠিক কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আমাকে আটকে রেখে হেনস্তার কোন ঘটনা ঘটেনি: অধ্যাপক আনোয়ার

ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ও দক্ষিণ ছাত্রাবাসের প্রভোস্ট আনোয়ার মাহমুদকে ‘আটকে রেখে হেনস্তা’র অভিযোগে ছাত্রদলের একাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও সেই শিক্ষক বলেছেন, ‘কলেজে তাকে আটকে রাখা বা হেনস্তার কোন ঘটনাই ঘটেনি।’ একজন শিক্ষক হিসেবে মিথ্যা বলার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন আমাকে হেনস্তার কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্ররা আমার কাছে হলের সিট চেয়েছিল। আমি বলেছি, আমার সিট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এখন ডিপার্টমেন্ট থেকেই সিটের জন্য সুপারিশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ছাত্রদের জন্য সিট বরাদ্দ করা হয়। এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। আটকে রেখে হেনস্তার বিষয়টি মিথ্যা। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।’ আনোয়ার মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমাদের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন জেমিনের সাথে আমার পরিচয় আগে থেকেই রয়েছে। সে ভাল ছেলে। সে বা অন্য কেউ আমার সাথে কোন ধরনের বেয়াদবি বা হেনস্তা করেনি। আমাকে আটকে রেখে হেনস্তার কোন ঘটনাই ঘটেনি।’ উল্লেখ্য, গেল সেপ্টেম্বরে ঢাকা কলেজের হলে শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়ার বিষয় নিয়ে আনোয়ার মাহমুদকে ছাত্রদলের নেতারা আটকে রেখে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন জেমিন এবং সহ-সভাপতি সিরাজ উদ্দিন বাবুকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর একই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দুই সহ-সম্পাদকের পদ স্থগিত করা হয়। ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজ ছাত্রলীগের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষক হেনস্তার ভুয়া খবর ছড়ায়। সেই ঘটনার বিস্তারিত জানাতে গিয়ে আনোয়ার মাহমুদ জানালেন, সেদিন তাকে আটকে রেখে হেনস্তার কোন ঘটনাই ঘটেনি।

স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০ টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৯৮ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলে। এই প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০ টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ টি আবেদন জমা পড়ে। আর ৩ হাজার ১৯৮ টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ টি আবেদন গৃহীত হয়। এই আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এতে আরও জানানো হয়, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সকল কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়। মাউশি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএস পদ্ধতি GSA<Space> Result<Space>User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নাম্বারে।

রাজনীতিবিদরা যে প্রতারণা করছেন তা আমরা দেখছি: হাসনাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদরা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন, এটা আমরা দেখছি। আমরা যেভাবে অতীতকে বর্তমানের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি, ঠিক একইভাবে আপনাদের বর্তমান ভবিষ্যতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রশিবিরের ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয়ের পথপরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় হাসনাত বলেন, ‘আমাদের বর্তমানে রাজনীতিবিদ যারা রয়েছেন, আপনারা সংসদভবনমুখী হচ্ছেন; ‘শিগগিরই হবেন-যাবেন, মিনিস্ট্রি দখল করবেন, গাড়িতে পতাকা উড়বে; কোন সমস্যা নেই। আমরা রক্ত দিয়েছিলাম, যেন আপনাদের যাদের গাড়িতে পতাকা ওঠার যোগ্য, তারাই আসে। তবে, আপনারা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন, এটা আমরা দেখছি।’ তিনি আরা বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামের টাইটেল ‘৪৭, ‘৭১ ও ‘২৪-এর বিজয়ের পরিক্রমা। ৪৭-এ যদি বিজয় হইত তাহলে ৭১ হইত না, আবার একাত্তরে বিজয় হইলে ২৪ হইত না। এটা আসলে বিজয়ের পরিক্রমা না, এটা হচ্ছে জাতি হিসেবে আমরা যে প্রতারিত হয়েছে, সেই প্রতারণার পরিক্রমা। আমরা ৪৭, ৭১-এ প্রতারিত হয়েছি। ২৪-এ প্রতারিত হচ্ছি কিনা সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বারবার প্রতারিত হয়েছি বলেই আমাদের চব্বিশের অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু, জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জা নেই। যে সংবিধান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ৫ আগস্ট পরে কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের সেই সংবিধানের প্রতি বিশাল মমত্ববোধ তৈরি হয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আবার আমাদেরকে প্রতারণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ হাসনাত বলেন, ‘৭২ সালে আমাদের একটি সংবিধান বানাইছে, এটা স্রেফ একটা গার্বেজ। আজকে রাষ্ট্রপতির দাওয়াত ছিল, যে রাষ্ট্রপতি এই সংবিধান থেকে আসছে। ৫ আগস্ট এই সংবিধান শেষ। ওই দিনই রাষ্ট্রপতি শেষ। ফলে, ওনার দপ্তর থেকে দাওয়াতে আমি যাব, এটা আমার নিজের সঙ্গে প্রতারণা। আজকে যারা রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে গিয়েছে, তারা বিপ্লবে বিশ্বাস করে না অথবা তারা মনে করে সংবিধানে তাদের একটা স্টেক আছে।’ ৭২’-এর সংবিধান বিদেশ থেকে আমদানি করা মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, ‘গণপরিষদ করা হল, বিদেশে ঘুরতে গেলাম জনগণকে রিসার্চ করলাম না, জনগণের সঙ্গে কথা বললাম না। বিদেশ থেকে এখানে ইমপোর্ট করলাম এটা। এভাবে প্রতারিত হয়েছি বলেই ২৪’এর অবতারণা হয়েছে।’ ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে সভায় যুক্তরাজ্যের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মির্যা গালিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার বক্তব্য দেন। সভায় বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আসার কথা থাকলেও তারা আসেননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিজয় র‍্যালি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে র‍্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রদল। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চবির জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে কাটা পাহাড় শহীদ মিনার অতিক্রম করে স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যে বিজয় র‍্যালি শেষ হয়। এ সময় চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন উর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালিতে চবি ছাত্রদলের বিভিন্ন হল, ফ্যাকাল্টি ও বিভাগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচী শুরু করলে বিকালে এই ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য একাডেমিক অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান। শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে সব কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোন আন্দোলনে যেতে না হয়, সেজন্য সব প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। শিক্ষার্থীদের চাওয়া মানে আমাদেরই চাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ চারুকলার পরবর্তী একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে থাকার কথাও জানিয়েছেন শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে চবির কলা ভবনে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে পুনরায় স্থানান্তর করব।’এর আগে ২০১২ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম সিটির চকবাজার থানাধীন বাদশা মিয়া রোডে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় চারুকলাকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করেন।

১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু, রুটিন প্রকাশ

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ৮ মে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ মে থেকে শুরু হয়ে ১৮ মে শেষ হবে।বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মো. আবুল বাশার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি: পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন নিতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী, পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে। শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না।পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর

৪৭তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার (বিসিএস) অনলাইনে আবেদনের নতুন সময়সীমা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন। এ বিসিএসে শূন্য পদে ক্যাডার নিয়োগ পাবেন ৩ হাজার ৪৮৭ জন। গত ২৮ নভেম্বর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ৪৭তম বিসিএসের আবেদন অনিবার্যকারণে স্থগিত করে পিএসসি। ১০ ডিসেম্বর থেকে এই আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দিলেও সেটা তখনো কার্যকর না হওয়ায় আবেদন স্থগিত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পিএসসির একটি সূত্র। আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করার পরই অনলাইনে আবেদনের নতুন সময়সীমা জানাল পিএসসি।

এবার প্রকাশ্যে আসল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রশিবির

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার প্রকাশ্যে এসেছে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রশিবির। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কলেজ ও ছাত্রাবাসের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে সামনে এল সংগঠনটি। স্মারকলিপি প্রদানকালে ছাত্রশিবিরের নেতারা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক হায়দার মিয়া ও শিক্ষক মণ্ডলীর সম্পাদক অধ্যাপক মিলকি আমাতুন মুগনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনা উপহার দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি বায়জিদ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল বান্না জিসান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান ফাহিম। স্মারকলিপিতে উল্লেখযোগ্য ২৬টি দাবি উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে- কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়ন, আধুনিক লাইব্রেরি ও উন্নত ল্যাব স্থাপন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা রক্ষা, শহীদদের স্মরণে ভবন নামকরণ। কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রশিবির।

চট্টগ্রামে ‘আলেম সমাজের ভূমিকা করণীয় বর্জনীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

‘বাংলাদেশের পরিবর্তীত প্রেক্ষাপটে আকীদায়ে আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত প্রচার ও প্রসারে আলেম সমাজের ভূমিকা, করণীয় বর্জনীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সৈয়দ সুলতান আহমদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আছাদিয়া নূরীয়া একাডেমীর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহ্লা দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ শরফুদ্দীন সম্রাট। আলোচক ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদারাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ অছিউর রহমান, আল্লামা হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ সোলাইমান আনছারী। মূল প্রবন্ধ পড়েন মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নু ক ম আকবর হোসাইন, আল্লামা ঈসমাইল নোমানী, মাওলানা গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ শায়েস্তা খান আল আজহারী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম আজহারী, সাংবাদিক আবু তালেব বেলাল, মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আল ক্বাদেরী। মুহাম্মদ নূরুল্লাহ রায়হান খাননের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মাওলানা হাফেজ নেজাম উদ্দিন, মাওলানা আবদুল কাদের সাকিব, মাওলানা মাসুম মোহাম্মদ ইমরান, রেজাউল করিম, মাওলানা নুরুল মোস্তফা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘কুরআন সুন্নাহর আলোকে সমাজকে আলোকিত করতে হবে। ধমীর্য় মূল্যবোধের অবক্ষয় ও নৈতিকতার সংকটের বর্তমান এ দুর্যোগ সময়ে বিপর্যস্ত, বিধ্বস্থ ও অশান্ত অবস্থা থেকে আপামর জনগণকে বাঁচাতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের অকৃত্রিম ও বিশুদ্ধ আক্বীদা, ধ্যান-ধারণা, লালন-পালন ও ধারণে এবং কুরআন সুন্নাহর আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ প্রয়োজন। আম্বিয়া-ই-কিরাম প্রদর্শিত ইসলামের সুফিতাত্ত্বিক গণমুখী দর্শনের আলোকে ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক কাঠামো বিনির্মাণ এবং শিক্ষাধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট ও অনাগত ভবিষ্যত আলিম-ওলামার অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ আলোচনা শেষে গবেষনামূলক মাসিক পত্রিকা আল-ইসতিয়াবের উদ্বোধন করা হয়।

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা: স্নিগ্ধ

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতদের পরিবারের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ স্নিগ্ধ জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিহত ও আহতদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করে তা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় কাজ চলছে এবং তালিকা প্রস্তুত প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া আসছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো দেশবাসীর কাছে এই আন্দোলনের প্রকৃত নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ হবে বলে জানান তিনি। এর আগে ৩৩ জন আহতের মধ্যে এক লাখ করে ৩৩ লাখ টাকা ও ছয়জন নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ করে ৩০ লাখ টাকা চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থী পাঁচ শিক্ষক বাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেট বডির পাঁচ শিক্ষককে পরবর্তী সভা থেকে আর আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এ সভায় তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসেবে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৮ জন সিন্ডিকেট সদস্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্যরা আর সে সব ক্যাটাগরির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলে পরবর্তী মিটিং থেকে তারা আর আমন্ত্রণ পাবেন না।’ রোববার (৮ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে পাঁচজন সদস্যকে আর আহ্বান জানানো হবে না তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, প্রভাষক ক্যাটাগরি থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাহিন মুহিত, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের আবু মুহাম্মদ আহসান, ডিন ক্যাটাগরি থেকে বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরি থেকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক মাসুদুর রহমান। সিন্ডিকেট বডি থেকে বাদ পড়া এসব শিক্ষক আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাবির সিন্ডিকেট মিটিং নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটি বিজ্ঞ আইনজীবীদের বডি ল রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাই। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নাইম আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ও ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক তারা আমাদেরকে দুইটি পরামর্শ দিয়েছে।’ ‘প্রথমত, ডিন ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শিক্ষকরা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী পদ ডিন কিংবা প্রভোস্ট পদে যদি আর বহাল না থাকেন, তাহলে তারা যে প্রতিনিধিত্বের কারণে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটি আর থাকছে না। ফলে, তাদেরকে পরবর্তী মিটিং থেকে আমন্ত্রণ না জানালেও আইনগত জটিলতায় পড়তে হবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।’ ‘দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত যারা ছিলেন, তাদের অনেকের পদোন্নতি হয়েছে, তারাও আর তাদের প্রতিনিধিত্বের জায়গায় না থাকায় তাদেরকেও আমন্ত্রণ না জানানোতে কোন জটিলতা থাকল না।’ সাইফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘আইনগতভাবে জটিলতা নিরসন হওয়ার কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা এই সিন্ডিকেট মেম্বারদের আগামী কোন মিটিংয়ের আহ্বান বা আমন্ত্রণ জানাব না।’

প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৩ শতাংশ শিক্ষকই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। একই সাথে শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা থাকছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করছি আমরা। এখন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিকের বাজেট বাড়ানোটাই সময়ের দাবি।’ রোববার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ এ বলা হয়েছে, ‘একটি উপজেলার মোট পদের ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা নির্ধারিত থাকবে।’ নারী, পোষ্য ও পুরুষ- এ তিন ধরনের কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আবার চার ধরনের কোটা অনুসরণ করতে হত। সেগুলো হল- এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী দশ শতাংশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ৩০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাঁচ শতাংশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য দশ শতাংশ। এছাড়া, তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে, এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কোটা বাদ দিয়ে বাকি পদগুলোতে শুধু মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। সেটা ৪০ শতাংশের বেশি নয়। এ দিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা-সংক্রান্ত আগের সব পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, অনুশাসন রহিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি সাত শতাংশ নিয়োগ কোটার ভিত্তিতে হবে। ফলে, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করা হবে নাকি জনপ্রশাসনের সবশেষ কোটা বণ্টনের প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি স্পষ্ট করলেন। ফলে, আগামীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ মেধা ও সাত শতাংশ কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। ২০২৩ সালের ১৪ জুন সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা হয়। ২১ এপ্রিল প্রথম দফায় প্রকাশ করা হয়। পর দিন সংশোধিত ফল প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়।

বাংলাদেশের সংবিধান অজ্ঞান অবস্থায় আছে

‘সব ক্ষমতার উৎস নয়, মালিক জনগণ। সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দেশের মালিক জনগণ যেন তাকে সরিয়ে দিতে পারে, এমন সুযোগ রাখতে হবে।’ রাষ্ট্রচিন্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘আবুল মনসুর আহমদের রাষ্ট্রচিন্তা: প্রেক্ষাপট গণঅভ্যুথান’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তক সলিমুল্লাহ খান এ কথা বলেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সভায় সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান অজ্ঞান অবস্থায় আছে। যেটিতে বলা হয়েছে, সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। এখানে হওয়া উচিত ছিল জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। আর এটি না হওয়ার কারণেই প্রতিনিধিত্বের রাজনীতি হচ্ছে। সরকার হয়েছে পাওয়ার অব এটর্নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে আবুল মনসুর আহমেদ কিছু আপত্তি তুলে ধরেছিলেন তার বইয়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সেগুলো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠৈছে। শেখ মুজিব আবুল মনসুরকে সংবিধান সংশোধনের জন্য আহ্বান করেছিলেন। শেখ মুজিব কথা দিতেন কিন্ত কথা রাখতেন না। সংবিধান সংশোধনের কথাও তিনি শতভাগ প্রত্যাখান করেন।’ শেখ হাসিনার নৈতিক মৃত্যুদণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সংবিধানের সাত নম্বর ধারায় আওয়ামী লীগ সরকার একটি সংশোধন এনেছে যে, কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চাইলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ শাস্তি হাসিনারই প্রাপ্য। সে যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, তার নৈতিক মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। সভায় আলোচক ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আরিফ খান ও আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক কবি ইমরান মাহফুজ। সভাপতিত্ব করেন চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও রাষ্ট্রচিন্তার উপদেষ্টা খ. আলী আর রাজী। সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য তানভীন কায়েস। সভায় মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খান ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চবিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও সময় নষ্ট না করে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পালন করার চেষ্টা করছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের ফলে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে।’ তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা ও রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ রাষ্ট্র নির্মাণ করার জন্য যে পথ দেখিয়েছেন, তা আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, ‘২৪’-এর আন্দোলনেও ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছেন। তাই, গণঅভ্যুথানের ফলে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গঠন এবং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে আমরা কখনো বেঈমানী করতে পারব না। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রত্যককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’ আরিফ খান বলেন, ‘দেশে অনেকগুলো গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২৪’-এর জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কথা বলতে চাই। ৭১ ও ২৪’-র গণঅভ্যুত্থান দুইটায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছিল। দুইটায় গণসম্মতিতে হয়েছিল। যে কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গণসম্মতি প্রয়োজন হয়। গণসম্মতি ছাড়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আমাদের রাষ্ট্র বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে দখল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের তরুণরা সেখান থেকে দখলমুক্ত করেছে।’ আবুল মনসুর আহমেদকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমেদ তার রাষ্ট্রচিন্তায় সকলের ধর্মের স্বাধীনতা থাকতে হবে বলেছেন। ৭১ ও ২৪-এ আমাদের সংগ্রাম ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আবুল মনসুর আহমেদও সবসময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে গেছেন। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। বাঙালি মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় কাজ করে গেছেন এ রাজনীতিবিজ্ঞানী।’ ইমরান মাহফুজ বলেন, ‘আবুল মনসুরের লেখায় উঠে এসেছে। গণতন্ত্রে আমাদের শিক্ষকরা ফেইল করেছে বলেই আমাদের গণতন্ত্র ফেইল করছে। আবুল মনসুর বলেছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক সরকার সঠিক পথে চলতে পারে যদি তার নাগরিক সোচ্চার হয়।’’ আমরা যদি সোচ্চার না হই, তাহলে শুধুমাত্র গণজাগরণ বা ২৪-এ আবু সাঈদের জীবন দেয়া পরিবর্তন এনে দিতে পারবে না।’ সভায় ২৪’-এর গণআন্দোলনে শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অবশেষে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর যাচাইয়ে কমিটি গঠন

ঢাকার মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিনূর ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন সদস্য (সভাপতি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত একজন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (সদস্য), যুগ্মসচিব (বিশ্ববিদ্যালয়-২ অধিশাখা), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (সদস্য) ও কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন উপসচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নিমিত্ত কমিটি গঠন করা হল। সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ পৃথকীকরণের মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির বিষয়ে প্রস্তাবিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সঙ্গে এ কমিটি সমন্বয়পূর্বক কাজ করবে।’ এর আগে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তিতুমীর কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাই’ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। গেল ১৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম। ছয়জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ওই আলোচনায় অংশ নেন।

চার দাবি নিয়ে ঢাবির শিক্ষার্থীদের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

সরকারি সব চাকরিতে আবেদন ফি কমিয়ে ২০০ টাকা করাসহ চার দফা দাবি মঙ্গলবারের (৩ ডিসেম্বর) মধ্যে পূরণ না হলে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে শুধু পিএসসিতে আবেদন ফি কমানোর মাধ্যমে সরকার বৈষম্য করছে। এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে, স্বচ্ছ ও গতিশীল নিয়োগ ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে দ্রুত শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের দাবি জানান। পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে।’ বিন ইয়ামিন মোল্লা তাদের চার দাবি ও তিন দিনের আল্টিমেটামের কথা তুলে ধরে অভিযোগ করেন, আল্টিমেটাম শেষ হতে চললেও উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না তারা। তাই, হুঁশিয়ারি দেন কঠোর কর্মসূচির।

সাত কলেজের স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময় সূচি প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্থগিত হওয়া দুইটি পরীক্ষার নতুন সময় সূচি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন সূচি অনুযায়ী স্থগিত হওয়া গত ২৬ ও ২৮ নভেম্বরের পরীক্ষা যথাক্রমে আগামী ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে স্থগিত হওয়া ২৬ ও ২৮ নভেম্বরের পরীক্ষা নতুন সময় সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সূচি অনুযায়ী ২৬ নভেম্বরের পরীক্ষা আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি ও ২৮ নভেম্বরের স্থগিত পরীক্ষা ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’ বলে রাখা ভাল, সম্প্রতি ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজে বহিরাগতদের হামলার কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়। এ সময় প্রথম ও চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান ছিল।

ছাত্রশিবির যেসব প্রোগ্রামে থাকবে, সেখানে আমরা যাব না

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে, ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের লক্ষ্যে এই মতবিনিময় করা হয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে চবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান মন্তব্য করতে রাজি হননি। একই প্রশ্নের উত্তরে চবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি সুদীপ্ত চাকমা বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সেখানে যাইনি। কেন্দ্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ছাত্রশিবির যেসব প্রোগ্রামে থাকবে আমরা সেখানে যাব না।’ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘অনেকে দাবি করছেন, আমরা জুলাই আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনগুলোর অবদান অস্বীকার করছি। আমরা কখনও কারও অবদান অস্বীকার করিনি। আমরা মনে করি, ছাত্র সংগঠনগুলো পেছনে ছিল বলেই আজকে আমরা সামনে আসতে পেরেছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। একইভাবে সামনেও ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে, খুবই দুঃখ হচ্ছে, আজকে বৃহৎ একটি ছাত্র সংগঠনসহ অন্য ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর উপস্থিত না দেখে। আপনাদের রাগ-অভিমান থাকতে পারে। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কিন্তু, আপনারা যদি না আসেন, তাহলে সমাধানের সুযোগ তো তৈরি হচ্ছে না।’ জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়রুল হাসান আরিফ বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির দুইটি বিষয়ে কনসার্ন। প্রথমটি হচ্ছে, জুলাই গণহত্যার বিচার। আমরা লক্ষ্য করছি, জুলাইয়ের বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে না। আবার আমরা মবেরও পক্ষে না। আমরা আইনের মাধ্যমে এমনভাবে বিচার করতে চাই, যাতে কখনও কেউ বলতে না পারে ক্যাঙারু কোর্টের মাধ্যমে খুনিদের বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় কনসার্নের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার। আপনারা লক্ষ্য করবেন, আমাদের সংবিধানের পাওয়ার স্ট্রাকচার এমন যে কেউ স্বৈরাচার হতে বাধ্য। আমরা এমন সংস্কার চাই, যাতে সাংবিধানিকভাবে কেউ আর নতুন হাসিনা হতে না পারে।’ চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু, এখনও শিক্ষার্থীদের মাঠে থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যা, প্রতিবিপ্লব ঠেকানোর দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের ওপর এসে পড়ছে। অথচ, এখন তাদের রাষ্ট্র গঠনে সভা, সিম্পোজিয়াম-সেমিনার করার কথা। সংস্কার প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত তা দেখানোর কথা।’ বলে রাখা ভাল, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে গেল ২৫ নভেম্বর এক সপ্তাহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার (১ ডিসেম্বর) চবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠনে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রশ্নে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি গঠনে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন রাব্বী বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কমিটি গঠনের তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।’ ‘কমিটি প্রকাশের পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে তিতুমীর কলেজে এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে। কমিটি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কমিটির বিষয়ে আমাদের এই তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে বাধ্য হব।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আবদুল হামিদ বলেন, ‘গেল ১৮ নভেম্বর আলোচনায় মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পারে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়; যা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা প্রকাশে তালবাহানা শুরু করে।’ ‘এর প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতেই ফের রাস্তায় নেমে আসে। পরবর্তী রাতেই রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমাদের আলোচনা হয় ও তারা এটি নিশ্চিত করেন যে, ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসে আমাদের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘১৯ নভেম্বর তারা আমাদের সাথে পুনরায় আলোচনায় বসেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ আলোচনায় সিদ্ধান্ত আছে যে, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার সম্ভব্যতা যাচাইয়ে একটি পৃথক কমিটি হবে এবং এই কমিটি গঠনের জন্য সাত দিন সময়ের কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে রাস্তায় আমাদের সব কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আশার আহ্বান করি এবং মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সাত দিন সময় অপেক্ষা করতে বলি। আমরা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সাত দিন ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ নিই।’ ‘কিন্তু সাত দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কমিটি করার বিষয়ে কোন আপডেট আমাদের দেয়নি। আমরা তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করি। কিন্তু বার বারই বলা হয়, ‘কমিটি করার প্রক্রিয়া চলমান, অপেক্ষা করুন’।’ অপেক্ষার সেই সাত দিন ইতোমধ্যে পার হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী হামিদ বলেন, ‘সময় শেষ হওয়ার পর তারা শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত সহকারী মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, কমিটি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অনুলিপি দেওয়া হবে। কিন্তু, সেই অনুলিপি এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছাইনি।’ ‘মন্ত্রণালয়ের এমন দোদুল্যমান সিদ্ধান্তে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যথিত। তাদের এমন তালবাহানার কারণেই আমরা বলতে বাধ্য হই, ‘আপনারা এখনো কমিটি প্রকাশ করতে পারলেন না’।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বললেন, ‘অনুলিপি দেওয়া হবে’, কোথায় আপনাদের অনুলিপি? এখনো আপনাদের কমিটির অনুলিপি আমাদের কাছে পৌঁছায়নি কেন? মাননীয় উপদেষ্টা, মহাখালী কতদূর?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে গেল ১৮ নভেম্বর মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হন। তারা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠনের দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকাজুড়ে চরম যানজট সৃষ্টি হয়। দিনভর অবরোধের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনার কথা বলে বিকাল চারটায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। তবে, আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার কথা জানিয়ে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টায় ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পর দিন তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি পালন করেন। সেদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না তা যাচাইয়ে পরের সপ্তাহে কমিটি গঠন করার আশ্বাস দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কমিটি গঠন হচ্ছে বলে শুনছি। কিন্তু, এখনো এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কোন আদেশ হাতে পাইনি।’

বেসরকারি কলেজের এডহক কমিটি হবে ৪ সদস্যের

বেসরকারি কলেজের অ্যাডহক কমিটি চার সদস্য করতে নতুন করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভাপতি থেকে সদস্য সচিব মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। রবিবার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো। একইসঙ্গে গত ১৮ নভেম্বর তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন (প্রতিস্থাপনকৃত) যথারীতি কার্যকর থাকবে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সভাপতি হিসেবে মহানগরীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনাক্রমে, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, খ্যাতিমান সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি অথবা কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীকে মনোনয়ন দিতে হবে। শিক্ষক প্রতিনিধি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক মনোনয়ন পাবে। অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে জেলা সদরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কর্তৃক এবং উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত একজন অভিভাবক মনোনীত হবে। সদস্যসচিব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান (পদাধিকার বলে) থাকবেন। এর আগে গত ৫ আগস্টের পর দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিবিহীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সেই সমস্যা সমাধানে গত ১৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। অ্যাডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতাও নির্ধারণ করা হয়েছিল। বেসরকারি কলেজে অ্যাডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং স্কুলের ক্ষেত্রে স্নাতক পাস হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল।

ঢাবিতে নতুন উদ্যমে বিজয় র‌্যালি

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালি। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরুর দিনেই বিজয় র‌্যালি বের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন উদ্যমে এবারের ১৬ ডিসেম্বর উদযাপন করবে দেশের মানুষ।’ বিজয়ের মাসে নানা আয়োজন প্রায় প্রতি বছরই থাকে ঢাবিতে। তবে, এবারের মত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ হয়ত দেখা যায়নি বহু দিন। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে এসে বিজয় র‍্যালিতে অংশ নেন প্রায় প্রতিটি হলের ছাত্র-ছাত্রী।রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার সামনে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান। পরে তার নেতৃত্বে র‍্যালিটি স্মৃতি চিরন্তনী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।এবারের বিজয়ের তাৎপর্য অন্যান্য বছরের তুলনায় বহু বেশি উল্লেখ করে সবাইকে এক হয়ে দেশ ও জাতির জন্যে কাজ করার আহ্বান জানান নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেন, ‘নানামুখী বাধা ও ষড়যন্ত্র সব অতিক্রম করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, এবারের বিজয় র‍্যালি ‘৭১ আর ’২৪-কে একই সূত্রে গেঁথেছে। তবে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিপ্লবের চেতনা মাথায় রেখে দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার তাগিদ তাদের।আর জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, ‘এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চব্বিশের বিজয়েরই প্রতিফলন।’বিজয়ের ৫৩ বছরে নতুন করে গড়ে উঠবে সর্বসাধারণের স্বপ্নের বাংলাদেশ- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল করবে

গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যে কোন ধরনের সমালোচনা আমরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। গঠনমূলক সমালোচনা হলে সেটি আমাদের জন্য উপকারী হবে। গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে আরও বেশি গতিশীল করবে। সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা থেকে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটির চন্দনপুরায় ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের অফিসে আরইসরা ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় ও প্রীতিভোজকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী সব গণমাধ্যমকর্মী বিপ্লবের মূল চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। চাকরি বা কোন হাউজের দায়ে নয়, বিবেকের দায়ে কাজ করবেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলার স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। এই দেশ নানা পথ ও মতের মানুষের। তাই, আদর্শিক ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রশ্নে কারো ভিন্নমত থাকার কথা নয়। আমারা আমাদের ঐক্যের জায়গাগুলোতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারলে সম্প্রতির এই দেশ সৌহার্দ্যের সৌরভে ভরে উঠবে।’ ইসলামী ছাত্র শিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো যেখানে গ্রুপিং, অন্তঃকোন্দল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হল বাণিজ্যসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিগত স্বৈরাশাসনালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর মনে শিবির সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে কিছু চিহ্নিত তথ্য সন্ত্রাসী মিডিয়ার মাধ্যমে শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচার প্রপাগাণ্ডা চালালেও সোশাল মিডিয়ার কারণে তাদের সেই চক্রন্ত অনেকাংশে বুমেরাং হয়। তারপরেও ক্রমাগত অপপ্রচারের ফলে অনেকের মনে কিছু নেতিবাচক ধারণা জন্মানো অস্বাভাবিক নয়। তাই, দেশের সচেতন নাগরিক ও সম্মানিত মিডিয়া কর্মীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে শিবির সম্পর্কে জানুন, শিবিরের সম্পর্কে জানতে পড়ুন তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, মুক্তির পয়গাম, এসো আলোর পথে, আমরা কি চাই? কেন চাই? কিভাবে চাই? ইত্যাদি পুস্তিকাসহ সিলেবাসের সাহিত্যগুলো।’পতিত স্বৈরাচার জুলাই বিপ্লবকে বেহাত করতে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করে আসছে জানিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামেও ইতিমধ্যে কয়েক দফা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়ছে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যনারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের তৎপর পরিলক্ষিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতিত স্বৈরচারের আমলে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার পরিবেশ সংষ্কারে ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে সর্বোত্তমভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে থাকি।’ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজীর হোসেন জুয়েল, অর্থ সম্পাদক মুমিনুল হক, অফিস সম্পাদক খুররম মুরাদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবরার হাসান রিয়াদ ও প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশ উপস্থিত ছিলেন।