সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার 'ঢাকাওয়াচ টুয়েন্টিফোর'র হেলাল লিটন
ভোলার তজুমদ্দিনে হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকাওয়াচ টুয়েন্টিফোরের তজুমদ্দিন প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন লিটন। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলার পাটওয়ারীর দোকান এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। এসময় পত্রিকার আইডিকার্ড, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সুত্রে জানা যায, উপজেলার পাটওয়ারীর দোকান এলাকায় তজুমদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক শামছুদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ শিবির, নান্নু মিয়াসহ স্থানীয় নেতাকর্মিরা ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করেন। এ সময় মেজর হাফিজ পন্থী বাচ্চু এসে জিয়াউর রহমানের ভাষণ প্রচারে বাঁধা দেয়, এনিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংবাদ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ঢাকাওয়াচ টুয়েন্টিফোরের তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি ও তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন লিটন সেখানে উপস্থিত হলে তার উপর অতর্কিত হামলা করেন বাচ্চু, ইকবাল, রবিউল ডুবাই, ইকবাল হোসেন, রিপন, কিবরিয়া, শাহীন, জুয়েল, রামিম, নিরবসহ একটি সংর্ঘবদ্ধ গ্রুপ। হামলায় সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন লিটন সহ কয়েকজন আহত হয়। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান ঘটনাটি আমরা শুনেছি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন প্রথিতযশা সাংবাদিক শফিক রেহমান
বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সঞ্চালক শফিক রেহমান। তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিনোদন সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন সিজেএফবি। আসছে ২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা শেরাটন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইটিভি-সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ডস-এর ২৩তম আসর। সেখানেই এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে শফিক রেহমানের হাতে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি এনাম সরকার। দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি এবং কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ-সিজেএফবি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এর আগে বিগত ২২ আসরে সিজেএফবি আজীবন সন্মাননা পেয়েছেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আলম খান, আজম খান, আতিকুল হক চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর, আবদুল্লাহ আল মামুন, কবরী সারওয়ার, শবনম, সুচন্দা, সুবর্ণা মুস্তাফা, গোলাম সারওয়ার, জুয়েল আইচ, হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন এবং তারিক আনাম খান। এছাড়া সংগীত, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন মিডিয়ার বছরের সেরা তারকাদের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে ইটিভি-সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩। দেশের জনপ্রিয় তারকাদের পারফরমেন্সসহ থাকবে জমকালো আয়োজন। উল্লেখ্য, শফিক রেহমান উপস্থাপিত ‘লাল গোলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠান এক সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। অনুষ্ঠানটি প্রথমে বিটিভি পরে বাংলাভিশনে প্রচার হতো। গেল আট বছর ধরে দেশের বাইরে থাকার কারণে এই অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় দেখা যায়নি তাকে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘লাল গোলাপ’ অনুষ্ঠানটি আবারও ফিরে আসে টিভি পর্দায়।
আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের তীব্র নিন্দা
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোসহ বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি স্থানে ভারতীয় বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ ও গণমাধ্যমজুড়ে অপপ্রচারের করছে। এ সময় তারা বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এসব ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম। গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ছড়াকার আবু সালেহ ও মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ন্যক্কারজনক হামলা ও অপপ্রচারের নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের মন্দিরে হামলা হয়নি। শত উসকানি সত্ত্বেও আমাদের দেশের মানুষ সব সময় সহ-অবস্থানে শতভাগ বিশ্বাসী। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে একে অন্যের ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল। এ দেশে সব মানুষের সমান অধিকার প্রশ্নাতীতভাবে বিদ্যমান। বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকে বাধাহীনভাবে পরস্পরের ধর্ম পালন করে আসছে। জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতারা আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ভবিষ্যতে এমন উদ্ভট ও অবান্তর বিষয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পানি ঘোলা না করার আহ্বান জানান নেতাদ্বয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের মুসলমানদের ওপর যখন হামলা হয়, গরুর গোশত বহন করায় নির্বিচারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা তো প্রতিবাদ করেন না। আর অসত্য বিষয় নিয়ে তিনি মামারবাড়ির আবদার করছেন। বরং কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি।
ডিআরইউর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বর্তমান কমিটি গত এক বছরের কার্যক্রম এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন করা হয়। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় জানানো হয়, গত এক বছরে ১০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আর্থিক আয় বিবরণীতে জানানো হয়, গত ২৭ নভেম্বরের অডিট বিবরণী অনুযায়ী বিদায়ী বছরে ডিআরইউ আয় করেছে মোট ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯০ টাকা। ব্যয় হয়েছে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২০ টাকা। এ বছর ঘাটতির পরিমাণ মাত্র ৪ লাখ ২ হাজার ১৩০ টাকা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৯ টাকা। সেই হিসাবে এ বছর আয় বেড়েছে ৮০ লাখ ৮৩ হাজার ২১১ টাকা। আগের বছর খরচ ছিল ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৫ টাকা। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা ঘাটতি ছিল। তবে এ বছর ঘাটতির পরিমাণ অনেক কমানো হয়েছে। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাটতি থাকলেও হাতে নগদ আছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। সভায় ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছোট একটি রুমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের সহযোগিতায় একই ভবনের চারতলায় বিশাল আকৃতির একটি ফ্লোরে অফিস স্থানান্তর করা হয়। ১০ আগস্টের পর থেকে নতুন কার্যালয় ব্যবহার শুরু হয়। যে অফিসটি বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। নতুন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অফিস রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের জন্য পৃথক রুমের পাশাপাশি সম্পাদকদের বসার পৃথক রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবনের পেছনে ডিআরইউর তিন নম্বর ভবন উদ্বোধন করা হয়। সেখানে স্টিল স্ট্রাকচারের পাঁচ তলা ভবন পরিকল্পনা করা হয় এবং নকশা তৈরি করা হয়েছে। এ ভবনের নিচ তলায় কমার্শিয়াল, দ্বিতীয় তলায় নামাজের স্থান এবং তৃতীয় তলায় অবস্থা রেখে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাকি দুটি ফ্লোরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, দায়িত্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে সংগঠনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সময়, মেধা, শ্রমে প্রিয় সংগঠনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা হলেও নতুন মাত্রা যোগ করতে পেরেছি। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে অচিরেই ডিআরইউ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হবে। আমাদের কমিটি যেটুকু সাফল্য অর্জন করেছে তার সবটুকু কৃতিত্ব আপনাদের। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম সামীম, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়া ডিআরইউর সিনিয়র সদস্যসহ অন্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬ জনকে বহিষ্কার, ৪ জনের সদস্যপদ স্থগিত
জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬ জনকে বহিষ্কার এবং ৪ জনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য এবং পতিত সরকারের পাতানো নির্বাচন সংশ্লিষ্টতার কারণে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া সাক্ষরিত পৃথক দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা বানঞ্চালের চক্রান্ত, সভায় উশৃঙ্খল আচরণ এবং বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাবে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অপদস্তের সঙ্গে জড়িত থাকা সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান সভায় উপস্থিত সদস্যরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির আজকের সভায় গঠনতন্ত্রের ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই সদস্যদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন, শামসুল হক দুররানী, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ওবায়দুল হক খান, রাশেদ চৌধুরী ও ফারাজি আজমল হোসেন। অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যরা পতিত সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসিবাদকে বৈধতাদানকারী সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি শওকত মাহমুদ, তাহমিনা আকতার, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং সালমা ইসলামের সদস্য পদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আরএসএফের আহ্বান
জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল— বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আরএসএফ বলছে, ড. ইউনূসের এই বক্তব্য উৎসাহব্যঞ্জক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যা ইঙ্গিত দেয়— যে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের’ ধারায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শতাধিক সাংবাদিক ভুক্তভোগী হয়েছেন, শিগগিরই সে অবস্থার অবসান ঘটতে পারে। আরএসএফ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গটি টেনেছে। সেখানে তারা বলছে— সাক্ষাৎকারে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ কার্ড বাতিল করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাজ করতে বাধা দেবে না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে শুধু।
আবারও ‘লাল গোলাপ’ নিয়ে ফিরছেন শফিক রেহমান
আবার ফিরছে একসময়ের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘লাল গোলাপ।’ দীর্ঘ ৮ বছর পর ফিরছে অনুষ্ঠানটি। লাল গোলাপের উপস্থাপক শফিক রেহমান একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানটির দুটি পর্ব রেকর্ড করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে। শফিক রেহমান সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এবং পরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার সম্পাদিত পাক্ষিক পত্রিকা ‘মৌচাকে ঢিল’ও এক সময় বেশ আলোচিত ছিল। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিটিভিতে লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হতো। এই অনুষ্ঠানটিতে তিনি আমন্ত্রিত অতিথিকে একটি লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি অতিথি, টকশো স্থগিতের ঘোষণা খালেদ মুহিউদ্দীনের
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য টকশো স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এই ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ফেসবুক পেজ থেকেও একই ঘোষণা প্রচার করা হয়।খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পোস্টে ঘোষণা শিরোনামে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’আমেরিকা থেকে পরিচালিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে অতিথির করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে আগামীকাল ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ওই টকশো আয়োজনের কথা ছিল।এর আগে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোর বিষয়টি টেনে আনেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ পৃথক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো করলে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করলেন কি না, সে আত্ম-জিজ্ঞাসার কথা আমরা বলব।’খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সাথে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের অধিক শহীদের সাথে বেঈমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সাথে বেঈমানি ৷’বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সাথে প্রতারণা করা হলো।’প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারও আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।
ইআরএফের বর্ষসেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন ঢাকা পোস্টের শফিকুল ইসলাম
অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বর্ষসেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের উপপ্রধান প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম। ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে থেকেও অবনতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য ‘ইআরএফ-নগদ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ এর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বর্ষসেরা পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম।সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, টিভি এই তিনটি ক্যাটাগরিতে অর্থনীতির ৯টি বিষয়ের উপর ১৬৮টি প্রতিবেদন জমা পড়েছিল। এখান থেকে সেরা ১৭টি প্রতিবেদন নির্বাচিত হয় এই পুরস্কারের জন্য।অর্থনীতির বিভিন্ন খাত নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের জন্য ‘ইআরএফ-নগদ বেস্ট রিপোর্টিং’ পুরস্কার পেয়েছেন মোট ১৭ জন সাংবাদিক। এর মধ্যে ব্যাংক-বীমা খাতের অনলাইন ও টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের শফিকুল ইসলাম। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং নগদের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. কে এ এস মুরশিদ, নগদের প্রশাসক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।এর আগে ২০২২ সালে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) ভোক্তা অধিকার সাংবাদিকতা পুরস্কার পান শফিকুল ইসলাম। ২০২৩ সালে ‘হুন্ডি খাচ্ছে রেমিট্যান্স’ শিরোনামের সংবাদের জন্য ইআরএফের ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদন’ ক্যাটাগরিতে তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন।শফিকুল ইসলাম ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ১ মে তিনি উপপ্রধান প্রতিবেদক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাত, অর্থ ও বাণিজ্য, তৈরি পোশাক এবং ভোক্তা অধিকারসহ অর্থনীতির বিভিন্ন খাত নিয়ে কাজ করেন।২০১২ সালে সংবাদ সংস্থা আইএনবি দিয়ে কর্মজীবন শুরু তার। এরপর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ ও প্রাইম নিউজে কাজ করেছেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল জাগো নিউজ।তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), বিমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) স্থায়ী সদস্য।
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শেখ জামাল
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শেখ জামালের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেনগত ২৩ অক্টোবর দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে শেখ জামালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে সাত দিনের রিমান্ডের বিষয়েশু নানির জন্য ৩০ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন আদালত। ৩০ অক্টোবর আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পন্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।এতে অনেক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম এ ঘটনায় মারা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও ৩০ সাংবাদিকের পিআইডি কার্ড বাতিল
এবার আরও ৩০ সাংবাদিক ও ব্যক্তির প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি)। রোববার (৩ নভেম্বর) পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের কার্ড বাতিল করা হয়।মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার আলোকে এসব সাংবাদিকের অনুকূলে তথ্য অধিদফতরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আওয়ামীপন্থী ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে পিআইডি।
কারাগারে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ মুনসুর বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক নারীর করা মামলায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।
নিবন্ধন পেল দেশের প্রথম ক্রীড়া নিউজ পোর্টাল ‘খেলা ডট কম’
দেশের প্রথম ক্রীড়া বিষয়ক নিউজ পোর্টাল হিসেবে সরকারের নিবন্ধন পেল ‘খেলা ডট কম’।আজ (বৃহস্পতিবার) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। খেলা ডট কম ছাড়াও নিবন্ধনভুক্ত হয়েছে নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইল।দেশের ক্রীড়াপ্রেমী পাঠকদের জন্য আরও একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছেখেলা ডট কম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হয়েছে পোর্টালটির।ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টনসহ অন্যান্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খেলার খুঁটিনাটি প্রতিদিনের খবর থেকে শুরু করে বিশেষ প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, এবং বিশ্লেষণমূলক কন্টেন্টের মাধ্যমে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করা এবং বিশ্বমানের ক্রীড়া সাংবাদিকতার আদর্শ অনুসরণ করা। নিবন্ধনপ্রাপ্তি খেলা ডট কমকে আরো গ্রহণযোগ্যতা এনে দেবে এবং পাঠকদের সামনে একটি নির্ভরযোগ্য ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম হিসেবে অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে প্রত্যাশা।
আওয়ামীপন্থি ২০ সাংবাদিকের পিআইডি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল
আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২২-এর অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে নিম্নবর্ণিত সাংবাদিকদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো। কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকরা হলেন- প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক ডিজি জাফর ওয়াজেদ, নয়াদিল্লির সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপা, ওমেননিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর, এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, আমাদের সময় ডটকমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।
সংবাদমাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এআই কম ব্যবহৃত হয়
প্রযুক্তির এই যুগে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বহুল ব্যবহার রয়েছে। নিজেদের কাজে অনেক সাংবাদিকই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে থাকেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও সংবাদমাধ্যমগুলোর তা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। নিউজরুমের উন্নয়নেও ভুমিকা রাখতে পারে এআই।সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিজেদের কাজে সাংবাদিকরা এআই ব্যবহার করলেও নিউজরুমের কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের হার এখনো খুব কম।বাংলাদেশের ২৫টি সংবাদমাধ্যমের ৫৩ জন সাংবাদিকের উপর পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফল এবং ১৩ জন সম্পাদক এবং সংবাদমাধ্যম সিদ্ধান্তগ্রহীতাকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ফোকাস গ্রুপ আলোচনা এবং বিষয় বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নিয়ে করা ‘মিডিয়া মেটামরফোসিস : এআই এবং বাংলাদেশি নিউজরুম ২০২৪’ শীর্ষক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআরডিআই) উদ্যোগে ডিজিটালি রাইট-এর সহযোগীতায় এবং এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এই মূল্যায়নে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের মধ্যে এআই ব্যবহারের ধরণ, নৈতিক চিন্তাভাবনা এবং সংবাদমাধ্যমগুলোতে আরো বেশি এআই ব্যবহারে জন্য প্রয়োজনীয় কার্যাদি ও ঘাটতির বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে।শনিবার (২৬ অক্টোবর) দ্য ডেইলি স্টার অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এর ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।ফলাফলে দেখা যায়, জরিপকৃত সাংবাদিকদের অর্ধেকেরও বেশি (৫১ শতাংশ) তাদের কাজের জন্য এআই ব্যবহার করেছেন, তবে নিউজরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এআই ব্যবহারের হার বেশ কম (২০ শতাংশ) বলে জরিপে পাওয়া গেছে। এআই ব্যবহারকারী সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল চ্যাটজিপিটি; যার ব্যবহার হার ৭৮ শতাংশ।এরপর রয়েছে গ্রামারলি (৫২ শতাংশ) এবং গুগল ট্রান্সলেট (৪৪ শতাংশ)। অন্যান্য জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যানভা (৩৭ শতাংশ), গুগল জেমিনি (১৯ শতাংশ), ডাল-ই এবং অ্যাডোবি সেনসেই (প্রতিটি ১৫ শতাংশ), মিডজার্নি, টেবুলাও, ফ্যাক্টমাটা এবং টার্নিটিন (প্রতিটি ৭ শতাংশ)। এছাড়া অন্যান্য টুলসগুলো ব্যবহার করেছেন ১১ শতাংশ সাংবাদিক।ব্যাকরণ ও লেখার ধরণ উন্নত করার জন্য বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো সমন্বিতভাবে এআই ব্যবহার করছে সবচেয়ে বেশি (৫২ শতাংশ)। এর পাশাপাশি গবেষণা ও ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইয়ে এআই ব্যবহারের হার ৪৮ শতাংশ।এই সমীক্ষায় দেখা যায়, এআই ব্যবহারের ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে চাকরি হারানোর আশঙ্কা মাঝারি, তবে অতিরিক্ত নির্ভরতা সমালোচনামূলক চিন্তাধারার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং কন্টেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা কমাতে পারে বলে চিন্তা রয়েছে।সাংবাদিকরা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রতি বিশেষ করে এআইকে একটি হুমকি হিসেবে দেখেন; যা তাদের উদ্ভাবনের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় উঠে এসেছে। এছাড়াও বিষয়সংস্লিষ্ট ধারনার অভাব, প্রক্রিয়ার পরিবর্তে ফলাফলের দিকে মনোযোগ, এআইকে কিভাবে কর্মপ্রবাহে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে ও এসংক্রান্ত নির্দেশিকার বিষয়ে বোঝার ঘাটতি এবং ভুল করার ভয় যা উদ্ভাবনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে- এই বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখানো হয়েছে।তবে বেশিরভাগ সাংবাদিক এআই’র নৈতিক সচেতনতার বিষয়ে অসচেতন বলে প্রকাশ পেয়েছে এই সমীক্ষায়। এআই ব্যবহার সংক্রান্ত নৈতিকতার বড় বাঁধাগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তার অভাব (৮৫ শতাংশ), এআই সম্পর্কে ধারণার অভাব (৭৪ শতাংশ), বাজেট সীমাবদ্ধতা (৪৭ শতাংশ) এবং স্পষ্ট নৈতিক নির্দেশিকার অভাব (৪৫ শতাংশ)।এআই নিউজরুমের উন্নয়নের জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে জানিয়ে গাইডলাইন প্রণয়ন, স্বচ্ছ এআই ডিসক্লোজার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার আয়োজন এবং সাংবাদিকতা শিক্ষাকে আধুনিকায়নের সুপারিশ উঠে এসেছে সমীক্ষাটিতে।
সাংবাদিক নেতা শেখ জামাল আটক
সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাংবাদিক শেখ জামালকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজারস্থ গ্রীনওয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তারা বাসার দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় তল্লাশির পর তাকে আটক করে নিয়ে যায়।শেখ জামাল একাই থাকতেন ভাড়ার বাসাটিতে। সরকার পতনের পর সে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের পক্ষে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা মূলক নানা পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। ৫ আগস্টের ঘটনায় আলাদা দুটি হত্যা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠিত
কার্যকরী পরিষদের তিন সদস্য বহিষ্কার ও সাধারণ সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়েছে। ৫১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে ফজলুল কাদের চৌধুরী সভাপতি, এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন সাধারণ সম্পাদক ও মো. নাজিম উদ্দিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে এক বিশেষ সাধারণ সভায় আগামী তিন বছরের জন্য ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ছাত্র আন্দোলনে শহীদ বীর ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে গণআন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতার প্রতি জানানো হয় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিশেষ সাধারণ সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন- প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক মো. হাসান।নবগঠিত কার্যকরী কমিটির সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাশেম, আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি আয়াছ রবি, শেখ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আয়াছ রনি, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাসান, পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক মুকিম খাঁন, প্রচার সম্পাদক ইয়াছিন আরফাত, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল আলী তালুকদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন তানিয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. রমজান, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ইসলাম কাজল, নির্বাহী সদস্যসহ ৫১ সদস্যের কমিটি।এ সময় বক্তব্য দেন- মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জেএইচএম ইউনুচ, দৈনিক রূপালী সৈকতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল হাশেম, নির্বাহী সম্পাদক শেখ সেলিম, বিশেষ প্রতিবেদক মো. আয়াজ রবি, দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের নির্বাহী সম্পাদক আয়াছ রনি, টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল হোসাইন, সাধারন সম্পাদক মো. আজিজ উল্লাহ আজিজ, কুতুবদিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, দৈনিক একুশে সংবাদের বিশেষ প্রতিবেদক কামরুন তানিয়া, কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার আব্দু রাজ্জাক, দৈনিক মেহেদী'র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, রামু উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম সিকদার, দৈনিক চকোরী'র স্টাফ রিপোর্টার রমজান আলী সিকদার, সাউথ এশিয়ান টাইমসের জেলা প্রতিনিধি সুরোজ সিকদার, বাংলাদেশ সমচার ও কক্সবাজার দর্পনের সহ-সম্পাদক রাসেল আলী তালুকদার, দৈনিক মেহেদী'র স্টাফ রিপোর্টার ইয়াছিন আরাফাত।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার মো. সোহেল, নিউজ ২১ বাংলা টিভির প্রতিনিধি মো. শাহেদুল ইসলাম, দৈনিক আজকের বসুন্ধরার কক্সবাজার প্রতিনিধি দিদারুল ইসলাম কাজল, দৈনিক বর্তমান বাংলাদেশ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি রিয়াজ উদ্দিন, দৈনিক জবাবদিহি'র জেলা প্রতিনিধি মো. সিরাজুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।বিশেষ সাধারণ সভার শেষে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন।
বাসায় ঢুকে দীপ্ত টেলিভিশনের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীর হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্টে ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন ভূমি মালিকের ছেলে তানজীল জাহান ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী তাকে বাসায় ঢুকে হত্যা করে বলে অভিযোগ পরিবারের। স্বজনদের অভিযোগ, ফ্ল্যাট দখলের জন্য বাসায় হামলা চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন ও বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলমের কোম্পানির লোকজন। পিটিয়ে হত্যা করে তানজীলকে।নিহত তানজীল বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল দীপ্ত টেলিভিশনের ব্রডকাস্ট বিভাগের কর্মী ছিলেন। জমির মালিক বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মামুন ভবনটির সাততলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা। পাশে থাকা ফ্ল্যাটটি জমির মালিকের জন্য নির্ধারিত ছিল। তার দাবি, সেটিই জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিলেন মামুন। দখলে সহায়তা করছিল ডেভলপার কোম্পানিও। তাদের লোকজনের হামলায় তার ছেলে তানজীল জাহান ইসলাম গুরুতর আহত হন, মারা যান হাসপাতালে নেয়ার পথে।পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি তারা। যদিও পুলিশ বলছে, হামলার খবর আসা মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ডেভলপার কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারসহ ৩ জনকে আটকও করা হয়।এ ব্যাপারে মাদকের উপ-পরিচালক মামুনের বক্তব্য নিতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। আর ডেভলপার কোম্পানির মালিক বিএনপির নির্বাহী কমিটির নেতা দাবি করেন, হামলায় তার লোকজন জড়িত নয়।
দৈনিক আমার দেশের প্রকাশক ও সম্পাদক হলেন মাহমুদুর রহমান
অবশেষে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হলেন ড. মাহমুদুর রহমান। এত দিন তিনি পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। প্রকাশক ছিলেন হাসমত আলী। প্রকাশক পাল্টানোর আবেদন করলেও আওয়ামী লীগ সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রকাশক হিসেবে ডিক্লেয়ারেশনে স্বাক্ষর করেন মাহমুদুর রহমান। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক আমার দেশের নগর সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।তিনি অভিযোগ করে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার পরও বিগত সময় আওয়ামী সরকার আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পরিবর্তন করেনি।গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারাদেশে ১২৪টির বেশি মামলা হয়। একটি মামলায় মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রীকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় তাকে কারা নির্যাতনও ভোগ করতে হয়।২০০ বছর পরও সাঈদ-মুগ্ধদের স্মরণ করবে মানুষ: মাহমুদুর রহমানদেশে ফেরার পর তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। তবে পাঁচ দিনের মাথায় তিনি জামিনে মুক্ত হন।প্রথম দফায় ২০১০ সালের জুন মাসে ও দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।দৈনিক আমার দেশের যাত্রা ২০০৪ সালে। পত্রিকাটির মালিক ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালু। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে ফালু কারাগারে গেলে এক পর্যায়ে পত্রিকাটির মালিকানা পরিবর্তন হয়। দায়িত্ব নেন জাতীয় বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহসান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে শুরুর দিকে সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিল দৈনিক আমার দেশ। এতে পত্রিকাটি সরকারবিরোধীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তবে রোষানলে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের।
জামিনে কারামুক্ত হলেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান
জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্ত হন। দুপুরের দিকে তার জামিনের আদেশের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে বিকেলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এই কারাগারে আনা হয়।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় মাহমুদুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবদেন করলে বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন তাকে জামিন দেন। জানা গেছে, মাহমুদুর রহমানের সাজার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আপিল করা হলে আদালত আপিল গ্রহণ করেন। এরপর তার আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট মাহমুদুর রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এক ধারায় পাঁচ বছর আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।এদিকে মাহমুদুর রহমানের কারামুক্তির খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের সামনে উপস্থিত ছিলেন।
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী আর নেই
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গাজী আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।রুহুল আমিন গাজী ছিলেন দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক।জানা গেছে, রুহুল আমিন গাজীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী ‘কালাকানুন’ বাতিলসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিএফিইউজে ও ডিইউজে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব ‘কালাকানুন’ বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সামবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এসব দাবি জানিয়ে এই সমাবেশ করেন সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের এই দুটি সংগঠন।ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। সময়ের অপেক্ষা, আইনি লড়াইয়ে নামবেন আওয়ামী আইনজীবীরাশামসুজ্জামান দুদু বলেন, সাগর-রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যে সরকারের সময় হত্যা করা হয়েছিল, সেই সরকারের অনেক প্রিয়ভাজন ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অনেক মানুষ মনে করে। এ কারণে দীর্ঘ সময় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়েছে, কিন্তু চার্জশিট দেওয়া হয়নি। এখন এই সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দায় মুক্তির সময়। যদি তারা এই দায় কাঁধ থেকে নামাতে চায়, তাহলে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার৷ তারা বলেছে, এটি তারা করবে। আমরাও বিশ্বাস করি এটি তারা করবে। কিন্তু সময় থাকতে তা শেষ করতে হবে।জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, এখনো কালাকানুনগুলো দূর হয়নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এখনো নিরঙ্কুশ হয়নি, নিশ্চিত হয়নি। অনেক সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। সেগুলোর বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। কালাকানুনগুলো যেন রোধ করা হয়৷ সাগর-রুনির প্রকৃতি খুনিদের যেনো চিহ্নিত করা হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের এখন দেশ চালাচ্ছে। তারা একটি সংস্কারের কাজ করছে৷ আমাদের দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রত্যেকের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা, সংস্কারের ক্ষেত্র তৈরি করা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সুগম করা। সেক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়-দায়িত্ব আছে।৩৬ জুলাই শেষ হয়ে যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতেই থাকবে। এই সংস্কার শুরু হয়েছে এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের হাতে সেই সংস্কার চলবে৷ গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি এখনো অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছ। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং আঞ্চলিক ও পরাশক্তিগুলোর মধ্যেও আমাদের এই সাফল্য নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র আছে৷ এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে৷ আমরা যেন এগুলো সম্মিলিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে, সচেতনতার সঙ্গে, পরিপক্কতার সঙ্গে, ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবিলা করি।সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। আমরা তিনটা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। প্রথম দাবি ছিল এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। দ্বিতীয় দাবি ছিল সাগর রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার। তৃতীয় দাবি ছিল সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে।দীর্ঘ আন্দোলন এবং সংগ্রামের পরে সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র জনতার রক্তের ওপর দিয়ে আজকে এই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এখনো দুটি দাবি আদায় হয়নি। সেগুলো হলো, সাগর রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। আমরা উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আহ্বান রাখতে চাই, অবিলম্বে সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। এর বাইরে আমরা কোনও কথা শুনতে চাই না। কোনো তালবাহানা দেখতে চাই না। আমরা ১৬ বছর ধরে যে দাবি করে আসছি সেটার থেকে এক চুলও নড়বো না। সাগর রুনিসহ ৬৫ জন সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। এরপরে সকল বন্ধ গণমাধ্যমগুলোকে খুলে দিতে হবে।
সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িতদের বিচারের দাবিতে জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট
সাংবাদিক নির্যাতনের জন্য যারা বিচার বিভাগের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, তাদেরসহ জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছে জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নির্যাতিত সাংবাদিকদের কথা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলে সংগঠনটি।জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের নেতারা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সম্পাদক-সাংবাদিকরা আক্রান্ত হয়েছেন। বন্ধ হয়েছে অনেক গণমাধ্যম। এমন পরিস্থিতি যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, তার জন্য কাজ করবে জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট।সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য তাদের এই লড়াই চলমান থাকবে। স্বাধীন গণমাধ্যম পরিপন্থী আইন বাতিল করাসহ সাংবাদিক নির্যাতনের জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা।এছাড়া, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান বিএসএমএমইউতে ভর্তি
সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান শারীরিক নানা অসুস্থতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌচাকে ঢিল’র সহকারী সম্পাদক সজীব ওনাসিস। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে ১৯ আগস্ট যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন যায় যায় দিন’র সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। আসার পর থেকেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার বেশি অসুস্থ বোধ করলে তাকে ওই দিন সন্ধ্যাতেই বিএসএমএমইউ’তে ভর্তি করা হয়।সজীব ওনাসিস জানান, এরইমধ্যে শফিক রেহমানের এমআরআইসহ বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের গভীর পর্যবেক্ষণে আছেন।শফিক রেহমানের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।