ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আজ বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। কিংসটাউনে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা গড়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ। এরপর ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে নেমে লাল-সবুজের দলের বোলাররা করেছেন দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স। তাসকিন আহমেদ-তানজিম সাকিবদের তোপে ৪২ রানেই ৬ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ১০২ রানে। আর তাতে ২৭ রানের দুর্দান্ত জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে লিটন দাসের দল। ১৩০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিজের করা প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। তার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ব্র্যান্ডন কিং। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। টাইগার এই স্পিডস্টারের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। তাসকিনের তোপে দলীয় ১৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জনসনকে চার্লসকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান। এরপর তিনি ফিরিয়েছেন নিকোলাস পুরাণকেও। উইকেট নেয়ার উৎসবে যোগ দেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিবও। এ দুজনও একটি করে উইকেট নিলে ৯ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিকে ৬ উইকেট হারানোর পর আকিল হোসেইনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন রোস্টন চেজ। সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভেঙেছেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে রিশাদের করা দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা হাকিয়েছিলেন চেজ। তবে সেই ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। রিশাদের বলে বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। চেজ ফিরলে ভাঙে আকিলের সঙ্গে তার ৪৭ রানের জুটি। একই ওভারে গুদাকেশ মোতিকেও আউট করেন রশাদ। এরপর আলজারি জোসেফকে সাকিব এবং আকিলকে তাসকিন সাজঘরের পথ দেখালে ২৮ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ৬ বছরে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।

ফিফা দ্য বেস্ট উঠলো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুসের হাতে

ব্যালন ডি’র অল্পের জন্য মিস হলেও ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ ঠিকই জিতে নিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অসাধারণ এক মৌসুম কাটানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ফিফা দ্য বেস্ট জিতলেন ভিনি। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মৌসুমে ২৪ গোল করেন। জিতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও সুপার কোপা। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গোল করেন তিনি। সুপার কোপার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। ভিনির অবশ্য ব্যালন ডি’অর জয়ের বড় সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ইউরো জয়ী রদ্রির কাছে ওই পুরস্কার হারান তিনি। তবে ২০০৭ সালের পর প্রথম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে জিতলেন ফিফা দ্য বেস্ট। ফিফা দ্য বেস্টেও ভিনির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রদ্রি। তবে মনোনয়ন পাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয়েছেন ভিনি। রদ্রি ৪৩ ও জুড বেলিংহাম ৩৭ পয়েন্ট পেয়েছেন।

ভিনি-রদ্রি নাকি মেসি, কে হচ্ছেন বর্ষসেরা ফুটবলার?

কয়েক সপ্তাহ আগে ‘দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়াডের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। আজ কাতারের দোহায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করবে বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ প্রশাসন। বর্ষসেরার লড়াইয়ে জায়গা পেয়েছেন আর্জেন্টাইন প্লে-মেকার। সর্বোচ্চ ৪বার এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তবে এ বছর সেরার লড়াইয়ে মেসির উপস্থিতি ছিল বিস্ময়কর। এ নিয়ে ভালোই বিতর্ক হয়েছে। অথচ স্বপ্নের একটা মৌসুম পার করা ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজের জায়গা হয়নি। এ বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। যদিও অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ড ভিনির হাতে উঠবে সেরার মুকুট। কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার দিন উল্টে যায় পাশার দান। এবার ভিনি ফিফার বর্ষসেরা হতে পারেন কিনা সেটিই দেখার। মেসির সাথে তালিকায় আছেন ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড, রদ্রি, রিয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহাম, কাইলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, দানি কার্ভাহাল, টনি ক্রুস, ফেদেরিকো ভালভার্দে, বেয়ার লেভারকুসেনের ফ্লোরিয়ান রিৎজ ও বার্সেলোনার লামিন ইয়ামাল। মেয়েদের তালিকায় স্থান পাওয়া বার্সেলোনার সাতজনের অন্যরা হলেন- ক্যারোলিন গ্রাহাম হ্যানসেন (নরওয়ে), কিয়েরা ওয়ালশ (ইংল্যান্ড), লুসি ব্রোঞ্জ (ইংল্যান্ড), মারিওনা ক্যালডেন্টি (স্পেন), ওনা বাটলে (স্পেন), সালমা প্যারালুয়েলো (স্পেন)। বারবারা বান্দা (জাম্বিয়া), সাংহাই শেংলি/অরল্যান্ডো প্রাইড, ম্যানচেস্টার সিটির খাদিজা শ (জ্যামাইকা), লরেন হেম্প (ইংল্যান্ড), লিন্ডসে হোরান (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অলিম্পিক লায়নেস, ম্যালরি সোয়ানসন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) শিকাগো রেড স্টারস, নাওমি গিরমা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সান দিয়েগো ওয়েভ, সোফিয়া স্মিথ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) পোর্টল্যান্ড থর্নস, তাবিথা চাউইঙ্গা (মালাউই) প্যারিস সেন্ট জার্মেইন/অলিম্পিক লায়নেস এবং ট্রিনিটি রডম্যান (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ওয়াশিংটন স্পিরিট। ছেলেদের বর্ষসেরা কোচের তালিকায় স্থান পেয়েছেন পাঁচজন। আছেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবলজয়ী পেপ গার্দিওলাসহ ইউরোজয়ী স্পেনের কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তে, রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তি এবং বেয়ার লেভারকুসেনের জাভি আলোনসো। মেয়েদের তালিকায় এ সংখ্যার পরিমাণ বেশি, আটজন। আছেন ব্রাজিলের কোচ আর্থার ইলিয়াস, ইংল্যান্ডের এমা হায়েস, ম্যানচেস্টার সিটির গ্যারেথ টেইলর, বার্সেলোনার জোনাটান গিরাল্ডেজ। বাকিরা হলেন- এলেনা সাদিকু (সুইডেন) সেল্টিক, ফুতোশি ইকেদা (জাপান) জাপান, স্যান্ডরিন সাউবেরান্ড (ফ্রান্স) প্যারিস এফসি এবং সোনিয়া বোম্পাস্টার (ফ্রান্স) অলিম্পিক লায়নেস/চেলসি।

মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে গুটিয়ে ১২০ রানে জিতল বাংলাদেশ

শুরুতে ব্যাটাররা এনে দিলেন ভালো সংগ্রহ। জান্নাতুল মাওয়া এগিয়ে নেন দলকে। এরপর বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে টিকতেই পারেনি মালয়েশিয়ান ব্যাটাররা।মঙ্গলবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ম্যাচে মালয়েশিয়ার মেয়েদের ১২০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে বাংলাদেশ। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ২৯ রানে অলআউট হয় মালয়েশিয়ান মেয়েরা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। ২১ বলে ২৬ রান করে আউট হন ওপেনার ফাহমিদা ছোঁয়া। ১৬ বলে ১৯ রান আসে আরেক ওপেনার মোসাম্মৎ ইভার ব্যাটে। পরের ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে শেষটা দারুণ করেন সাদিয়া আক্তার ও জান্নাতুল মাওয়া। ৪৫ বলে ৪৫ রান করে মাওয়া ও ১৯ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাদিয়া। রান তাড়ায় নামা মালয়েশিয়ার একজন ব্যাটারও ব্যক্তিগত রান দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেননি। ১১ বলে সর্বোচ্চ ৫ রান করেন নূর আলিয়া বিনতে হারুন। বাংলাদেশের হয়ে ৩ ওভার ৫ বল হাত ঘুরিয়ে ৩ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন নিশিতা আক্তার নিশি। ৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হাবিবা ইসলাম।

আতলেতিকো ম্যাচে ইয়ামালকে পাচ্ছে না বার্সা

বয়স ১৭ পেরিয়েছে সবে! এর মধ্যেই বার্সেলোনার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে চলতি মৌসুমে চোট তার পিছু ছাড়ছে না। গোড়ালির ইনজুরির কারণে এবার তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেলেন লামিনে ইয়ামাল। ইনজুরিতে থাকায় তাই বার্সার হয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচটি খেলতে পারছেন না এই ফরোয়ার্ড। এক বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেছে বার্সা। কাতালান ক্লাবটি জানায়, ‘ইয়ামাল গোড়ালির সামনের লিগামেন্টে হালকা চোট (গ্রেড-১) পেয়েছেন। যার ফলে তাকে ৩-৪ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ’ এমনিতে লা লিগায় সময়টা ভালো যাচ্ছে না বার্সা। গতকাল অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেগানেসের কাছে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে তারা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোড়ালিতে চোট অনুভব করেন ইয়ামাল। কিন্তু তারপরও ৭৫ মিনিট পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান তিনি। পরে তার বদলি হিসেবে নামেন গাভি। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬ গোল ও ১১ অ্যাসিস্ট করেছেন ইয়ামাল। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়ে তার চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট আছে কেবল দুজনের। এদিকে, আগামী শনিবার লা লিগায় আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সা। ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে তারা। সমান পয়েন্ট থাকলেও এক ম্যাচ কম খেলে দুইয়ে আতলেতিকো।

রফিকের ঝড়ে নান্নু-রাজ্জাকদের হার

বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে শহিদ জুয়েল একাদশ। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন শহীদ মুশতাক একাদশকে নয় উইকেটে হারিয়েছ খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন শহিদ জুয়েল একাদশ। ঝড়ো অর্ধশতকে এই ম্যাচের নায়ক কিংবদন্তি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) শহিদ মুশতাক একাদশ আগে ব্যাট করে ১৫ ওভারে ১২৯ রান করতে সমর্থ হয়। এই রান তাড়া করতে নেমে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ রফিক। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বাঁহাতি স্পিনার শহিদ জুয়েল একাদশের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন। আরেক বাঁহাতি স্পিনার ও বিসিবির নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৬ বলে ১৬১ দশমিক ১১ স্ট্রাইক রেটে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে রফিক ও এহসানুল হক মিলে শত রানের জুটি গড়েন। রফিক ছয় চার ও দুই ছয়ে অর্ধশতক করে ফিরলেও ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেন এহসানুল। শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ওয়ান ডাউনে নেমে সাবেক ওপেনার ও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান শাহরিয়ার নাফিস ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। চার বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় শহিদ জুয়েল একাদশ। এর আগে মেহরাব হোসেন অপি ও হান্না সরকারের ব্যাটে ভাল শুরু পেয়েছিল শহিদ মুশতাক একাদশ। তবে, ৫০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই অপি ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। তাকে ফেরান ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স। আরেক ওপেনার হান্নান আউট হন ২৫ রান করে। নান্নু ১২, রাজ্জাক ১৫, হাসানুজ্জামান ১৯, মুশফিকুর ১০ ও হসিবুল শান্ত ১২ রান করেন। নির্ধারিত ১৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে শহিদ মুশতাক একাদশ। শহিদ জুয়েল একাদশের হয়ে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন রফিক ও তালহা যুবায়ের। অর্ধশতকের সঙ্গে দুই উইকেট শিকারে ম্যাচসেরা হয়েছেন রফিক।

হারতে হারতে রিয়ালকে সুযোগ করে দিল বার্সা

চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জেতা বার্সেলোনা লা লিগায় এসে খেই হারিয়ে ফেলেছে। শেষ ছয় ম্যাচে তাদের জয় মাত্র ১টিতে। সর্বশেষ ঘরের মাঠে লেগানেসের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে তারা। বার্সার এই হারে শিরোপার লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ পেয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।শুরুতেই লেগানেস অধিনায়ক সের্হিও গনজালেসের করা একমাত্র গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। বাকি সময় চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কাতালান জায়ান্টরা। এ নিয়ে ঘরের মাটিতে টানা দ্বিতীয় লিগ ম্যাচ হারলো বার্সা। অন্যদিকে লেগানেসের জন্য এই জয় ঐতিহাসিক। এটি ছিল বার্সেলোনার মাঠে তাদের প্রথম জয়। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কর্নার থেকে লেগানেসের অধিনায়ক গনজালেস হেডে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। সমতায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও আর সফল হতে পারেনি বার্সা। যদিও পুরো ম্যাচে ৮০ শতাংশ বলের দখল রেখেছিল তারাই। শট নিয়েছিল ২০টি, যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু লক্ষ্যে থাকা সব শট লেগানেসের গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন। এই হারের পরও ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বার্সা। সমান পয়েন্ট থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সা আগামী শনিবার খেলবে। অন্যদিকে, এক ম্যাচ কম খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের জন্য বার্সার প্রতিটি হার এখন উপহারের মতো। কারণ পয়েন্টের ব্যবধান ক্রমেই কমে আসছে।

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিবের বোলিং

ঘোষণা নিয়ে অপেক্ষা ছিল পুরো এক দিন। আইসিসির বিধান বলছিল, আপাতত ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ইংল্যান্ডের ল্যাবে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন শনাক্তের পর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। বিসিবি জানিয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনস্থ প্রতিযোগিতাগুলিতে বোলিং করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হয়েছেন। এর ফলে, সাকিব বাংলাদেশের বাইরের কোন ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বোলিং করতে পারবেন না। মূলত আইসিসির বোলিং অ্যাকশন সংক্রান্ত আইনের কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। যেখানে ১১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণ-বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’ বিসিবির ভাষ্য, আইসিসির অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের বিধি ১১.৩ অনুযায়ী, যদি কোন জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন একজন খেলোয়াড়কে তাদের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করে, তবে এই নিষেধাজ্ঞা আইসিসি কর্তৃক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবং অন্যান্য জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলোর ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়। এটি আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাওয়ার পরপরই প্রযোজ্য হয়, কোন অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় না। তবে, বিধি ১১.৪ অনুসারে, সাকিব আইসিসি অনুমোদিত পরীক্ষাগারে পুনরায় বোলিং পরীক্ষার জন্য যেতে পারেন। আর তাতে বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণ হলে, সাকিব আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন। এই ব্যাপারে ইসিবি, আইসিসি এবং সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানায় বিসিবি।

সাকিবকে নিষিদ্ধ করবে না বিসিবি

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের পরিস্থিতির কারণে তাকে দলে ফেরানো যাচ্ছে না, আবার বাদ দিলেও হচ্ছে সমালোচনা। এরই মাঝে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে বিসিবি এই সুযোগটি না নিয়ে সাকিবের পাশেই দাঁড়িয়েছে। আইসিসির সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং বিষয়ক নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’ ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসন্ন বিপিএলে সাকিব খেলতে পারবেন কিনা? ঘরোয়া লিগগুলোর বিষয়েও আইসিসির নীতিমালায় বলা আছে, ‘জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলোর অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে। আইসিসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’ সুতরাং এটা পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে, আইসিসি যদি ইসিবির এই সিদ্ধান্তকে আমলে নেয়, তাহলে সাকিব সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন। তবে বিপিএল খেলার একটা সুযোগও আছে সাকিবের সামনে। আইসিসির ১১.৪ অনুচ্ছেদ বলা আছে, ‘১১.১ ও ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কোনো খেলোয়াড়কে তার দেশের ক্রিকেট ফেডারেশন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে পারবে (তবে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই)।’ সাকিবকে খেলানোর জন্য এই সুযোগটাই নিতে চাইছে বিসিবি। দেশ রূপান্তরকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ‘যেকোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হলে সেটা শুধরানোর জন্য ম্যাচ খেলতে হবে। তাই দেশের ক্রিকেটে সাকিবের খেলতে কোনো বাধা নেই। তবে দুটি বিষয় আমরা আইসিসির কাছে জানতে চেয়েছি। প্রথমটি হলো কোন কোন প্রতিযোগিতায় সে খেলতে পারবে এবং কোথায় কোথায় নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য সেটা। দ্বিতীয়টি হলো, যেহেতু ইসিবি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই অ্যাকশন শুধরে পরীক্ষাটা ইসিবির আন্ডারেই দিতে হবে নাকি বিসিবির স্বীকৃত কোনো বোলিং অ্যাকশন ল্যাবে পরীক্ষা দিলেও হবে? এই দুটি বিষয়ের জবাবের অপেক্ষায় আছি আমরা।

ড্র করে শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারাল রিয়াল

লা লিগায় গতকাল রায়ে ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এ ম্যাচে জিততে পারলে বার্সেলোনাকে টপকে লিগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল লস ব্লাঙ্কোসদের। প্রতিপক্ষের মাঠে এ ম্যাচে দুই দফা পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরে রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে লিডও পেয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা, তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার আগেই গোল হজম করে বসে রিয়াল। চতুর্থ মিনিটে উনাই লোপেজ ভায়েকানোকে এগিয়ে দেন দারুণ এক গোলে। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে লড়াইয়ে নামে রিয়াল। তবে সমতা ফেরার আগেই ফের পিছয়ে পড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা। সবশেষ ম্যাচে গোল করলেও চোট পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। এ কারণে ভায়েকানোর বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে ছিলেন না তিনি। চতুর্থ মিনিটে প্রথম পিছিয়ে পড়ার পর ৩৬ মিনিটে রিয়াল আরও এক গোল হজম করে বসে রিয়াল। এবার স্বাগতিকদের হয়ে গোলটি করেন আব্দুল মুমিন। এদিকে দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও রিয়াল প্রথমার্ধ শেষ করেছে সমতা নিয়েই। ৩৯ মিনিটে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। ডি বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন জুড বেলিংহাম। রদ্রিগোর বাড়িয়ে দেয়া বলে দারুণ এক হেডে জালের দেখা পান ইংলিশ এই মিডফিল্ডার। লিগে এটি বেলিংহামের টানা ষষ্ঠ গোল। সমতা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল। এরই ধারাবাহিকতায় গোলের দেখা পেয়ে যান রদ্রিগো। ৫২ মিনিটে জালের দেখা পেয়েছিলেন আর্দা গুলের, তবে তিনি অফসাইডে থাকায় তা বাতিল হয়। তবে এর চার মিনিট পরই দলকে লিড এনে দেন রদ্রিগো। বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান এই উইঙহারের নেয়া শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। এদিকে লিড নিলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। ৬৪ মিনিটে ম্যাচে সমতায় ফিরে ভায়েকানো। এরপর দুই দলি গোলের সুযোগ পেলেও কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। এই ড্রয়ে ১৭ ম‍্যাচে ১১ জয় ও চার ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল, সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।

বিপিএলে আবেদনময়ী মডেল নিয়োগ চট্টগ্রামের, জানা গেল উদ্দেশ্য

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৪ আসরে নতুন মাত্রা যোগ করেছে চিটাগাং কিংস। সাকিব আল হাসানকে সরাসরি দলে ভেড়ানোর পর এবার আরও একটি চমকপ্রদ ঘোষণা দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম বারের মত চিটাগাং কিংস নিয়োগ দিয়েছে একজন অফিসিয়াল সঞ্চালক। তবে, এটি শুধু একটি সাধারণ নিয়োগ নয়, কারণ হোস্ট হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বিদেশি আবেদনময়ী মডেল ইয়েশা সাগর। কানাডিয়ান মডেল ইয়েশা সাগর নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ‘আমি চিটাগাং কিংসে যোগ দিতে যাচ্ছি। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। বিপিএলে কিংসদের জার্নির সব অ্যাকশন, থ্রিল ও স্মরণীয় মুহূর্ত তুলে ধরতে আমি প্রস্তুত।’ ইয়েশা সাগর কেবল একজন মডেল নন; তিনি একজন অভিনেত্রী, ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার ও ক্রিকেট প্রেজেন্টারও বটে। এর আগে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডার আসরে সঞ্চালক হিসেবে কাজ করে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কানাডার নাগরিক হলেও ইয়েশার শিকড় ভারতের পাঞ্জাবে। ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া এই গ্ল্যামার ব্যক্তিত্ব ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১৫ সালে কানাডায় পাড়ি জমানোর পর মিউজিক ভিডিও এবং চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ২০২৩ সালে তিনি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ‘ইয়ারান দা রুতবা’য় অভিনয় করেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে চিটাগাং কিংসের অফিসিয়াল পেজে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় ইয়েশার নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়। সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কানাডিয়ান মডেল, অভিনেত্রী, ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার ও ক্রিকেট প্রেজেন্টার ইয়েশা সাগর বিপিএলে চিটাগাং কিংসের অফিসিয়াল হোস্ট হিসেবে থাকবেন। গ্ল্যামার, স্টাইল ও প্যাশন নিয়ে হাজির হবেন টুর্নামেন্টে। আগে কখনও দেখা যায়নি এমন শো, এর জন্য প্রস্তুত হোন।’ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইয়েশার জন্মদিন। এমন বিশেষ দিনে চিটাগাং কিংসে তার যোগদানের ঘোষণা ভক্তদের জন্য বাড়তি আনন্দের কারণ হয়ে উঠেছে। চিটাগাং কিংস বরাবরই দলকে নতুন ধাঁচে সাজানোর চেষ্টা করে এসেছে। সাকিব আল হাসানের মত বিশ্ব মানের অলরাউন্ডার দলে ভেড়ানো এবং ইয়েশার মত একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বকে হোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির লক্ষ্য যে শুধু মাঠেই নয়, বিনোদন জগতেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা, তা স্পষ্ট। বিপিএল ২০২৪ আসর শুরু হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। চিটাগাং কিংসের এমন চমকপ্রদ পদক্ষেপ কতটা সফল হয়, তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র: দেখে নিন কে কার প্রতিপক্ষ

২০২৬ বিশ্বকাপের অনান্য মহাদেশের বাছাইপর্ব শুরু হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ের নামগন্ধও ছিল না। এর নেপথ্য কারণ ছিল উয়েফা নেশনস লিগ। অবশেষে ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বের উত্তাপ শুরু হলো। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে মহাদেশটির দলগুলোর বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন বছরের মার্চে শুরু হবে এই বাছাইপর্ব। চলবে একই বছরের নভেম্বর পর্যন্ত। যেখানে গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ড প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা। তবে সব গ্রুপের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। তাকিয়ে থাকতে হবে নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে। সেখানে ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাছাইয়ের চূড়ান্ত প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করা হবে। পুরো বাছাইপর্বে থাকবে পাঁচটি বিরতি। ১২টি গ্রুপের দলগুলোর মধ্যে ইউরোপের ১৬টি দেশ টিকিট পাবে মূলপর্বের। ২০২৬ সালে প্রথমবার আয়োজন করা হবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। ১২টি গ্রুপের সব গ্রুপে অবশ্য সমান প্রতিপক্ষ নেই। ছয়টি গ্রুপ সাজানো হয়েছে চারটি করে দল নিয়ে। অন্য ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে পাঁচটি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি টিকিট পাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের। রানার্সআপ দলগুলো খেলবে প্লে-অফ পর্ব। বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২১-২৫ মার্চ, ৬-১০ জুন, ৪-৯ সেপ্টেম্বর, ৯-১৪ অক্টোবর এবং ১৩-১৮ নভেম্বর। ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। একই বছরের ১১ জুন মেক্সিকো সিটিতে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১৯ জুলাই নিউ জার্সিতে বিশ্বকাপ ফাইনাল। এক নজরে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপগুলো- গ্রুপ এ: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), স্লোভাকিয়া, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ।গ্রুপ বি: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও কসোভো।গ্রুপ সি: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), গ্রিস, স্কটল্যান্ড ও বেলারুশ।গ্রুপ ডি: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), ইউক্রেন, আইসল্যান্ড ও আজারবাইজান।গ্রুপ ই: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), তুরস্ক, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়া।গ্রুপ এফ: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।গ্রুপ জি: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা।গ্রুপ এইচ: অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস এবং সান মারিনো।গ্রুপ আই: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা।গ্রুপ জে: বেলজিয়াম, ওয়েলস, নর্থ মেসিডোনিয়া, কাজাখস্তান ও লিখটেনস্টেইন।গ্রুপ কে: ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।গ্রুপ এল: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), চেক প্রজাতন্ত্র, মন্টিনিগ্রো, ফারাও আইল্যান্ড ও জিব্রাল্টার।

৩২১ করেও হারের পর মিরাজ যা বললেন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। গতকাল তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩২১ রানের সংগ্রহও গড়েছিলেন মেহেদী মিরাজরা। তবে তিনশর উপরে রান করেও জয়ে ফিরতে পারেনি লাল-স্পবুজের দল, ২৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের দাপুটে জয়ে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা। এদিকে ৩২১ রান ডিফেন্ড করতে নেমে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুটা করেছিলেন ভালোই। ৮৬ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল ক্যারিবীয়রা। তবে শেষ পর্যন্ত কিসি কার্টির ৯৫ এবং আমির জ্যাঙ্গোর ১০৪ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। এই হারের পর কারণ হিসেবে মেহেদী মিরাজ বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম এবং মাঝের ওভারগুলোয় আমরা উইকেট নিতে পারিনি—এটাই ছিল আমাদের জন্য সমস্যা।’ মিরাজ আরও বলেন, ‘আমাদের বোলারদের জন্য খুব কঠিন দিন ছিল। ব্যাটাররা ভালো করেছে। আমরা ভালো জুটি পেয়েছি। সৌম্য, জাকের ও মাহমুদউল্লাহ- সবাই ভালো করেছে।’

বছরের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের রেকর্ডগড়া সংগ্রহ

অনেকটা গাণিতিক গ্রাফের মতো বাংলাদেশের ইনিংস। শুরুতে নিচে নেমেছে দুই উইকেট পতনে। এরপর সৌম্য সরকার এবং মেহেদি হাসান মিরাজের কল্যাণে উর্ধ্বমুখী চলা। মাঝে ২৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানো। শেষদিকে ফের জাকের আলী অনিক এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়। ফিফটি এসেছে চারটি। তাতে বছরের শেষ ওয়ানডেতে এসে ৩০০ রান পার করেছে বাংলাদেশ। সেইন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ চার ফিফটির সুবাদে করেছে ৩২১ রান। চলতি বছরে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ৩০০ রান পার করা। ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী অনিক যোগ করেছেন ঠিক ঠিক ১৫০ রান। এটি ৬ষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। সেইসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। অবশ্য প্রথমে ব্যাট করার সাপেক্ষে এটিই সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে টন্টনে রানতাড়া করতে গিয়ে ৩২২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য রানতাড়া করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এদিনের শুরুটাও ছিল আগের মতোই। টপঅর্ডারে ছিল চিরায়ত ধস। স্কোরকার্ডে ৯ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস। তৃতীয় ওভারে জোসেফের করা দ্বিতীয় বলে পুল শট করতে গিয়ে বল ওপরে তুলে রাদারফোর্ডের সহজ ক্যাচে পরিণত হন জুনিয়র তামিম। এক বল বিরতি দিয়েই ফেরেন লিটন কুমার দাস। অনেকটা বাইরের বলে কাট করতে চেয়েছিলেন লিটন। প্রথম ওভারেই সৌম্যর ক্যাচ ফেলে দিলেও এদফায় ব্রেন্ডন কিং ঠিকই বল লুফে নেন। এরপরেই আসে মিরাজ ও সৌম্যের অসাধারণ এক জুটি। দুজনেই যেখানে পেয়েছেন ফিফটি। দলকে টেনেছেন অনেকটা সময় পর্যন্ত। সম্প্রতি মিরাজের ব্যাটে রান এলেও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ধীরগতির ইনিংসের কারণে। আজ অবশ্য সেই দায় থেকে মুক্ত থাকছেন তিনি। শুরু থেকেই কিছুটা আগ্রাসী ছিলেন। ব্যাটে-বলে তাল মিলিয়ে খেলতে চেয়েছেন। সৌম্য সরকারই বরং খানিক ধীরে চলো নীতিতে এগিয়েছেন। দুজনের মাঝে ফিফটির ল্যান্ডমার্কে পার্থক্য ছিল ১ বলের। মিরাজ ফিফটি পেয়েছেন ১৯.৪ ওভারে। আর সেই ওভারের শেষ বলে অর্ধশতক পূরণ হয় সৌম্য সরকারের। দুজনের জুটি থামে ১৪৫ রানে। এরপরেই মিডলঅর্ডারের এমন বিপর্যয়ে ক্রিজে বাংলাদেশের জন্য এসেছে কঠিন সময়। দুজনের জুটি যোগ করেছেন ১৩৬ রান। এরপরেই ধস দেখেছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। ২৬ রানের মাথায় পতন ঘটে ৩ উইকেটের। প্রথম ধাক্কা আসে সৌম্য সরকারের বিদায়ে। ৫০ করার পরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছিলেন এই। জেডিয়াহ ব্লেডসকে তিন চারের পর গুড়াকেশ মোতিকে মেরেছেন ছক্কা। কিন্তু ওটুক পর্যন্তই যেতে পেরেছেন তিনি। পরের বলেই এলবিডব্লু হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। ৭৩ বলে ৭৩ করে ফেরেন তিনি। এরপরেই দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়েছেন মিরাজ। রাদারফোর্ডের থ্রোতে ফিরতে হয়েছে ৭৭ রান করে। পরের ওভারে বল হাতে উইকেট নিলেন শেরফান রাদারফোর্ড। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বলটা লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে মিড–উইকেটে ধরা পড়েন ২৯ বলে ১৫ রান করা আফিফ। কিন্তু এরপরেই ক্রিজে আসেন ছন্দে থাকা জাকের আলী অনিক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রিয় মাঠ সেন্ট কিটস। সেই মাঠেই খেললেন আরও একটা মনে রাখার মতো ইনিংস। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল। তবে সেসব ছাপিয়ে স্কোরবোর্ডে তার অবদানটাই বড় হয়ে থাকবে যথারীতি। ৬৩ বলে করেছেন ৮৪ রান। ৭ চারের সঙ্গে আছে ৪ ছক্কা। ক্রিজ যখন ছাড়ছেন তখন এই সিরিজে তার গড় ১৯৬! অভিজ্ঞ রিয়াদকে যোগ্য সঙ্গটাই দিয়ে গেছেন নতুন মুখ জাকের আলী অনিক। ৫৭ বলে ৬২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। অভিষেকের পর থেকে মুগ্ধতা ছড়ানো জাকের এদিনও খেলেছেন মনে রাখার মতো ইনিংস। রিয়াদের সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ জুটি করেছেন। আর তাতেই বছরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ থেমেছে ৩২১ রান করে।

এমবাপেকে নিয়ে রিয়ালের দুঃসংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের মৌসুমে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলের বিপক্ষে হারের পর আতালান্তার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। এই ম্যাচ দিয়েই আবার ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টে জয়ে ফিরেছে রিয়াল। আর স্প্যানিশ জায়ান্টদের জয়ে ফেরানোর পথে প্রথম গোলটি করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। যদিও পুরো ম্যাচে মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। চোট নিয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়েন। বাম পায়ের উরুতে চোট ধরা পড়েছে ফরাসি তারকার। ফলে নিশ্চিতভাবেই মিস করতে যাচ্ছেন রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচ। আজ রিয়ালের পক্ষ থেকে ফরাসি তারকার চোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কতদিনের জন্য মাঠের বাহিরে যাচ্ছেন এ বিষয়ে উল্লেখ করেনি রিয়াল। এদিকে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ১০ দিনের জন্য মাঠে বাহিরে যাচ্ছনে এমবাপে। ফলে লা লিগায় ভায়েকানোর বিপক্ষে ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে না, একই সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বরের ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপার লড়াইয়ে তাকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা। এদিকে আতালান্তার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০ গোল করা ফুটবলারদের এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এ প্রতিযোগীতার নবম ফুটবলার হিসেবে গড়েছেন এমন রেকর্ড। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০ গোল করা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। ২৫ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে এ প্রতিযোগীতায় ৫০ গোল করেছেন তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে ফিফটি করেছেন কেবল লিওনেল মেসি, ফুটবল জাদুকরের বয়স ছিল ২৪ বছর ২৮৪ দিন বয়সে। এদিকে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ৫০ গোল করার রেকর্ড গড়ার পথে এমবাপে টপকে গেছেন নিজের আদর্শ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। এ রেকর্ডটা যে ছিলো সিআরসেভেনরই। পর্তুগীজ মহাতারকা ৫০ তম গোল করেছিলেন ২৮ বছর ২ মাস ৭ দিন বয়সে।

শুক্রবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে দুই দিনের অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট

স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ২০টির বেশি দেশের দূতাবাস, হাইকমিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের পঞ্চম অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট ২০২৪। টুর্নামেন্টের আয়োজক গেম প্লে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি) মাঠে শুক্রবার সকাল দশটায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে টুর্নামেন্টের সমাপণী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল। শুক্রবার সকালে অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডিন, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফসহ অন্যান্য দূতাবাস, হাইকমিশন ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার নিজ দলের হয়ে টুর্নামেন্টে অংশও নেবেন। যেমন কানাডিয়ান হাইকমিশন ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করবেন হাইকমিশনার অজিত সিং স্বয়ং। হসপিটালিটি পার্টনার দ্য ওয়েস্টিনে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গেম প্লে। সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্টের ট্রফি উম্মোচন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আঞ্চলিক সংস্থা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. রইস হাসান সরোয়ার, গেম প্লের চেয়ারম্যান ফয়সাল তিতুমীর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুম-উল-হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে মো. রইস হাসান সরোয়ার বলেন, ‘অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট দূতাবাসগুলোর মধ্যে বন্ধুন্ত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো বাড়াবে। আন্ত:দূতাবাস বন্ধুত্ব ও যোগাযোগ আরো নিবিড় করব।’ ফয়সাল তিতুমীর বলেন, ‘বিগত চার বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের পঞ্চম এই আয়োজন আপনাদের সবার অংশগ্রহণে স্বার্থক হয়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকার বুকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশের অংশগ্রহণে এই অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট বাংলাদেশের সাথে বিশ্ববাসীর সম্প্রীতি ও সৌহার্দের প্রমাণ দেবে। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চাই বাংলাদেশ এখন আগের চাইতেও বহু বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং বিশ্বের সব দেশের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। ২০১৮ সাল থেকে এই অ্যাম্বাসি ফেস্ট আয়োজন করে আসছে গেম প্লে। এর অংশ হিসেবে এর আগে চারটি ফুটবল টুর্নামেন্ট ছাড়াও একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টও আয়োজন করে গেম প্লে। ২০২৩ সালে সবশেষ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন। রানার আপ হয়েছিল মার্কিন দূতাবাস। এবারের পঞ্চম আয়োজনের অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মার্কিন দূতাবাস, ব্রিটিশ হাইকমিশন, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন, কানাডিয়ান হাইকমিশন, সৌদি দূতাবাস, পাকিস্তান হাইকমিশন, ভারতীয় হাইকমিশন, রুশ দূতাবাস, জাতিসংঘ, নরডিক (ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেনের যৌথ দল), ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস, মালয়েশিয়া হাইকমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব ব্যাংক, ফিলিস্তিন দূতাবাস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, তুর্কি দূতাবাস ও ইতালিয়ান দূতাবাস। আইএসডি মাঠে শুক্রবার ও শনিবার প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনে কুড়িটি দল মোট ৪৮টি ম্যাচে অংশ নেবে। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বের থাকবে ৪০টি ম্যাচ। এছাড়া, কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি, সেমিফাইনালের দুটি এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ও ফাইনাল ম্যাচ থাকবে। শনিবার বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট ২০২৪-’এর টাইটেল স্পন্সর সাউদিয়া এয়ারলাইন্স। কো-স্পন্সর ব্রাদার্স ফার্নিচার্স ও কনকর্ড। হসপিটালিটি পার্টনার দ্য ওয়েস্টিন ও শেরাটন। আইসক্রিম পার্টনার পোলার। হেলথকেয়ার পার্টনার ইউনাইটেড হেলথকেয়ার, ভেন্যু পার্টনার আইএসডি, হাইজিন পার্টনার পারটেক্স, বেভারেজ পার্টনার ব্রুভানা, মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস পার্টনার নির্ভানা ও হাইড্রেশন পার্টনার ড. ওয়াটার। পুরো আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার যমুনা টেলিভিশন।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা বিসিবির

আসন্ন নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ১৫-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ক্লাংয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। মালয়েশিয়ার বায়ুইমাস ওভালে ছয় দলের এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ছয় দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। গ্রুপ ‘এ’-তে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে স্বাগতিক মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল। কাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী দল। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তারপরের দিনেই স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে সুমাইয়া আক্তারের দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড: সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আশিমা ইরা (সহ-অধিনায়ক), ইভা, ফাহোমিদা ছোয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইসমীন, আনিসা আক্তার সোবা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, আরভিন তানি, জান্নাতুল ইসলাম। মাওয়া, সাদিয়া আক্তার, মাহারুন নেসা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার টানা পাঁচ জয়

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের লড়াই চললো দারুণ। বার্সেলোনা শুরুতে এগিয়ে গেলেও ফেরার আশা জাগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু সেটি ধরে রাখতে পারেনি শেষ পর্যন্ত। বদলি নামা ফেরান তরেসের জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত করে বার্সেলোনা। গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় বার্সেলোনা। বিরতির পর তাদের রাফিনিয়া এগিয়ে নেওয়ার পর ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান সেরহু গুরাসি। বদলি নেমে বার্সাকে ফের এগিয়ে নেন তরেস। গুরাসির গোলে ফের সমতায় ফেরে বরুশিয়া। কিন্তু শেষে পেরেকটি ঠুকে দিয়ে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন তরেস। সিগনাল ইদুনা পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মহড়া চলতে দেখা যায়। কিন্তু গোল পেতে দুই দলকেই অপেক্ষা করতে হয়েছেল দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। ৫২তম মিনিটে বার্সাকে লিড এনে দেন রাফিনিয়া। দানি ওলমোর থ্রু পাস থেকে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে ১৭ গোল করলেন তিনি। ছয় মিনিট পর ডর্টমুন্ডকে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরান গুরাসি। তাকেই নিজেদের বক্সে ফাউল করেন পাউ কুবার্সি। ৭৫তম মিনিট বদলি নামা তরেস ফের বার্সাকে এগিয়ে নেন। কুন্দের কাট-ব্যাক থেকে ফের্মিনের ভলি ঠেকিয়ে দেয় বরুশিয়া গোলরক্ষক। ফিরতি বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর আবারও সমতা ফেরান ডর্টমুন্ডের গুরাসি। বার্সেলোনার ভুলে আক্রমণে গিয়ে সতীর্থের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। ৮৫তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন তরেস। ইয়ামালের দারুণ পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে বার্সেলোনা। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ডর্টমুন্ডের অবস্থান নয় নম্বরে।

২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে ৬ দেশে, পরের বার সৌদি আরবে

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ২০৩০ আসর অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ৬টি দেশে, আর ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজিত হবে সৌদি আরবের মাধ্যমে। সম্প্রতি ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এই ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ফিফার ভার্চুয়াল কংগ্রেসে বিশেষ এক সভার মাধ্যমে ২০৩০ এবং ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ঘোষণা করা হয়। ফিফা কংগ্রেসে ২১১টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের ভোটে চূড়ান্ত হয় দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক। ২০৩০ বিশ্বকাপএই বিশ্বকাপে মূল আয়োজক হিসেবে স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো থাকবে। তবে, ২০৩০ বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়ে একসাথে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজন করবে। এটি হবে ঐতিহাসিক, কারণ ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল উরুগুয়ে। ফিফা কংগ্রেসে দুইটি ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রথম ভোটে শতবর্ষ উদ্‌যাপনকারী আয়োজক হিসেবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়ের নাম চূড়ান্ত হয়। তারা প্রথমে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চেয়েছিল, তবে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। দ্বিতীয় ভোটে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো এবং ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবকে নির্বাচিত করা হয়। ২০৩৪ বিশ্বকাপ সৌদি আরবে২০৩৪ বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দলের প্রথম বিশ্বকাপ, যা এককভাবে সৌদি আরব আয়োজিত করবে। এটি বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপ হবে যা একক দেশে অনুষ্ঠিত হবে, কারণ ২০৩০ এবং ২০২৬ আসর দুটি দেশ যৌথভাবে আয়োজন করবে। এছাড়া, সৌদি আরব হবে এশিয়ার চতুর্থ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ যারা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। এর আগে, ২০২২ বিশ্বকাপ কাতার আয়োজন করেছিল এবং ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। বিশ্বকাপ আয়োজক নির্বাচনে বিতর্ক২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণা হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশগুলোর। এর ফলে, নরওয়ে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ নির্বাচনের ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। তারা সৌদি আরবকে আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত করার পদ্ধতির প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া, সুইজারল্যান্ড ফিফা কংগ্রেসে আগেই তাদের আপত্তি জানিয়ে রেখেছিল, তবে তারা ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করে। এবারের সিদ্ধান্তে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ সৌদি আরবের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে এর সঙ্গে কিছু বিতর্কও রয়েছে যা বিশ্ব ফুটবল কমিউনিটিতে আলোচিত হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি

মিলার-লিন্ডের ঝড়ে পাকিস্তানকে হারাল প্রোটিয়ারা

দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে ঝলক দেখান ডেভিড মিলার ও জর্জ লিন্ডে। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা করে ১৮৩ রান। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভালো জবাব দিচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু লিন্ডে ১৮তম ওভারে চার বলের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১১ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ ওভারেই এই দুর্যোগে পড়ে তারা। অধিনায়ক আইনরিখ ক্লাসেনকে (১২) নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়ে এই ধাক্কা সামলে নেন মিলার। তারপর ডোনোভান ফেরেইরাকে অন্যপ্রান্তে রেখে ৩৩ রান যোগ করেন তিনি। ৪০ বলে ৪ চার ও ৮ ছয়ে ৮২ রান করে আউট হন মিলার। শেষ দিকে লিন্ডে ২৪ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৪৮ রান করে স্কোরবোর্ডে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করান। ৯ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও আবরার আহমেদ তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি পান আব্বাস আফ্রিদি। লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় ওভারেই বাবর আজম ডাক মারলে সাইম আইয়ুবকে (৩১) নিয়ে রিজওয়ান প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ৪০ রানের জুটি ভাঙার পর একাই লড়াই করে গেছেন রিজওয়ান। পাকিস্তানি অধিনায়কের ব্যাটে ১৭ ওভার শেষে জয়ের পাল্লা তাদের দিকে ভারী ছিল। শেষ তিন ওভারে ছয় উইকেট হাতে রেখে লাগতো ৩৬ রান। কিন্তু লিন্ডে এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। ওই ধাক্কা সামাল দিতে ১৯তম ওভারে তিন চার মারেন রিজওয়ান, আসে ১২ রান। যদিও শেষ ওভারে ১৯ রান তোলা একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে তার বিদায়ে। মাফাকার বলে ৭৪ রানে থামেন রিজওয়ান। ৬২ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচ চার ও তিন ছয়। ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে থামে পাকিস্তান। লিন্ডে ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখানোর পর বল হাতে ২১ রান খরচায় চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: বায়ার্নের গোল উৎসব, পিএসজির দাপট

শাখতার দোনেৎস্ক মনে হয় প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি কোন দলের মোকাবেলা করতে এসেছে। না হয় ভিমরুলের চাকে নিশ্চয়ই আগে ঢিল ছুড়তো না তারা। কিন্তু যা করার তা তো করেই ফেলেছে। যার জন্য কঠিন শাস্তিও পেতে হয়েছে দোনেৎস্ককে। বায়ার্ন মিউনিখের জালে এক গোল দিয়ে এরপর হজম করতে হয়েছে ৫ গোল। অর্থাৎ দোনেৎস্ককে ৫-১ গোলে হারিয়েছে উৎসবে মেতেছে বায়ার্ন। মঙ্গলবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় ঘরের মাঠে ৫ মিনিটে গোল করে দোনেৎস্ক। স্বাগতিক দলটির হয়ে গোল করেন কেভিন। এতে ১-০ তে পিছিয়ে পড়ে সফরকারী বায়ার্ন। ৬ মিনিট পরই কানরাড লাইমারের গোলে ১-১ সমতায় ফেরে। সমতায় প্রথমার্ধ শেষ করা বোধহয় বায়ার্নের নামে সঙ্গে মানানসই নয়। সে কারণেই প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে (৪৫ মিনিটে) আরও একটি গোল করে ব্যবধান ২-১ করে নেয় বায়ার্ন। গোল করেন টমাস মুলার। দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন মাইকেল অলিসি। প্রথমটি ৭০ মিনিটে পেনাল্টিতে; দ্বিতীয়টি ৯৩ মিনিটে। তার আগে ৮৭ মিনিটে আরও একটি গোল করেন বায়ার্ন মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। এতে ৫-১ গোলে জয় পায় জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। টানা তিন জয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে গেছে বায়ার্ন। ৬ ম্যাচে ভিনসেন্ট কোম্পানির দলের পয়েন্ট ১২। প্রথম রাউন্ডের সেরা ৮ দল সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলবে। যে কারণে বাকি দুই ম্যাচ শেষেও যদি এই স্থান ধরে রাখতে পারে বায়ার্ন, সেক্ষেত্রে তাদেরকে প্লে-অফ খেলার ঝুঁকি নিতে হবে না। সাল্জবুর্গ ০-৩ পিএসজিরাতের অন্য এক ম্যাচে অস্ট্রিয়ার ক্লাব সাল্জবুর্গকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফ্রান্সের ক্লাবটির হয়ে গোল করেন গঞ্জেলো রামোস ৩০ মিনিটে, নুনো মেন্ডিস ৭২ মিনিটে ও দেশায়ার দুয়ে ৮৫ মিনিটে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরু ভালো হয়নি পিএসজির। বুধবারের জয়ে প্লে-অফের সর্বশেষ জায়গা পেয়েছে লুইস এনরিকের দল। ৩৬ দলের প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখতে অন্তত ২৪তম স্থানে থাকতে হবে পিএসজিকে। বর্তমানে ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ২৪তম স্থানে আছে তারা।

ফুটবলকে বিদায় বললেন পর্তুগিজ তারকা

পেশাদার ক্যারিয়ারে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, তাতে স্পষ্ট ছিল নানির অবসরের সময় ঘনিয়ে আসছে। ৩৮ বছর বয়সে সাবেক পর্তুগাল উইঙ্গার বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন গত রোববার। অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নানি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বিদায় বলার সময় এসেছে, আমি একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসাবে আমার ক্যারিয়ার শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর আগে ২০০৭ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ইউনাইটেডে যোগ দেন নানি। প্রথম বছরেই জেতেন চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগ। ওল্ড ট্র‍্যাফোর্ডে কাটানো আট মৌসুমে চারটি প্রিমিয়ার লিগ ও দুটি লিগ কাপ জেতেন তিনি। এদিকে চলতি মৌসুমে নিজ শহরের ক্লাব এস্ত্রেলা আমাদোরার হয়ে পর্তুগালের শীর্ষ লিগে খেলছিলেন নানি। গত মাসে স্পোর্তিংয়ের বিপক্ষে সবশেষ মাঠে নামেন তিনি। নানি তার দীর্ঘ ক‍্যারিয়ারে ভালেন্সিয়া, লাৎসিও, অরল‍্যান্ডো সিটি, ভেনেৎসিয়া, মেলবোর্ন ভিক্টরি ও আতানা দেমিরস্পোরের হয়ে খেলেছেন। পর্তুগিজ এই তারকার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন ধরা দেয় ২০১৬ সালে, জাতীয় দলের হয়ে। সেবার পর্তুগালের প্রথমবারের মত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ১১২ ম্যাচে তার নামের পাশে রয়েছে ২৪টি গোল।

ফিফপ্রোর বর্ষসেরা বিশ্ব একাদশে নেই মেসি-রোনালদো

৬ হাজার ১৮৫ দিনের রাজত্ব হারাতে হলো। শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বরে, পেশাদার ফুটবলারদের ভোটে প্রথমবার ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তারই অবসান হলো ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর। ৭০ দেশের খেলোয়াড়দের ভোটে নির্বাচিত বর্ষসেরা দলে নেই আর্জেন্টিনার মহাতারকা। গত ১৭টি ফিফপ্রো একাদশে প্রত্যেকবার ছিল মেসির নাম, যা রেকর্ড। তার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বার এই দলে জায়গা পান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০০৬ সালের পর প্রথমবার তাদের দুজনের কেউই নেই এই ১১ জনের তালিকায়। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের ছয় জন এবং ম্যানচেস্টার সিটির চার জন ফিফপ্রো একাদশে নাম লিখেছেন। সর্বোচ্চ ১১ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়েছেন মাদ্রিদ ক্লাবের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। আক্রমণভাগে আছেন আর্লিং হাল্যান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বর্ষসেরা পুরুষ দলে রিয়াল ও সিটির বাইরে কেবল লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক আছেন। ২০২৪ ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশ গোলরক্ষক-এডেরসন (ম্যানচেস্টার সিটি, ব্রাজিল) ডিফেন্ডার-দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস), আন্টোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ, জার্মানি) মিডফিল্ডার- জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম) টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ, জার্মানি), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি, স্পেন)ফরোয়ার্ড- আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি, নরওয়ে), কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি/রিয়াল, ফ্রান্স), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল)

যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের ৫০ লাখ পুরস্কারের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। শিরোপার স্বাদ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এবার চ্যাম্পিয়নদের সুখবর দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আজিজুল হাকিম তামিমদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।এক দিন আগে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে জয়টা অবশ্য সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংস বিরতির সময় ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের সামনে লক্ষ্যটাকে মামুলি মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশি পেসারদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে সেই লক্ষ্যটাই ভারতের সামনে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়াল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নদের ৩৫ ওভার এক বলে ১৩৯ রানে অলআউট করে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।ঐতিহাসিক জয়ের কিছুক্ষণ পরই যুবাদের নিজের অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। এবার তিনি আর্থিক পুরস্কার দেয়ার ঘোষণাও দিলেন।জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিবের সাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ পুরুষ এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় বার শিরোপা জয়ের গৌরবময় সাফল্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তথা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ হতে উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনূর্ধ্ব-১৯ পুরুষ ক্রিকেট দলকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জেতে যুবারা। ওই আসরে অবশ্য সেমিফাইনালেই ভারতের সঙ্গে দেখা হয়েছিল লাল সবুজদের। সেমিফাইনাল বাংলাদেশ জিতে নিয়েছিল চার উইকেটের ব্যবধানে।