
মাই জিপি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ও লোটোর অফার
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের (লোটো) সাথে যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবনী কাস্টমার রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম চালু করেছে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। এই প্রথম বারের মতো ডিজিটাল সুবিধার পাশাপাশি কেনাকাটায় এমন অফার চালু করেছে অপারেটরটি। এর আওতায় মাই জিপি অ্যাপের মাধ্যমে ডাটা ও কম্বো প্যাক কিনে বিশেষ সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে ২০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের ডাটা প্যাক বা কম্বো বান্ডেল কিনলে ৫০০ টাকার একটি লোটো ভাউচার পাবেন গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা। যেকোন লোটো ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটে আড়াই হাজার বা তার বেশি টাকার কেনাকাটা করলে এই ভাউচার দিয়ে ৫০০ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য মাইজিপি অ্যাপের নোটিফিকেশন আইকনে সংরক্ষিত থাকবে রিওয়ার্ডটি। মাইজিপি ব্যবহারকারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি কোনাকাটায় অনন্য অফার দিচ্ছে এই পার্টনারশিপ; যা ডিজিটাল সেবা ও লাইফস্টাইল অফারের এক অপূর্ব সমন্বয়। গ্রামীণফোনের গ্রাহককেন্দ্রিকতা ও প্রয়োজনীয় রিওয়ার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনধারাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই পার্টনারশিপ। এছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লোটোতে কেনাটাকার সমন্বয়- গ্রামীণফোন তার গ্রাহকদের কতটা মূল্যায়ন করে এরও প্রতিফলন। গ্রাহকরা এই আকর্ষণীয় অফারের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন এবং উপভোগ করতে পারেন গ্রামীণফোনের অনন্য সুবিধা। এই পদক্ষেপ টেলিযোগাযোগ খাত, খুচরা কেনাকাটা ও ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনের শক্তিকে তুলে ধরার পাশাপাশি বাড়িয়ে তুলেছে গ্রাহক সন্তুষ্টি। অফারটি সম্পর্কে আরো জানতে মাইজিপি অ্যাপ অথবা নিকটস্থ লোটো ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট ভিজিট করতে পারেন গ্রাহকরা।

বিএসসিসিএলের ইন্টারনেটের মূল্য কমছে দশ শতাংশ
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) সব ধরনের ইন্টারনেটের মূল্য কমছে দশ শতাংশ। শনিবার (২২ মার্চ) কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে।প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় তার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্য কমানো তার মধ্যে অন্যতম।এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের জন্য দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে। এছাড়া, ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডাব্লিউডিএম সুবিধা দেয়ার কথা হচ্ছে। যার ফলে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে।প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ইতোমধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।’তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ আরও জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝি তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬’-এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্টারলিংক
স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দিচ্ছে। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। এই সফরে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সহযোগিতার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ভূমি বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের মতো কার্যক্রম পরিচালনায় এসব সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে। স্টারলিংক টিম এই কাজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব সম্পত্তি এবং কিছুক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে স্টারলিংক। প্রকল্পের স্থান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের শহরে কিংবা প্রান্তিক অঞ্চলে, উত্তর অঞ্চল কিংবা উপকূলে লোডশেডিং কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলামুক্ত রিলায়েবল এবং হাইস্পিড ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা দেবে। সেই সঙ্গে এটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা এবং উচ্চমান কোয়ালিটি সার্ভিসের নিশ্চয়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে, তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং ডিজিটাল ইকোনমিক ইনিশিয়েটিভগুলোকে বেগবান করবে। আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি বোধগম্য মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। সেই সঙ্গে তিনি ইলন মাস্ককে জানান, এই সফরে মাস্ক বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন, যারা এই প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নিজের হাই-রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্কের মধ্যে দীর্ঘ টেলিফোন আলাপ হয়। যেখানে তারা ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে স্টারলিংক সেবা বাংলাদেশে চালুর অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

গ্রামীণফোনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে নারী দিবসে সাবেক নারী কর্মীদের মানববন্ধন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নারী কর্মীরা। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে ঢাকার বসুন্ধরার গ্রামীণফোন হেড অফিসের সামনে ‘গ্রামীণফোনের নারী কর্মীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হওয়া নৃশংস পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের ন্যায্য ৫ শতাংশ পেনাল্টি বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধ করার দাবি জানান। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে গ্রামীণফোন তাদের পাওনা আটকে রেখেছে, যা সাবেক কর্মীদের চরম আর্থিক সংকটে ফেলেছে। বক্তারা বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারির হামলায় আমাদের নারী সহকর্মীরাও রেহাই পাননি। বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ১১ জন সহকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন নারী ছিলেন। এটি শুধু আমাদের নয়, দেশের সব শ্রমজীবী নারীর প্রতি চরম অন্যায়।’ মানববন্ধনে সাবেক নারী কর্মীরা অংশ নেন এবং তারা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানান। এই কর্মসূচি শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের বর্বরতা ও অন্যায়ের প্রতিবাদ ছিল না, বরং এটি দেশের কর্মজীবী নারীদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

‘অপো এ৫ প্রো’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মেহেদী মিরাজ
বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো, ব্র্যান্ডটির নতুন ডিভাইস ‘অপো এ৫ প্রো’ এর প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা ও অল-রাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করেছে। এই তারকাকে সঙ্গে নিয়ে অপো ব্র্যান্ডটির প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যতিক্রমী ও বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত, যে কি না অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ‘অপো এ৫ প্রো’ও গ্রাহকদের অল-রাউন্ড স্থায়িত্ব ও অল-রাউন্ড এআই ক্যাপাবিলিটি দিবে; অর্থ্যাৎ জীবনের বহুমুখী ক্ষেত্রে যারা অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স চান- এই ডিভাইসটি তাদের জন্য সর্বোত্তম সঙ্গী।নিজের ব্যক্তিগত স্মার্টফোনের কাছ থেকে যারা সব সময়ই বাড়তি পারফরম্যান্স আশা করেন- ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসটি ঠিক তাদের জন্যই। মিরাজ যেভাবে খেলার মাঠের সর্বত্র অবদান রাখেন, তেমনি ‘অপো এ৫ প্রো’ স্টাইলিশ ডিজাইন ও সর্বত্রই পারফরম্যান্সের স্থায়িত্বের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মন জয় করে নিতে সক্ষম। এই স্মার্টফোনের ওয়াটারপ্রুফিং ফিচার, শক্ত গড়ন, আস্থাযোগ্য পারফরম্যান্স সবমিলিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ দৈনন্দিন সব পরিবেশের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এছাড়া মোবাইলটির এআই-সক্ষমতার ক্যামেরা ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আশেপাশের সবকিছুর সঙ্গে খাপখাইয়ে নেয় এবং নিশ্চিত করে যে- প্রতিটি শটই হোক নিখুঁত। এই ফোন এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে এটি দ্রুতগতির লাইফস্টাইলের সঙ্গে সহজেই খাপ-খাইয়ে নিতে পারে। মেহেদী হাসান মিরাজ এই পার্টনারশিপ নিয়ে নিজের আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো ও তাদের অসাধারণ ডিভাইস ‘এ৫ প্রো’-এর প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। আমি মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে যেখানেই থাকি না কেন- আমারপারফরম্যান্স এবং মনোবলের সঙ্গে এই ফোনের ভাবনাটা পুরোপুরি মিলে যায়। ক্রিকেটে যেমন পারফরম্যান্সের বৈচিত্র্যতা-ই মুখ্য, তেমনি ‘এ৫ প্রো’-এর অল-রাউন্ড এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্থায়িত্ব এটিকে নানা প্রয়োজনে ব্যবহার উপযোগী করে আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।” অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘‘অপো এ৫ প্রো’-এর প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত। অল-রাউন্ডার হিসেবে তার প্রচেষ্টা ও মনোবল, ঠিক যেন ‘অপো এ৫ প্রো’-এর-ই স্থায়িত্ব, এআই সক্ষমতাসহ অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সের-ই প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, ‘অপো এ৫ প্রো’ পারফরম্যান্স এবং স্টাইলের মিশেলে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে মার্কেটে জায়গা করে নেবে।” মেহেদী মিরাজের সঙ্গে অপোর এই যৌথ পথচলা- প্রতিকূল পরিবেশেও ভালো পারফর্ম করার প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে এবং বাধা-বিঘ্নতা পেরিয়েও অন্যদের পথ চলতে উৎসাহিত করে। ‘অপো এ৫ প্রো’ গতিশীল ও আধুনিক লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানানসই- যা কি না মননশীল ও কর্মক্ষেত্রের কাজে ভালো করতে অন্যদের উৎসাহিত করে।

ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সর সাথে চুক্তি গ্রামীণফোনের
দেশজুড়ে টিভি দর্শকদের বিনোদন অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের সাথে একটি কৌশলগত চুক্তি সই করেছে দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে সম্প্রতি এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মাইলফলক এই পদক্ষেপটি উদযাপন করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধতন কর্মর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তির আওতায়, উপহার হিসেবে গ্রামীণফোনের এক্সক্লুসিভ জিপি প্লে প্যাক পাবেন হাইসেন্স টিভির ক্রেতারা। এর ফলে দর্শকরা বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সেবা উপভোগ করতে পারবেন যা তাদের বিনোদন অভিজ্ঞতায় যোগ করবে নতুন মাত্রা। জিপি প্লে প্যাকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এ সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। বিভিন্ন ধরনের টিভির জন্য বিবিধ কনটেন্ট নিয়ে এসেছে জিপি প্লে প্যাক। এই প্যাকের মাধ্যমে হাইসেন্সের এফএইচডি, ইউএইচডি ও কিউএলইডি টিভিতে অ্যাক্টিভেশনের পর থেকে বিনামূল্যে ১২ মাস পর্যন্ত হইচই, চরকি, টি-স্পোর্টস ও সনি লাইভ উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা; যা দেবে নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী মানসম্মত কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ। গ্রামীণফোন ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স উভয় কোম্পানির লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল সেবা দেওয়া; সহযোগিতামূলক এই পদক্ষেপ এরই প্রতিফলন। এর ফলে মানসম্মত টেলিভিশনের সাথে প্রিমিয়াম স্ট্রিমিং সেবা যুক্ত হওয়ায় দর্শকদের হাতের মুঠোয় এলো সেরা মানের সব বিনোদন কন্টেন্ট। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আসিফ নাইমুর রশীদ। তিনি বিনোদন খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এই পার্টনারশিপ কীভাবে গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ মেসবাহউদ্দিন এই পদক্ষেপ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রিমিয়াম কনটেন্টের সমন্বয়ে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি প্রদান করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পার্টনারশিপ এরই প্রতিফলন, এটি হাইসেন্স টিভিতে সেরা বিনোদন নিশ্চিত করবে।’ অনুষ্ঠানের শেষভাগে উভয় কোম্পানি বাংলাদেশের ডিজিটাল বিনোদন খাতের অগ্রগতিতে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এখন থেকে নির্দিষ্ট মডেলের হাইসেন্স টিভি কিনলেই গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন জিপি প্লে প্যাক যা বাজারের সেরা অফারগুলোর একটি। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর এম. শাওন আজাদ, হেড অব প্রোডাক্ট (পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস) অরভিদ চৌধুরী, মো. মাহবুবুল আলম ভূইয়া, হেড অফ ইন্টারনেট এন্ড ব্রডব্যান্ড জাহিদুজ্জামান, হেড অফ ডিজিটাল প্লাটফর্ম (জেনারেল ম্যানেজার) একেএম হাবিবুল্লাহ, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানা, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের হেড অব মার্কেটিং জেএম তসলিম কবীর, হেড অব প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট মো. মুশফিকুর রহমান ও প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো. শাহিদুজ্জামান। তাদের সম্মিলিত উপস্থিতিতে এই পার্টনারশিপের গুরুত্ব প্রতীয়মান হয়েছে, তারা সবাই ডিজিটাল বিনোদনের প্রসারে সংকল্পবদ্ধ।

সাত দিন বিঘ্নিত হতে পারে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের সেবা
সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ মার্চ-১৩ মার্চ পর্যন্ত সাত দিনের প্রতিদিন কিছু সময় ধরে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১’-এর সম্প্রচার কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সাত দিনে মোট ৭৭ মিনিটের মতো সম্প্রচার বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) জনসংযোগ মুখপাত্র ওমর হায়দারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সব স্যাটেলাইটের জন্য সৌর ব্যতিচার একটি সাধারণ মহাকাশীয় ঘটনা, যা বছরে দুবার ঘটে থাকে। সৌর ব্যতিচারের কারণে স্যাটেলাইট নির্ভর সম্প্রচার কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে থাকে। এ কারণে আগামী ৭ মার্চ সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট থেকে ১০টা ১মিনিট পর্যন্ত মোট ৮ মিনিট, ৮ মার্চ সকাল ৯টা ৫২ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১০ মিনিট সম্প্রচার বিঘ্ন হতে পারে।’ এছাড়া ৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০ টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট, ১০ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট, ১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট, ১২ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট এবং ১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত মোট ৯ মিনিট বিঘ্ন ঘটতে পারে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ব্যতিচার সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১’-এর মাধ্যমে বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
‘নতুন প্রো’র খোঁজে ইন্টারনেট তারকারা
সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশের শীর্ষ কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সারের ভিডিও পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। যা নিয়ে তাদের ফলোয়ারদের মাঝেও চলছে নানা গুঞ্জন। আর তা হল ‘কে এই নতুন প্রো’? এই পোস্টকে আরো রহস্যময় করতে সাথে ব্যবহার করা হয়েছে #প্রোচ্যালেঞ্জ ও #নিউপ্রো ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্যান ফলোয়ারের ভিত্তিতে তারকা খ্যাতি পাওয়া নুসরাত জাহান অন্তরা, রাকিব হোসেন, রাফসান দ্য ছোটোভাই, স্যামজোন, এসপি ক্রিয়েশনসহ বেশ কয়েকজনের পোস্টকে নিয়ে আলোচনা চলছে তাদের ফলোয়ারদের মাঝে। আসলে ‘নতুন প্রো’ নিয়ে এই হাইপটা শুরু হয়- মালয়েশিয়া থেকে রাফসান দ্য ছোটোভাই এর একটা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে, যেখানে অদ্ভুত কেউ একজন রাফসানকে একটি ইলেকট্রিক কার্ডে বার্তা দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানায়- রাফসান এখনো প্রো হতে পারেনি। রাফসান পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়- তাহলে নতুন প্রো কে? এরপর হতেই ‘নতুন প্রো’ টপিকটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কথা হচ্ছে। এদিকে নুসরাত জাহান অন্তরাও ‘প্রো’ টপিক নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তার মেকাপ রুমের বাইরে অজ্ঞাত একটি পার্সেল পাওয়া যায়। যার ভেতরে একটি কার্ডে কিছু লেখায় নুসরাতের ‘প্রো’ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জনপ্রিয় টেক ভ্লগার স্যামজোনকেও তার অফিসে একই ধরনের চ্যালেঞ্জ পাঠানো হয়। তারও এখন প্রশ্ন- তাহলে নতুন প্রো টা কে? আরেক আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এসপি ক্রিয়েশন একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এসপি ক্রিয়েশন’কে একটি রহস্যময় চিঠি দেওয়া হয়। কেউ একজন তাদের ঘরের বাইরে এই চিঠি রেখে যায়। এরপর কিছু কাগজের মাধ্যমে এসপি ক্রিয়েশন যে ‘প্রো’ নয় সেটি বলা হয় এবং দেওয়া হয় চ্যালেঞ্জ। আরেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাকিব হোসেনকেও একই ধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা যখন ঘটছে তখন ‘প্রো’ টপিক নিয়ে অপো বাংলাদেশ তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে - ‘আপনিও কি প্রো?’ সেখানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় উপহার জেতার সুযোগ। তাই বলা চলে- বিস্তারিত কোনো কিছু জানা না গেলেও, ভিন্ন কিছু ঘটছে এই ‘প্রো’ থিমটাকে ঘিরে। এটা কী টেক দুনিয়ার নতুন কোনো অভিনব উদ্ভাবন? নাকি অন্য কিছু? অথবা এমনও তো হতে পারে অপো এ প্রো সিরিজ এর কোনো নতুন ফোন আসছে? সময় যতো গড়াবে ততই পরিষ্কার হবে এসব ইঙ্গিত।

বুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট শুরু
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট কর্মসূচির আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এই ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টে অংশ নেয়। শুরুতে এমসিকিউ পরীক্ষার পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়েতে চাকরির সুযোগ পাবেন। হুয়াওয়ে ও বুয়েটের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ের এইচআর ডিরেক্টর লিনজিয়াও, সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার কৌশিক আহমেদ রেজা, সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার ফারা নেওয়াজ ও অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার খালিদ হোসেন। বুয়েটের ইইই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এবিএম হারুন উর রশিদ, অধ্যাপক ড. ফোরকান উদ্দিন যোগ দেন। লিনজিয়াও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইসিটি খাতে প্রতিভা বিকাশের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন করে থাকি। এটি নতুন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তি উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।’ফোরকান উদ্দিন বলেন, ‘বুয়েটে হুয়াওয়ের এই ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের কার্যক্রম আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য শিল্প খাতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম। একই সাথে এটি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনেরও সুযোগ করে দিয়েছে।’ ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হুয়াওয়ের এই উদ্যোগ আমাদেরকে ভবিষ্যৎ আইটি পেশাজীবি হিসেবে প্রস্তুত হওয়ার দারুণ সুযোগ দিচ্ছে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে এই ধরনের কার্যক্রম আমাদের ইন্ডাষ্ট্রি সম্পর্কে ধারণা দিয়ে আামাদেরকে সাহায্য করতে পারে। সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি হুয়াওয়েতে সরাসরি আকর্ষনীয় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে।’ হুয়াওয়ের কর্মীদের বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা শুধু বাংলাদেশেই নয় হুয়াওয়ের অন্যান্য কার্যালয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপ
অডিও-ভিডিও কলিং পরিষেবা সংস্থা স্কাইপ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামী মে মাসে এটির কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্কাইপ। এটির প্রভাবে ল্যান্ডফোনের দুনিয়ায় ধস নামে। কারণ ল্যান্ডফোনের চেয়ে কম দামে অডিও ও ভিডিও কল করতে পারায় মানুষ এটির প্রতি ঝুঁকে পড়েন। বিবিসি শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্কাইপ এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে পরিণত হয়েছিল। কারণ কম্পিউটরের মাধ্যমে এটির ব্যবহারকারীরা কোনো চার্জ ছাড়া কথা বলতে পারতেন। ওই সময় স্কাইপের মতো আরও কিছু পরিষেবা ছিল। কিন্ত তারা যেহেতু কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বিনামূল্যে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিল, তাই অন্যদের ছাপিয়ে এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায়। মাইক্রোসফট এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, স্কাইপ ব্যবহারকারীরা ‘মাইক্রোসফট টিমস’-এ সাইন ইন করতে পারেন। এতে করে তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা অন্যদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। স্কাইপ ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও মাইক্রোসফট এটি কেনে ২০১১ সালে। ওই সময় মালিকানা পেতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা। যা তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি দামে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কেনার ঘটনা ছিল। সূত্র: বিবিসি

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দিয়ে যে ক্ষতি করছেন
প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া একটি দিনও ভাবা যায় না। অনেকেই ফোন চার্জে দিয়ে ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে ইউএসবি পোর্ট লাগিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ করেন। যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তারা অনেক সময় সেখান থেকে মোবাইল চার্জ করেন। অনেকে অ্যাডাপ্টার নিয়ে যাতায়াত করেন না। ফলে সঠিক নিয়মে অনেকে মোবাইলে চার্জ দিতে পারেন না। সঠিক উপায় হচ্ছে স্মার্টফোন অবশ্যই আসল চার্জার দিয়েই চার্জ করা উচিত। তবে যদি কারও কাছে মোবাইলের আসল চার্জার না থাকে এবং ফোনটির চার্জ একবারে শেষ হতে চলেছে সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ থেকে ফোনটি চার্জ করতে পারেন। তবে নিয়মিত এ কাজ করা একেবারেই ঠিক নয়। ল্যাপটপ থেকে ফোন চার্জ করলে ব্যাটারির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বেশিরভাগ ল্যাপটপে ইউএসবি পোর্ট থাকে যা চার্জিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট সাধারণত ফোন চার্জ করার ক্ষমতা রাখে। তার সঙ্গে কানেক্ট করে ফোন চার্জ করা হয়। ল্যাপটপ দিয়ে বারবার ফোন চার্জ দিলে চার্জিং স্পিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট সাধারণত ফোনের চার্জারের চেয়ে কম শক্তিশালী হয়। তাই ফোন চার্জ হতে বেশি সময় লাগতে পারে। আসল চার্জার ছাড়া ফোন চার্জ দিলে অতিরিক্ত গরম হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় ফোন গরম হয়ে বিস্ফোরণ হতে পারে। ল্যাপটপ থেকে ফোন নিয়মিত চার্জ দেওয়ার ফলে ফোনের ব্যাটারির উপর প্রভাব পড়তে পারে।

আর্মরশেল প্রোটেকশন ফিচারযুক্ত স্মার্টফোনের সুবিধা
আর্মরশেল প্রটেকশন ধারণাটি স্মার্টফোনের বাজারে কিছুটা নতুন। সাম্প্রতিক সময়ে আর্মরশেল প্রটেকশন ফিচারযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। কিন্তু অনেকেই এ ফিচারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। এটি মূলত স্মার্টফোনকে টেকসই থাকার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। কাঠামোগতভাবে ‘আর্মরশেল’ প্রোটেকশন ফিচারটিতে রয়েছে আট স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কাঠামোগত সিস্টেম ও আটটি উল্লেখযোগ্য উন্নত ফিচারের সমন্বয়ে স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। এতে রয়েছে শক্তিশালী ডাই-কাস্ট অ্যালুমিনিয়াম কাঠামো,সমন্বিত ধাতব ফ্রেম,মজবুত গ্লাস, কোটেড প্রটেকশন, শক শোষণকারী সার্কিট বোর্ড ফিল্ম, উপাদান সংযোজনকারী গ্লু, স্ক্রিন সুরক্ষার বেজেল ও ইনসিওল ডিজাইন। এসব ফিচারের ফলে স্মার্টফোনকে বাঁকানো, পড়ে যাওয়া ও দাগ লাগা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। রয়েছে অভ্যন্তরীণ সিলিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং অংশ; যা ফোনটিকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া, পানি ও ধূলো-ময়লা থেকে সুরক্ষিত রাখে। নোট ৬০ মডেলের মাধ্যমে আর্মরশেল প্রোটেকশন যুক্ত স্মার্টফোনের দেশীয় বাজারে যুক্ত হয়েছে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিয়েলমি। এই প্রযুক্তিযুক্ত তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন হলো নোট ৬০এক্স। সম্প্রতি দেশের বাজারে নিয়ে আসা এই স্মার্টফোনটি ৪৮ মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। ফোনটিতে আরো রয়েছে ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চির চমৎকার ডিসপ্লে। যার ফলে সূর্যের উজ্জ্বল আলোতেও পুরোপুরি ঝকঝকে ও প্রাণবন্ত ছবি দেখা যাবে। পাশাপাশি, ফোনটিতে থাকা আই কমফোর্ট মোড নীল আলো কমিয়ে নিয়ে আসার ফলে ডিসপ্লেটি চোখের জন্য তুলনামূলক আরামদায়ক হয়। অক্টা-কোর প্রসেসর যুক্ত থাকায় নোট ৬০ এক্স দিয়ে খুব দক্ষভাবে বিভিন্নরকম কাজ করা যায়।
স্যামসাং আনল দেশের প্রথম ওএলইডি টিভি এস৯৫ডি
সর্বাধুনিক ওএলইডি প্রযুক্তির নজরকাড়া ছবি ও বিনোদন এখন উপভোগ করা যাবে সেরা ব্র্যান্ডের নিশ্চয়তায়। কারণ, দেশের বাজারে স্যামসাং এনেছে সর্বপ্রথম ওএলইডি টিভি সিরিজ এস৯৫ডি। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ট্রান্সকম ডিজিটাল স্টোরে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিজটি বাজারে আনার ঘোষণা দেয় গ্লোবাল নাম্বার ওয়ান টেলিভিশন ব্র্যান্ড স্যামসাং। ব্যবহারকারীদের ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় রেখে ৫৫, ৬৫, ও ৭৭ ইঞ্চি - এই তিনটি সাইজে এস৯৫ডি সিরিজটি এনেছে স্যামসাং, যা রীতিমত প্রিমিয়াম ওএলইডি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। এতে রয়েছে ১০০ শতাংশ কালার ভলিউম সমৃদ্ধ ওএলইডি গ্লেয়ার ফ্রি ডিসপ্লে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিচ্ছবি দূর করে দেবে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ভিজ্যুয়াল। স্যামসাং এস৯৫ডিতে আরো রয়েছে এনকিউ৪ এআই জেন ২ প্রসেসর পাওয়ার্ড বাই ২০ নিউরাল নেটওয়ার্কস, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যে কোন ছবিকে ফোরকের মত ঝকঝকে আর প্রাণবন্ত করে তুলতে সক্ষম। ইনফিনিটি ওয়ান ডিজাইনে নির্মিত এই টিভিটির ১১ দশমিক ২ মিমির আল্ট্রা-স্লিম ফ্ল্যাট প্রোফাইল এবং স্লিম ওয়ান কানেক্ট বক্স আধুনিক গৃহসজ্জার চাহিদার সাথে পুরোপুরি মানিয়ে যাবে। টিভিটির ৭০ ওয়াট (৪.২.২ চ্যানেল) স্পিকার সেটআপের মাধ্যমে এর দূর্দান্ত ডলবি অ্যাটমোস সাউন্ড সিস্টেমের সেরা ফলাফল পাওয়া যাবে। সেই সাথে এর অবজেক্ট ট্র্যাকিং সাউন্ড প্লাসের (ওটিএস প্লাস) ডায়নামিক, মাল্টি ডাইমেনশনাল অডিও দর্শকদের মুগ্ধতা আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলবে। আইওটি হাব সুবিধাযুক্ত স্যামসাংয়ের নিজস্ব স্মার্টথিংস ফিচারের মাধ্যমে এস৯৫ডি সিরিজের টিভিতে স্যামসাংয়ের সব স্মার্ট ডিভাইস স্বাচ্ছন্দ্যে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এতে রয়েছে নক্স সিকিউরিটি সুবিধা। আর গেমিং ও অন্যান্য অ্যাকশন সমৃদ্ধ ছবিকে জীবন্ত করে তোলার জন্য এস৯৫ডি ওএলইডি সিরিজে মোশন এক্সেলেরেটর ১৪৪ হার্টজ টেকনোলজিও যোগ করেছে স্যামসাং। আয়োজনে উপস্থিত স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাং মিন জাং বলেন, ‘বাংলাদেশের মত পরিবর্তনশীল একটি বাজারে গ্রাহকদের মাঝে সব সময়ই সবচেয়ে আধুনিক আর সেরা প্রযুক্তির পণ্যগুলো নিজেদের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে যুক্ত করার চাহিদা থাকে। বিনোদনের সেরা সব ফিচার থাকার কারণে বিশ্বব্যাপী ওএলইডি টেলিভিশনের কদর বর্তমানে শীর্ষে। আর ব্র্যান্ডটি যখন স্যামসাং, মানের প্রশ্নেও তখন আর কোনো দ্বিধা থাকছে না। দেশের বাজারে তাই এস৯৫ডি সিরিজের ওএলইডি সিরিজটি ব্যাপক সাড়া তৈরি করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ ট্রান্সকম ডিজিটালের হেড অব বিজনেস রিতেশ রঞ্জন বলেন, ‘এস৯৫ডি সিরিজটির মাধ্যমে আমাদের বিশ্বস্ত পার্টনার স্যামসাং বাংলাদেশে ওএলইডি টিভির যাত্রা আরম্ভ করেছে, যা নিয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। নির্ভরযোগ্য সেলস ও কাস্টমার সাপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে আমরা সবসময় স্যামসাং ও ট্রান্সকমের সম্মানিত গ্রাহকদের পাশে রয়েছি।’ দেশ জুড়ে স্যামসাং ও এর পার্টনার আউটলেট ট্রান্সকম ডিজিটাল, র্যাংগস ইমার্ট ও ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনালের সব আউটলেটে বর্তমানে ৫৫এস৯৫ডি, ৬৫এস৯৫ডি ও ৭৭এস৯৫ডি এই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সাইজে স্যামসাং এস৯৫ডি ওএলইডি টিভি সিরিজটি পাওয়া যাচ্ছে; যার মূল্য শুরু হচ্ছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে। তবে, গ্রাহকরা ইবিএল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রি-বুক করলে ২০-৪০ হাজার পর্যন্ত বিশেষ মূল্যছাড় পাবেন। এছাড়া ০ শতাংশ ইন্টারেস্টে ২৪ মাসের ইএমআই সুবিধাও প্রযোজ্য হবে। প্রি-বুক করা দুই জন সৌভাগ্যবান ক্রেতার জন্য থাকছে এক্সবক্স জিতে নেয়ার দারুণ সুযোগ। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন স্যামসাংয়ের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ০৮০০০৩০০৩০০ (টোল ফ্রি)।

‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করলেন শিক্ষার্থীরা
বিশ্ব ইজতেমার কথা চিন্তা করে ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থাকা ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আলি আহমদ। আলি আহমদ বলেন, ‘আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ছিল। এতে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আজকের জন্য আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু নর্থ সিটির ভেতরে অন্য সড়কগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি চলমান থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি গত ২৮ বছরের। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের কাছে নতুন করে দাবি পূরণের আবদার করেছি। এজন্য যতগুলো মাধ্যম ছিল সবগুলো মাধ্যমেই আমরা দাবি জানিয়েছি। সেখান থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সর্বশেষ আমরা অনশন কর্মসূচি দেই। আজ অনশনের পঞ্চম দিনে এসেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। এখন আমাদের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী দেখছে তাদের ভাইয়েরা এখানে অনশন করে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ সাড়া দিচ্ছে না। তাই, তারা আল্টিমেটাম দিয়েছে ব্লকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি।’

দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব গ্রামীণফোন সেন্টার উদ্বোধন করল গ্রামীণফোন
দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব গ্রাহক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করেছে গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেটের আম্বরখানায় গ্রামীণফোন সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে টেকসই ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন ও অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কোম্পানিটি। এটি পরিবেশের প্রতি গ্রামীণফোনের অবিচল প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে, অন্যদিকে গ্রাহক অভিজ্ঞতায়ও যোগ হবে নতুন মাত্রা। পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে নির্মিত এই গ্রামীণফোন সেন্টারটি টেলিযোগাযোগ খাতে একটি অগ্রগামী পদক্ষেপ যেখানে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ কার্যক্রমই হবে কাগজবিহীন ও প্লাস্টিকমুক্ত। সেন্টারটির নির্মাণ থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও দৈনন্দিন কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার ছাপ স্পষ্ট। এখানে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানই টেকসই উপকরণ দিয়ে তৈরি এবং প্রচলিত উপকরণের পরিবর্তে টেকসই, পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে গ্রাহক সেবা হবে কাগজবিহীন। ফলে ডিজিটাল উদ্ভাবনের সহায়তায় সেবায় আরো গতি আসবে, পরিবেশগত ক্ষতিও কম হবে। দেয়াল বাগান (ভার্টিক্যাল গার্ডেন) ও পরিবেশ-বান্ধব দৃশ্যের (ল্যান্ডস্কেপিং) সমন্বয়ে সেন্টারটিতে এক ধরনের প্রাকৃতিক আবহ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, এর নকশায় যুক্ত করা হয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ’শীতল পাটি’। উদ্ভাবন ও প্রকৃতির সমন্বয়ে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন; এমন পদক্ষেপ এরই প্রতিফলন। গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ফারহা নাজ জামানের উপস্থিতিতে সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন সেন্টার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই মাইলফলক সম্পর্কে ফারহা নাজ জামান বলেন, ‘আমরা যা কিছু করি এর কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহক এবং যখন সেটি হয় টেকসই পদক্ষেপ তখন তা আরও অর্থবহ হয়ে উঠে। সিলেটের এই গ্রিন কাস্টমার সেন্টারটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ভবিষ্যত গড়তে গ্রামীণফোনের সংকল্পেরই প্রতিফলন। পাশাপাশি আরো মানসম্মত ও দ্রুত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করবে সেন্টারটি। একইসাথে উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও স্থানীয় ঐতিহ্যেকে আমরা কাজে লাগিয়েছি, যা শিল্প খাত ও সমাজকে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শুধু পরিবেশগত দায়িত্ব পালন নয়, এই উদ্যোগ গ্রামীণফোনের কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ; পাশাপাশি বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণেও সহায়ক। নিজস্ব সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে স্থানীয় কমিউনিটির ক্ষমতায়নে নিবেদিত গ্রামীণফোন। এই সেন্টারটি এরই প্রতিফলন। পাশাপাশি পরিবেশগত সুরক্ষা এবং আমাদের সেবার আওতাধীন কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখবে এই পরিবেশবান্ধব সেন্টারটি।’

সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও আইটেল
আইটেলের সহযোগে উদ্ভাবনী একটি কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন এনেছে গ্রামীণফোন। সাশ্রয়ী মূল্য, ব্যবহারিক সুবিধা ও সংযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিভাইসটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে; যা স্বল্প খরচে স্মার্টফোন কিনতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের জন্য অনন্য। সাশ্রয়ী মূল্যের গ্রামীণফোন আইটেল এ৮০ ডিভাইসটিতে রয়েছে বড় এইচডি প্লাস ডিসপ্লে ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। যারা সহজলভ্য ও নির্ভরযোগ্য একটি স্মার্টফোন খুঁজছেন এই ডিভাইসটি তাদের জন্য। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানের উপস্থিতিতে সম্প্রতি ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জিপি হাউসে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই স্মার্টফোনটি উন্মোচন করা হয়। এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার (সিপিও) সোলায়মান আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ফারহা নাজ জামান, আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেজওয়ানুল হক উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকদের জন্য স্মার্টফোনটির সাথে রয়েছে এক্সক্লুসিভ ইন্টারনেট অফার। অফারগুলোর মধ্যে রয়েছে মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে একবারের জন্য ৭ দিন মেয়াদি ৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট । এছাড়া, প্রতি মাসে ৯৯ টাকায় ৭ দিন মেয়াদি ১০ জিবি এবং ২৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ৪০ জিবি ইন্টারনেট প্যাক কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। ডিভাইসটি চালু হওয়ার পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত গ্রাহকেরা এই দুইটি অফার যতবার খুশি নিতে পারবেন। মাত্র ৯ হাজার ৯৯০ টাকায় সাশ্রয়ী মূল্যের এই ডিভাইসটি সারা দেশের গ্রামীণফোন সেন্টার (জিপিসি) এবং আইটেল রিটেইল চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে। ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আইটেলের সাথে এই পার্টনারশিপ স্মার্টফোনকে আরো সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আমাদের একাগ্রতার প্রতিফলন। অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যত গড়তে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ যাতে উদ্ভাবন ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সবার জন্য সমান সুয়োগ নিশ্চিত হয়। আরও শক্তিশালী সংযোগের মাধ্যমে জীবনমান উন্নত করে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যেন সবাই ডিজিটাল যুগের রূপান্তরকারী ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারেন।’ রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের এই পার্টনারশিপ বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের উভয় কোম্পানির একটি সাধারণ লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের হাতে মানসম্মত স্মার্টফোন পৌঁছে দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা; আইটেল এ৮০ স্মার্টফোনটির উন্মোচন এরই প্রতিফলন। ব্যবহার উপযোগিতা ও আস্থার দিক থেকে স্মার্টফোনটি একটি নতুন ধারার সূচনা করেছে। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৪+১২৮ জিবি মেমরি যা এই দামের মধ্যে সেরা, আইপি-৫৪ রেটেড পানি ও ধূলা প্রতিরোধক এবং ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। গ্রামীণফোনের বিশাল সংখ্যক গ্রাহকদের জন্য এমন একটি চমৎকার স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তির সমৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও এরিকসন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সল্যুশনের মাধ্যমে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরিকসনের সাথে তাদের পার্টনারশিপের সম্প্রসারণ করেছে দেশের টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বমানের সেবা প্রদান করা এই কৌশলগত পার্টনারশিপের লক্ষ্য, যা গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানে সহায়ক হবে। আগামী ছয় বছর এআই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আরও দ্রুত গতিতে উদ্ভাবনী সেবা চালু, পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি, সেবার মান আরো সমৃদ্ধ করা ও দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে গতিশীল করতে পারবে গ্রামীণফোন; যা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো এ বিষয়ক চুক্তিটি সই করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী, এরিকসন লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) এবং হেড অব এমএ সাউথ ইস্ট এশিয়া ওশেনিয়া এবং ইন্ডিয়া অব এরিকসন লিমিটেড আন্দ্রেস ভিসেন্টে, গ্রামীণফোনের চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন, চিফ প্রকিউরমেন্ট অফিসার কৌস্তভ ভাটসহ গ্রামীণফোন ও এরিকসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বব্যাপী ক্যাটালগ-ভিত্তিক চার্জিং এবং মিডিয়েশন সিস্টেম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই পার্টনারশিপ অন্যতম বৃহৎ একটি উদ্যোগ। এরিকসনের সফল মিডিয়েশনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেছে এই ব্যবস্থা যা গ্রামীণফোনের দৈনিক ৬০০ কোটিরও বেশি ডাটা প্রসেস করতে সক্ষম। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণফোন নিজেদের ব্যবসায় ও অপারেশন সাপোর্ট সিস্টেমের (ওএসএস/বিএসএস) সক্ষমতা বাড়াতে পারবে। চুক্তির আওতায় এরিকসন অর্ডার কেয়ার ও ক্যাটালগ ম্যানেজারের মতো নতুন সল্যুশন যুক্ত হবে; যা প্রতিষ্ঠানটির সেবা প্রদানের মানকে আধুনিকীকরণ ও ফাইভজির বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। গ্রামীণফোনের নিরবচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম চালু রাখতে আইটি ম্যানেজড সার্ভিস দেবে এরিকসন। পাশাপাশি এআই-ভিত্তিক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করবে গ্রামীণফোনের দক্ষতা। ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এরিকসনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি গ্রামীণফোনের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে, ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে ও লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের কাছে বিশ্বমানের সেবা প্রদানের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। সংযুক্তির ভবিষ্যত ও ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই চুক্তি, যা টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বৈশ্বিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করবে।’ ডেভিড হেগারব্রো বলেন, ‘এই পার্টনারশিপ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় চলমান সহযোগিতার একটি অন্যতম উদাহরণ। এআই দ্বারা পরিচালিত উন্নত ওএসএস/বিএসএস প্রযুক্তি ও এরিকসন ম্যানেজড সার্ভিসেসের মাধ্যমে গ্রামীণফোন এবং এর গ্রাহকদের আগামী ছয় বছর কাঙ্ক্ষিত সেবা দেবে এরিকসন।’

সাত টেলিকম সংস্থার লাইসেন্স বাতিল
মেয়াদোত্তীর্ণ সাত টেলিকম প্রতিষ্ঠানের পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক এমএ তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। লাইসেন্স বাতিল হওয়া সাত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে টেলিবার্তা লিমিটেড, র্যাংকস টেলিকম লিমিটেড, ন্যাশনাল টেলিকম লিমিটেড, বাংলা ফোন লিমিটেড, ওয়েসটেক লিমিটেড, ওয়ানটেল কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উল্লেখিত সাতটি প্রতিষ্ঠানের ‘লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ও প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক নবায়নের জন্য আবেদন না করায়, সেগুলোর লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বাতিল করা হল।’ সুতরাং, বাতিলকৃত লাইসেন্সের অধীনে যে কোন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১’-এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়া, বাতিলকৃত লাইসেন্সের মূল সনদ কমিশন বরাবর জমা প্রদানসহ কমিশনের সমুদয় পাওনা বকেয়া (যদি থাকে) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বাতিল হতে পারে অপ্রয়োজনীয় টেলিকম লাইসেন্স
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেছেন, ‘টেলিকম খাতে সকাল সন্ধ্যায় পাল্টাতে হয়- এমন কোনো নীতিমালা তৈরি করা হবে না। এমনকি অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করে এই খাতকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।’ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটির আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির মিলনায়তনে টেলিকম খাতের সংস্কার নিয়ে এক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, টেলিকম খাতের নতুন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা থাকবে না। তিনি বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের শুল্ক আরোপ নিয়ে কমিশন কোনো মন্তব্য করবে না। এটা সরকারের বিষয়।’ এমদাদ উল বারী বলেন, ‘বড় পরিসরের ডিজিটাল সেবা মেটাতে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের পথে থাকা বাধা কাটিয়ে তুলতে যেন নতুন প্রযুক্তি সহজেই অভিযোজিত হয় সে দিকটায় গুরুত্বারোপ করতে অ্যাক্টিভ শেয়ারিং উন্মুক্ত করা এবং সবুজ প্রযুক্তির দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাদ দেওয়া ও সুস্থ প্রতিযোগিতায় বাধা সৃষ্টিকারী ভার্টিক্যাল লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।’ নতুন নীতিমালা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, আগামী মার্চের মধ্যেই একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল উন্নয়ন সহযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হবে জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এর ওপর ভিত্তি করে নীতিমালা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার ও টেকসই নীতিমালার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হচ্ছে না। জটিল ও টুকরো টুকরো নেটওয়ার্ককে এক সুতোয় গাঁথতে রিভিউ করে সহজ, সক্ষম ও সাশ্রয়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে দেশে ফাইভজি সেবা কবে নাগাদ চালু হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে ফাইভজি সেবা কবে নাগাদ চালু হবে সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে ফাইভজি সেবা চালু করতে বিটিআরসি কাজ করছে।’

ষষ্ঠ চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার শুরু
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও সোসাইটি অব চিটাগাং আইটি প্রফেশনালসের (এসসিআইটিপি) যৌথ তিন দিনের ষষ্ঠ চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার-২০২৫ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিটির আগ্রবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এ মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, সোসাইটি অব আইটি প্রফেশনালস’র সভাপতি আবদুল্লাহ ফরিদ, মেলার সিলভার স্পন্সর সফোজ’র কান্ট্রি ম্যানেজার এএইচএম মহসিন ও টেকনোলজি পার্টনার লিংক থ্রি’র ফয়সাল বিন আমিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাইভেট সেক্টর ও ইন্ডাষ্ট্রিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে তথ্য প্রযুক্তি খাতও। তাই, দেশের অর্থনীতির আকার বাড়াতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রিনিয়উরশীপ ডেভেলপ করার জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের উপর কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। এ জন্য একাডেমিয়া ও ইন্ডাষ্ট্রির মধ্যে সমন্বয় করে এ খাতের উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতায় ইনোভেশন হাব এবং আইসিটি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ও সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে আইসিটি বিভাগ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু, উপযুক্ত চ্যানেল না থাকার কারণে তারা সহজভাবে তাদের উপার্জিত অর্থ আনতে পারছে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ফ্রিল্যান্সরদের অর্থ সহজে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে পে-পাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।’ একই সাথে তিনি আগামী বাজেটে তথ্য প্রযুক্তি খাতের আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে এনবিআরের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার আশ্বাস দেন। মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তিতে আমরা দিন দিন উন্নতি করছি। কিন্তু, এ খাতে এখনও মাতৃভাষার বাংলা ব্যবহার এখনও পিছিয়ে রয়েছি। তাই, এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের কাজ করা উচিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে আমাদেরকে দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। আমাদের জেন জি-রা প্রযুক্তি খাতে অনেক দক্ষ। তাদের এই দক্ষতা কিভাবে আরও শাণিত করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করা প্রয়োজন।’ মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অধিকাংশ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানই তথ্য প্রযুক্তি খাতের। শুধুমাত্র আউট সোর্সিংয়ে বিশ্বব্যাপী বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। তাই, তথ্য প্রযুক্তির এই জয়যাত্রায় আমাদের সঙ্গী হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের টেকনোলজি সম্পর্কে যেমন জানতে হবে, তেমনি প্রযুক্তি ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিত্য নতুন ইনোভেশন পৌছে দিতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে চট্টগ্রাম চেম্বার অত্র অঞ্চল ও দেশের ব্যবসায়িক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে যোগসূত্র স্থাপনের লক্ষ্যে নিয়মিত আইটি ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে শিল্পায়নের বিকাশে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল ও বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল যেমন রয়েছে, তেমনি আইটি পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টারও রয়েছে।’ তিনি দেশের যুব সমাজকে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব সেন্টারের কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করতে আইসিটি বিভাগের সচিবের প্রতি অনুরোধ জানান। আবদুল্লাহ ফরিদ বলেন, ‘মেলায় শুধু পণ্য প্রদর্শন নয়; মেলাকে কার্যকরী ও আউটপুট আনতে একাডেমিয়া ইন্ডাষ্ট্রি সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হচ্ছে।’ তিনি সব শ্রেণি ও পেশাজীবীর পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইটি ফেয়ার পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন শীষ হায়দার চৌধুরী। মেলায় ৪০টির মত প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬০টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, চীন, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইটি ও সল্যুশন বেইজড প্রতিষ্ঠান এবারের আইটি ফেয়ারে অংশগ্রহণ করছে। মেলায় প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকছে এফ-ফাইভ। গোল্ড স্পন্সর আই ভ্যালু, সিলভার স্পন্সর সফোস ও স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, টেকনোলজি পার্টনার লিংক থ্রি, সাইবার পার্টনার বিটলস সাইবার সিকিউরিটি লিমিটেড ও ক্লাউড পার্টনার কোলোশিয়া। এছাড়া, মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিভিন্ন সেমিনার আয়োজন রয়েছে। ১৮-২০ জানুয়ারি মেলা প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

পুরোনো ফোন বিক্রির আগে যে চার কাজ অবশ্যই করবেন
বর্তমানে সাথে মানিব্যাগ না থাকলে ফোনটি নিতে কেউ ভুল করেন না। সাথে ফোন থাকলে টাকারও সমস্যা নেই। যে কোন জায়গায় অনলাইন পেমেন্ট করতে পারছেন কিংবা টাকা বের করে বিল মেটাতে পারছেন। নতুন ফোন কেনার পর অনেকেই পুরোনো ফোনটি বিক্রি করে দেন। তবে, ফোন বিক্রি করে অনেক বড় বিপদে পড়তে পারেন। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? যে ফোন বিক্রি করে কীভাবে বিপদে পড়বেন। আসলে আপনি ফোন বিক্রি করার পর সেটা যদি কোন দুষ্টু লোকের হাতে পরে তাহলে আপনার ফোনে ডাটা বা ছবি চুরি করে সে আপনাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। তাই, পুরোনো ফোন বিক্রির আগে চারটি কাজ অবশ্যই আপনাকে করতে হবে। দেখে নিন সেসব কী- ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলুন: পুরোনো ফোন বিক্রির আগে এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেন অন্যের হাতে না পড়ে। ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ফোন নম্বর, ছবি, ভিডিও, মেসেজ ও নথি ক্লাউড স্টোরেজ বা অন্য ডিভাইসে ব্যাকআপ নিন। গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গুগল ড্রাইভে ব্যাকআপ করুন। ফ্যাক্টরি রিসেট করুন: ব্যাকআপ নেওয়ার পর ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করুন, যা ফোন থেকে সব তথ্য মুছে ফেলবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে: সেটিংস > সিস্টেম > রিসেট > ফ্যাক্টরি রিসেট।আইফোনে: সেটিংস > জেনারেল > রিসেট > ইরেজ অন কনটেন্ট অ্যান্ড সেটিংস। অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট করুন ও লিংক মুছে ফেলুন: যেসব অ্যাপে আপনি লগইন করেছেন (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, পে-অ্যাপ), সেগুলো থেকে সাইন আউট করুন। আপনার ফোনের যে কোন অ্যাকাউন্ট যেমন গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট করা বাধ্যতামূলক। ফোনটি পরিষ্কার ও মেরামত করুন: পুরোনো ফোন বিক্রির আগে এর চেহারা ও অবস্থা ভাল করে সাজানো হলে আপনি ভাল মূল্য পেতে পারেন। ফোনের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় ও অ্যালকোহল-ভিত্তিক ক্লিনার দিয়ে স্ক্রিন ও বডি মুছে নিন। ফোনের পোর্টগুলো (চার্জিং পোর্ট, হেডফোন জ্যাক) পরিষ্কার করুন।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
ইন্টারনেট প্যাকেজের ওপর অতিরিক্ত সম্পূরক কর আরোপ করায় মুঠোফোন গ্রাহকদের খরচ বেড়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও খরচ বাড়ছে। এখন থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভ্যাট দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জারি করা দুই অধ্যাদেশে শুল্ক ও কর বাড়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। এটি জারির পরেই কার্যকর হয়েছে। অধ্যাদেশ থেকে জানা গেছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ে ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সবমিলিয়ে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর ১০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বাড়তে পারে। গ্রাহককেই শুল্ক ও করের এ ভার বহন করতে হবে। এদিকে ‘এক দেশ এক রেট’ প্যাকেজে ৫০০ টাকার প্যাকেজে লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, তৃণমূলে ইন্টারনেট পৌঁছাতে ও প্রতিটি নতুন গ্রাহক সংগ্রহে প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয় তাদের। এবার নতুন করে শুল্ক ও করারোপ এবং পরিচালন ব্যয় বাড়ানোয় সেবার মান ধরে রাখাও অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা করেছেন তারা।

গ্রামীণফোনের ‘ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে অফার'
ফুড আউটলেট ‘খানা’স’-এর সাথে ফ্ল্যাগশিপ উইকেন্ড অফার ‘ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে’ এনেছে গ্রামীণফোন। জিপিস্টার গ্রাহকদের জন্য ফ্রাইডে-কে আরো স্পেশাল করে তুলতে এই অফার এনেছে অপারেটরটি। ফ্ল্যাগশিপ এই ক্যাম্পেইনের আওতায় উইকেন্ডের বিশেষ অফারে খানা’স’-এর অনন্য সব আইটেম উপভোগ করতে পারবেন জিপিস্টার গ্রাহকরা। কাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে অফারটি। গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেট কমিউনিকেশনস মো. ইফতেখার আলম এবং খানা’স’-এর চেয়ারম্যান এহসান আহমেদের উপস্থিতিতে এই পার্টনারশিপের ঘোষণা করা হয়। গ্রাহকদের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে গৃহীত এই পার্টনারশিপ নিয়ে উভয়েই তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জিপিস্টার গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গ্রামীণফোনের একটি বিশেষ উদ্যোগ ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ছুটির দিনগুলোকে আনন্দময় করে তুলতে বিভিন্ন লাইফস্টাইল বেনিফিট দেয়া হয়। এই ক্যাম্পেইনটির আওতায় শুক্রবার খানা’স’-এর যে কোন আউটলেটে প্রথম ২৫ জন জিপিস্টার গ্রাহক বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন একটি বিফ বা চিকেন চেডার বার্গার ও হট ফ্রাইস। পাশাপাশি, দিনব্যাপী তাদের যে কোন মেনুতে জিপিস্টার গ্রাহকরা পাবেন ১৫ শতাংশ ছাড়। অফারটি নিতে খানা’স’-এর যে কোন আউটলেটে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করতে অথবা FF লিখে ২৯০০০ নাম্বারে পাঠানোর পর ফিরতি মেসেজটি কাউন্টারে দেখাতে হবে। মো. ইফতেখার আলম বলেন, ‘গ্রাহকদের জন্য আনন্দময় ও স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিতে আমাদের সংকল্পের প্রতিফলন হচ্ছে ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে। খানা’স’-এর সাথে পার্টনারশিপ আমাদের ক্যাম্পেইনে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।’ খানা’স’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, “এটি খানা’স’-এর প্রথম ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ। আমাদের উভয়ের গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য গ্রামীণফোনের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। এই পার্টনারশিপ জিপিস্টার গ্রাহকদের মধ্যে সারা ফেলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।” ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে ক্যাম্পেইনটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। অফারটি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ১৬টি খানা’স’-এর আউটলেটে পাওয়া যাবে।

মোবাইল ফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপাতে বলল টিক্যাব
নতুন করে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবায় কর বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যে নাভিশ্বাস ওঠা জনগণের কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা না চাপাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো টিক্যাবের সভাপতি মুর্শিদুল হক বিদ্যুৎ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার মুঠোফোন সেবার ওপর নতুন করে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে পারে গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এ সংবাদ ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে। রাজস্ব আদায় সহজ হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর এ খাতে নতুনভাবে শুল্ক আরোপ করত। গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে তারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। বর্তমানে সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ মিলে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইমের ওপর মোট ৩৯ শতাংশ কর আরোপিত আছে। আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে তা ৪২ শতাংশে উন্নীত হবে। একজন গ্রাহক ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জের বিপরীতে ৩৯ টাকা পরোক্ষ কর দিয়ে কার্যকরীভাবে ৬১ টাকার সেবা নেন। কর বৃদ্ধির পর, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জের বিপরীতে ৫৮ টাকার সেবা পাবেন। শুল্কের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ও সেবার দিক দিয়ে অবস্থান সর্বনিম্নে। সরকারের শুল্ক বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অপারেটরগুলো সেবার মান না বাড়িয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের মূল্য নিজেদের ইচ্ছে মত বাড়ায়। আদতে শুল্ক বৃদ্ধির সম্পূর্ণ দায় বহন করতে হয় গ্রাহকদেরই।’ টিক্যাব জানায়, মূল্য বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে। বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবরের (১২ কোটি ৩৪ লাখ) তুলনায় নভেম্বরে (১১ কোটি ৯০ লাখ) গ্রাহক কমেছে প্রায় ৪৪ লাখ। তাই, নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকরা মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো কমিয়ে দিতে পারেন। ফলে, সরকার বাড়তি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে, সে লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে। সংগঠনটি জানায়, মুঠোফোন সেবা এখন জনসাধারণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। নিত্যপণ্যের ব্যয় বৃদ্ধির মতই মুঠোফোন সেবার ব্যয় বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বিগত সরকারের সময়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো পাল্লা দিয়ে ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার মুঠোফোন সেবার খরচ কমিয়ে গ্রাহকদের স্বস্তি দেবে বলে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে তারাও বিগত সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণকেই শ্রেয় মনে করছেন। ভুলে গেলে চলবে না দেশে সচল প্রায় ১৮ কোটি সিমের সিংহভাগ গ্রাহকই কিন্তু নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে রক্ত-ঘামে উপার্জিত প্রতিটি টাকা তাদেরকে অত্যন্ত হিসাব করে ব্যয় করতে হয়। টিক্যাব প্রত্যাশা করে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া গণমানুষের কাক্সিক্ষত অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে মুঠোফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে।