আলুর হিমাগারে মিলল লাখ লাখ ডিম
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:২১ পিএম, ১৭ মে ২০২৪
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় মেঘনা কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগার) জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজ নামে একটি আলু রাখার হিমাগারে ২১ লাখ ডিম অবৈধভাবে মজুদ অবস্থায় পেয়েছে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ড্রামে সংরক্ষণ করে রাখা ২৪ হাজার কেজি মিষ্টিও জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
লাইসেন্সবিহীন হিমাগারে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয় আরও ৬০ হাজার টাকা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন, ‘এই বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিল- কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপণনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ৪৮ ঘণ্টা পর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন- এসব পণ্য সঠিকভাবে সঠিক সময়ে খালাস হয়েছে কিনা।
কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘আলু রাখার কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিল। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিল। এছাড়া ৮শ’ ড্রামের প্রতিটিতে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি রাখা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।’
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ কোল্ডস্টোরেজটিতে যে পরিমাণ ডিম মজুদ করা হয়েছে তাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় ড্রামে করে বিপুল পরিমাণ মিষ্টি মজুদ করা হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকর কিনা বিষয়টি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। যারা মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে মিষ্টি রেখেছিল তাদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। বাকিদেরও খুঁজছে ভোক্তা অধিকার।