মদনে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:০৩ পিএম, ০১ জুন ২০২৪
নেত্রকোনা: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার মদনে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা-মদন প্রধান সড়কে কাইটাইল ইউনিয়েনের জয়পাশা ও কেশজানি গ্রামের সীমানায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় আহত ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আলী আজগর পনির নামের একজন স্থানীয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকার মদন উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে মদন থানার ৫ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন - শরিফুল ইসলাম (এসআই), শাহাজাহান সিরাজী (এসআই), সামিউল ইসলাম (এসআই), জামিল হোসেন (এএসআই), ও রাসেল মিয়া। আহত পুলিশ সদস্যদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কেশজানি গ্রামের মাঠে জয়পাশা ও কেশজানি গ্রামের কিশোরদের ফুটবল খেলা চলছিল। খেলা নিয়ে তর্কে জয়পাশা ও কেশজানী গ্রামের কিশোরদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে দুই গ্রামের লোকজন সন্ধ্যায় নেত্রকোনা-মদনের প্রধান সড়কে সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিত লোকজন আহত হয়। প্রধান সড়কে সংঘর্ষ থাকায় ওই এলাকায় দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নয়ন ঘোষ জানান,‘রাত ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত ৩৪ জন রোগীকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজন রোগী আবার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। ’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান,‘ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আমার ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও দুই পক্ষের অর্ধশত লোক আহত রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।