বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা


October 2/02--2411051158.jpg

বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাবেক ইউপি মেম্বার ও বিএনপি নেতা সজীব তরফদার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কাড়াপাড়ার মির্জাপুরের দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের কাছে বাগেরহাট-রামপাল সড়কের ওপর তাকে কুপিয়ে ও গুলিকরে হত্যা করা হয়।

এসময় মটরসাইকেলে থাকা সজিবের চাচা কামাল তরফদার গুরুতর আহত হন। নিহত সজীব তরফদার(৩৮) বাগেরহাট সদরের ডেমা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য এবং সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। তিনি ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহব্বায়ক ছিলেন। 

ঘটনার পর বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো: তৌহিদুল আরিফ-সহ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিকেলে বিএনপি ও যুবদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেলের দিকে সজিব তরফদার বাগেরহাট জেলা শহর থেকে গ্রামের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মির্জাপুর মধ্যপাড়া মসজিদের সামনে এলে সন্ত্রাসীরা তার মাথা লক্ষ্য করে প্রথমে দুইটি গুলি করে। এরপরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

এসময় মোটরসাইকেলে থাকা সজিবের চাচা কামাল তরফদার গুলিতে আহত হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। 

সজিবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকারীদের বিচার চাই।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, সজিব একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।

সেকারনে তার প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে। এটা পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে অপরাধী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই নেতা।

তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, চিংড়ি ঘের ও আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত কোন দ্বন্ধের কারনে সজীব তরফদারকে হত্যা করা হতে পারে।   

পুলিশ সুপার মো: তৌহিদুল আরিফ জানান, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বুলেটের খোসা ও একটি দা-সহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাওয়া বুলেটের খোসা থেকে বোঝা যায় এটা শটগানের গুলি।

ধারণা করছি শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। নিহতের লাশ বাগেরহাট মর্গে আনা হয়েছে। হত্যার কারন উদঘাটন ও হত্যাকারীদের আটকে ইতোমধ্যে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। 

এদিকে সাবেক এই বিএনপি নেতার হত্যাকারীদের বিচার দাবি ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।
 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×