নরসিংদীতে ঝুট ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল বিএনপির দুই গ্রুপ
- নরসিংদী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:২৯ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
নরসিংদী জেলায় গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুসাইর এলাকার হোম টেক্সটাইলের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হল মহিষাশুড়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী জুট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (৪৫), সুমন (২৪) ও জুয়েল মিয়া (২৭)। তারা সকলে সাইফুল গ্রুপের সমর্থক। তাদের মধ্যে আহত সাইফুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার বিভিন্ন কাপড়ের কারখানার ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহিষাশুড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সমীরের হাতে। গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এ ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির কর্মী সাইফুল ইসলাম। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে মহিষাশুড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মামুন মিয়া গ্রুপের লোকজন ওই এলাকার হোম টেক্সটাইল থেকে ঝুট মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় সাইফুলসহ তার লোকজন বাঁধা দেয়। পরে নরসিংদী শহর থেকে কিছু লোকজন গিয়ে মামুনের পক্ষে সাইফুল ইসলাম গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিপেটা করে চলে যায়।
আহত সাইফুলকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত অন্য দুইজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহত সাইফুলের ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা ঝুট ব্যবসাওং জন্য বিভিন্ন কারখানাকে অগ্রিম টাকা দিয়েছি। কিন্তু, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মামুন ও তার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যায়। আমার ভাই কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোন কথাবার্তা ছাড়াই নরসিংদী শহর থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমার ভাই আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা পরিবারের সাথে পরামর্শ করে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
আহত জুয়েল মিয়া বলেন, ‘আমরা হোম টেক্সটাইলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচানক মামুনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার দাবি করছি।’
তবে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা শুনে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শনে গেছে। কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’