পূর্বধলায় ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫
- নেত্রকোণা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৪০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
নেত্রকোনার পূর্বধলায় আট মিনিটের ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। যদিও মিছিলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ছিলেন হেলমেট ও মাক্স পরিহিত। তবে এ ঘটনায় ভিডিও দেখে শনাক্তের পর ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর সড়কের বালুচরা এলাকায় মিছিলটি বের করা হয়। পরে পুর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে মিছিলটির ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। এরপর রাতে পুলিশ ছাত্রলীগের ৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
জানা গেছে, মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া শাহাদত নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের (ভাতিজা) বড় ভাইয়ের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালের দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল বের করে। কয়েক মিনিট মিছিল করার পর তারা মোটরসাইকেলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।
এদিকে মিছিলের ভিডিও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেয়ার করার পর এটি ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও শাহাদত হোসাইন নিজের আইডিতে ভিডিওটি শেয়ার করেন। সেখানে লেখা হয়, দেশরত্ম শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বারুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ।
শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসাইন মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তার পেছনে প্রায় ১৫-২০ জনের মতো নেতাকর্মীও স্লোগান দিচ্ছেন। তবে ওসব নেতাকর্মীর কারও মুখে মাস্ক, কারও মাথায় হেলমেট, আবার কারও মাথা-মুখ মাফলার ছিল।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জটিকা মিছিলের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, একদম ভোরে সবাই যখন ঘুমে তখন ময়মনসিংহ থেকে এসে দুই-তিন মিনিট মিছিল করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেছেন। আটক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টের পর থেকে জেলার আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে, গত ১৭ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত এ জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ।