জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যুবদলের কর্মীকে কোপাল আওয়ামী লীগের নেতা
- নাটোর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৪৩ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
নাটোর জেলার নলডাঙ্গায় উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে যুবদলে কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে পরে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বোরো ধানের চারা পানিতে ডুবে যাওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামে এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতা ও তার ভাইদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল।
এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের জামতলী খালের ব্রিজের কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই আহত পৌর যুবদলের কর্মীর নাম মামুন সরদার (৩৮)। তিনি উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতার নাম আব্দুল মজিদ ভুট্টু। তিনি উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের মৃত করিম সাকিদারের ছেলে। এ ছাড়াও, তিনি নলডাঙ্গা পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যুবদলের কর্মী মামুনের ভাই আততাব বাবু, ফিরোজ মাহমুদ রবিন, নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে আব্দুল মজিদ ভুট্টুর জমিতে সেচ দেন। এ সেচের পানি মামুন সরদারের চাচাতো ভাই বাবুর রোপণ করা বোরো বীজতলায় যায়। এ পানি যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মামুন আব্দুল মজিদ ভুট্টুর ভাই আজাহারকে লাঠিপেটা করেন। এ সংবাদ পেয়ে আব্দুল মজিদ ভুট্টু ও তার ভাইয়েরা গিয়ে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি ও হাঁসুয়া দিয়ে মামুন সরদারকে বেধড়ক পেটায় ও কুপিয়ে রক্তাক্ত-জখম করেন। পরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সংবাদ পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে তার স্বজনেরা প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামুন সরদারকে কুপিয়ে জখম করেছে আব্দুল মজিদ ভুট্টু ও তার ভাইয়েরা। পরে তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এ ঘটনায় আক্রমণকারী আব্দুল মজিদ ভুট্টু ও তার ভাইদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন নলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি এমএ হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বুলবুল, পৌর বিএনপির নেতা আবু জাফর হোসেন, রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি রুপচাঁন, যুবদলের নেতা আনোয়ার হোসেন।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জামতলী গ্রামে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’