শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৩:৪১ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনার তীরে নির্মাণাধীন স্টিল সাইলোর নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের দিনি তিনি এই কথা জানান।
এ সময় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুত রয়েছে। সেটিকে ৩০ লাখ করার জন্য কাজ করছে সরকার।’
যখন দেশে চালের ভাল উৎপাদন হয়, তখন আমদানির পরিমাণ কম হয় জানিয়ে আলী ইমাম বলেন, ‘তবে ঘাটতি পূরণের জন্য মাঝেমধ্যে আমদানি করতে হয়। এবার বন্যায় পূর্বাঞ্চলে কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, খাদ্য ঘাটতি হতে পারে। এ জন্য আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছি। এর মধ্যে মূলত ভারত থেকে। দ্বিতীয়ত সরকার টু সরকারের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগের মধ্যমে। এরমধ্যে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চালা আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনব। এছাড়া, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার সরাসরি ওই দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাল আমদানি করবে।’
ভারত থেকে চাল আমদানি ব্যয় তুলনামূলক কম হয়, অন্যদেশ থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে না ফেলি। ভারত থেকে চাল কিনলে তুলনামূলক খরচ কম পড়বে। এ জন্য দেড় লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া আছে। আমরা আশা করি, সে চাল দ্রুত আসবে।’
‘পাশাপাশি আমরা একক কোন একটা দেশের ওপর নির্ভর করব না। যেহেতু আমাদের খাদ্য ঘাটতি রযেছে। আমরা অন্য দেশ থেকে আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করব। সে চেষ্টাই করছি। যোগ করেন আলী ইমাম।
গম উৎপাদন সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র দশ লাখ টন। এর বেশি উৎপাদন আমাদের পক্ষে কঠিন। গম চাষে জমিগুলো এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। বেসরকারি খাত আমদানি কার্যক্রম চালাচ্ছে।’