নিজ উদ্যোগে কাব-ক্যাম্পুরীর আয়োজন করল কমলগঞ্জের মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৩১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৪র্থ বারের মতো নিজ উদ্যোগে কাব-ক্যাম্পুরীর আয়োজন করে শ্রীনাথপুর ছলিমগঞ্জের মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় মাঠে এ কাব-ক্যাম্পুরীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও ক্যাম্প ফায়ারের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন অতিথিরা। আয়োজকরা জানান, বিদ্যালয়ে টানা পাঁচ দিনব্যাপী এই কাব-ক্যাম্পুরীতে এই স্কুলের ৪৪ জন্য শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীরা এই দিনগুলোতে সকাল সাড়ে ৫টায় শরীর চর্চা দিয়ে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান চর্চা, প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় কাজ, প্রাথমিক চিকিৎসা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ নানা কাজের মধ্য দিয়ে কাটাবে।
এছাড়াও ভাতৃত্ববোধ শিখবে, ব্যায়াম শিখবে, শৃঙ্খলা শিখবে। যা শারীরিক বিকাশের জন্যে দরকার, মানসিক বিকাশ করবে। কিছু কলাকৌশল শিখানো হবে যা তাদের পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে লাগবে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ সিরাজ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, শিক্ষক মোমিনা ইয়াসমিন রুজি, হামিদা চৌধুরী, সুমাইয়া চৌধুরী, তারিন সুলতানা, মনিরাজ সিনহা, নিপুণ শর্মা, শম্পা রাণী শীল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমেরেন্দু সেনগুপ্ত বুলবুল, শংকর দেবনাথ, নির্মলেন্দু চন্দ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হোসেন জাকারিয়া, সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শুভ, পারভেজ আহমেদ, জাহেদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম সহ রাসেল হাসান বখ্ত, শিক্ষক রাজিব হাসান ও অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ সিরাজ জানান, পাঁচ দিনব্যাপী কাব ক্যাম্পুরীতে প্রতিষ্ঠানের ৪৪জন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। চলতি মাসের ১৬ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহাতাঁবু জলসার মধ্য দিয়ে পাঁচদিনের কাব ক্যাম্পুরীর পরিসমাপ্তি ঘটবে। তিনি আরও বলেন, স্কাউটিং একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও শিক্ষামূলক কর্মযজ্ঞ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে স্কাউটিং শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক ও মানসিক দিকগুলো পরিপূর্ণ অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বিকাশে অবদান রাখে যাতে করে তারা ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তি, দায়িত্বশীল নাগরিক এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে জীবনযাপন করতে পারে। মানবজীবনের একমাত্র ব্রত হল সেবা। মানবহৃদয়ের সব তৃপ্তি, সুখ ও সাফল্য সেবার মধ্যেই নিহিত।