চাঁদা না পেয়ে কারখানা মালিককে শ্বাসরোধে খুন, যা বললেন বিএনপির নেতা


December 2024/Kill karkana.webp

নরসিংদী জেলায় চাঁদা না দেয়ায় এক পাওয়ারলুম কারখানার মালিককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। খুনের পর গুমের উদ্দেশে লাশ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

Your Image

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেয়। নিহত নুর মোহাম্মদ (৪৮) সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। তিনি নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার মালিক ছিলেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন নরসিংদীর মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানির ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহর ছেলে রুবেল (২২), কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের অব্দুল আজিজ ছেলে আলামিন (৪২), আব্দুল রশিদের ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ নিজ নামিয় নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি এলাকার রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকার জানায় মোহাম্মদ। সর্বশেষ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এতেও মিল মালিক অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কারখানা মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই মধ্যে চাঁদা দাবি করা রুবেল, রকিব, রবিন ও আলামিন ও অজ্ঞাত নামা আরও একজনসহ পাঁচজন নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে ভোর রাতে বস্তাবন্ধি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

কাঠালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসাক মিয়া বলেন, ‘পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে, তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। তাদের স্থানীয়রা আটকের পর চাঁদার কারণে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’

মাধবদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাওয়ালুম মালিক নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা জানিয়েছে। বাকিরা অন্য কথা বলছে। সবগুলো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×