বিএনপি ও আওয়ামী লীগের যোগসাজশে পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন


December 2024/Sand.jpg

পাবনায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। দিন-রাত এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের পর চলে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এতে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অপরদিকে নদী ভাঙন থেকে শুরু করে বেহাল দশার সৃষ্টি হচ্ছে সড়কগুলোতেও৷ এসব বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের নেতা সুলতান মাহমুদ ও তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির কিছু স্থানীয় নেতাকর্মী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ও দোগাছি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে প্রকাশ্যে উত্তোলন হচ্ছে লাখ লাখ ঘনফুট বালু৷

সূত্র জানায়, ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেখানকার মেম্বার খালেক হোসেন, বিএনপির নেতা মো. সুজন, মামুনুর রশিদ রানা, প্রিন্স হোসেন ও মিলন খান করছেন এ বালু উত্তোলন। এছাড়া, দোগাছি ইউনিয়নে বালু উত্তোলন করছেন বাপ্পি হোসেন, রবি মেম্বার ও রেজাউল৷

এসব বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না স্থানীয়রা। তবে, বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। 

স্থানীয়রা জানান, ভাড়ারা ইউনিয়নে পূর্বে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আবু সাইয়িদ বালু উত্তোলন করতেন। তবে, আওয়ামী লীগ সরকার লাপাত্তার পরেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম।

বর্তমানেও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বালু তুলছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, এসব বালু উত্তোলনকারীরা রাত দিন প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনকে জানালে তারাও এসে তাদের সঙ্গে চা খেয়ে চলে যায় কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

এ দিকে, এসব বালু উত্তোলনকারী মূল হোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এসব বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বালু উত্তোলনকারীরা ভারী অস্ত্রসহ সেখানে থাকেন। তবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×