তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান-এডিসি-ইউএনওসহ ১৫ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা


Jan 2025/Tatiboard.jpg

তাঁত বোর্ডের (বিএসসি কোর্সকে) বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবিতে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ইউএনও, অধ্যক্ষসহ ১৫-১৬ জন কর্মকর্তাকে অবরোদ্ধ করে রেখেছে রেখেছে নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

অবরুদ্ধরা হলেন তাত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকী, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) (অ.দা.) আকরামুজ্জামান, প্রধান হিসাবরক্ষক এবং প্রকল্প পরিচালক (অ. দা.) সুকুমার চন্দ্র সাহা, প্রকল্প পরিচালক (অ. দা.) মো. আইয়ুব আলী, ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. মনজুরুল ইসলাম, পদবি ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষণ) মো. সাইফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা আলম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী করমকর্তা আসমা জাহান সরকার, নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল হকসহ ১৫-১৬ জন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে তাদের অবরোদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে বিকাল পাঁচটার দিকে নরসিংদী তাঁত বোর্ডে ছুটে যান নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী।

শিক্ষার্থীরা জানায়, নরসিংদী তাঁত বোর্ডের (বিএসসি কোর্সকে) বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে তারা দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার দুপরে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিচলনা পর্ষদের একটি সভা করতে নরসিংদী তাঁত বোর্ডে আসেন। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। এ সময় দাবি পূরণের লক্ষ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ একাধিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

খবর পেয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যায়। সন্ধ্যা ছয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত তারা অবরোদ্ধ রয়েছেন।

শিক্ষার্থী স্বর্ণা আলম জানান, গত চার মাস ধরে আমরা তাঁত বোর্ডের চেয়াম্যানের নিকট বিএসসি কোর্সকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।

অপর শিক্ষার্থী কাউছারুজ্জামান জানান, গত চার মাস ধরে তাঁত বোর্ডের অধীনে নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। এর কারণ হল- এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা দেয়ার জন্য কোন শিক্ষক নেই, কোন ল্যাব নেই। এমনকি ৬ বছর পূর্বে এই কোর্সটি চালু হলেও আদৌ এই প্রতিষ্ঠানের কোন উন্নতি হয়নি। যার ফলে, আমরা বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে যেতে চাই। আমাদের দাবি না মানা পযর্ন্ত আমরা অবরুদ্ধ করে রাখব।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×