বরিশালে শিশু সাফওয়ান হত্যা: ইউপি সদস্যসহ ৪ জন কারাগারে
- বরিশাল প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:৪৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঢাকা থেকে দাদাবাড়ি বরিশালে বেড়াতে আসা ৫ বছরের শিশু সাফওয়ান হত্যাকাণ্ডে দুই নারীসহ ৪ জনকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেছেন বিচারক। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নিহতের বাবা ইমরান শিকদার বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলো- নিহতের একই বাড়ির বাসিন্দা রোমান চৌধুরী, তার স্ত্রী আঁখি বেগম ও বোন রাবিনা বেগম ওরফে লাবিনা এবং শরিকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুব আলম বলেন, ‘গ্রেফতার দুই নারীসহ ৪ আসামিকে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালতের বিচারক পরবর্তী তারিখ দিয়ে আসামিদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার অপর আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।’ তবে আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সেক্ষেত্রে আরও তথ্য বের হবে বলে আশা করছেন তিনি।
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখি জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল সাফওয়ান। পরে সাফওয়ানের খোঁজ পড়লে তাকে আর পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। কোনোভাবে সন্ধান না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় শিশুটির দাদা বারেক শিকদার গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকেও সন্ধান চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ওই গ্রামের মান্না ব্যাপারীর বাড়ির পেছনের ডোবায় লাশ দেখে পুলিশে এবং সাফওয়ানের বাড়িতে খবর দেন গ্রামবাসী। সাফওয়ানের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিহত সাফওয়ান ঢাকায় বসবাস করে। ঘটনার দুই দিন আগে দাদাবাড়িতে বেড়াতে আসে। আসামিদের সঙ্গে নিহত সাফওয়ানের দাদার জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাফওয়ানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রাখা হয়।’