ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক নিহত
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৫৫ এম, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফলে সুজন হাওলাদার (৩০) নামে এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ (২৮) ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
সোমববার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরবাদ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সুজন মদনপুরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলি হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। অভিযুক্ত মুঈনুল ইসলাম মিরাজ কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে নিজের অটোরিকশায় বসা ছিলেন নিহত সুজন। এসময় হঠাৎ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের, তার ছোট ভাই মোরসালিন ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি সুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত সুজনের চাচাতো ভাই মিজান উদ্দিন বলেন, সুজন আমাকে ফোন দিলে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমি গিয়ে দেখেছি আমার ভাই রাস্তা পাশে পরে আছেন এবং মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে ছাত্রদল নেতা মিরাজ, সুজন ও মোরসালিসহ ১০ -১৫ জন দেশীর অস্ত্র নিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
নিহত সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার বলেন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের ভাতিজারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমার ছেলেকে মানুষজন সাহায্য করে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছে। অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন সুজন। তারা কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো আমরা জানিনা।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, তার শরীরের ডান পায়ে তিনটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং পিঠের বাম পাশে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
অভিযুক্ত মুঈনুল ইসলাম মিরাজের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, মিরাজ ও তার ভাইসহ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটিয়েছেন। কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। তদন্ত চলছে।