শেখ হেলাল-তন্ময়সহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা


Feb 2025/Helal Tanmoy.jpg

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা  হয়েছে। মামলায় বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সাংসদ শেখ তন্ময়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৩৫ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাগেহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

মামলায় এজাহারে বলা হয়েছে, ‘ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ও ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছোড়ে।’

মামলায় এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ‘ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ও ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।’

‘বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সাংসদ মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভুঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, অওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, আব্দুল কাদের সরদার, হুমায়ুন কবির পলি, সুমন রাহি, মো. ফারুক হোসেন বাদল, দোলন মোল্লা, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন লিটন, ফারুক তালুকদার, নকিব নজিবুল হক নজু।

ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আলমগীর কবির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় অন্তর্ভুক্ত কয়েকজন আসামি ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন।’

তদন্তের স্বার্থে তাদেরও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আলমগীর কবির।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×