ভাঙ্গায় গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার চার
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:২২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের আউড়াকান্দা গ্রামের এজাহার মাতবরের ছেলে সাইদুল মাতবর, আইয়ুব মাতবরের ছেলে ফরিদ মাতবরের, পাঁচু মাতবরের ছেলে সাদ্দাম মাতবর ও নগরকান্দা উপজেলার ঝাটুকদিয়া গ্রামের ইলু খাঁনের ছেলে নাসির খাঁন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থেকে ইজিবাইকে ভাঙ্গায় ফুফুর বাড়ি আসছিলেন। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দা বাসস্ট্যান্ডে নামার পর পাঁচ বখাটে তাকে জোর করে রাস্তার পাশের সরিষা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা পরে দলবদ্ধ গণধর্ষণ করে তারা। ভোররাতে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে সকলে পালিয়ে যায়।
পর দিন (৩১ জানুয়ারি) সকালে জ্ঞান ফিরলে ওই গৃহবধূ সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় স্বামীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে চলে যায়। পরদিন (১ ফেব্রুয়ারি) ফুফুর বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দা গ্রামে এসে ফুফুকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন ওই গৃহবধূ। এরপর ফুফু ওই গৃহবধূর স্বামীকে বিস্তারিত খুলে বলেন।
এরপর বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাঙ্গা থানায় এসে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। রাতেই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য একজনকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।