রাজাকার-রাজাকার গালি দেওয়ার দিন শেষ: মিজানুর রহমান
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৩৪ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ‘রাজাকার-রাজাকার গালি দেওয়ার দিন শেষ। কী দিন আসলো, আল্লাহ আমাদের দেখাইছে। রাজাকার শব্দটি এখন অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে। পরিস্থিতি পাল্টে দিতে আল্লাহর সময় লাগে না।’
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর সামাজিক সংগঠন আল ইসলাম ট্রাস্ট আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মাহফিলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বলে মৌলবাদী। আমরা আসল কথা বলি, ভালো কথা বলি, দেশপ্রেমের কথা বলি, জনগণের কথা বলি, আমরা মা-মাটির কথা বলি, ইসলামের কথা বলি, দেশের সমৃদ্ধির কথা বলি। এ জন্য আমাদের বলে মৌলবাদী। আবার আমাদের বলে ধর্ম ব্যবসায়ী। আমরা ধর্মের কথা প্রচার করি, যেটা দেশের জন্য, জনগণের জন্য ভাল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ইসলামের কথা বলে, কোরআনের কথা বলে তারা ধর্মব্যবসায়ী নয়। খবরদার আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। এদেশের আসল পরিচয় ইসলাম। ধৈর্য এমন এক গাছ, এই গাছের চারদিকে কাঁটা কিন্তু এই গাছের ফল সুমিষ্ট। আপনারা ১৬ বছর ধৈর্য ধরেছেন, ফল দিয়েছে আল্লাহ। বিপদ আসবে, জুলুম আসবে। ধৈর্যধারণ করবেন ফলাফল পেয়ে যাবেন।’
এর আগে মিজানুর রহমান আজহারীকে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানালে দুই হাত উঁচিয়ে উপস্থিতি লাখো জনতাকে শুভেচ্ছা জানান আজহারী।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘আজ এই মঞ্চে বিএনপির প্রিন্স ভাই (বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স) জেলা বিএনপির পুরো টিম নিয়ে এসেছেন। জামায়াতের আকন্দ ভাই এসেছেন। বৈষম্যবিরোধীরাও এসেছে। এতে বুঝা যায় পুরো বাংলাদেশ আজকের এই মঞ্চে। এটা অনেক সুন্দর।’
মাওলানা মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য দেন এটিএন বাংলার আলোচক শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের খতিব মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও কুমিল্লার মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।
প্রসঙ্গত, আজহারীর মাহফিল উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরীতে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়। এতে নগরজুড়ে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সার্কিট হাউজ মাঠসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ২২টি বড় পর্দায় এই মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়াও নগরীর জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে শুধু নারীদের বসার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আজহারীর বক্তৃতা প্রচারের জন্য প্রায় ২ শতাধিক মাইক লাগানো হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলসহ আশপাশের এলাকায়।