মাদারীপুরে ১৯ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
- মাদারীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:০১ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ এলাকা থেকে প্রায় ১৯ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় বিষ্ণু মূর্তিগুলো সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ গ্রামের ইয়াকুর শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দেবরাজ এলাকার ইয়াকুর শেখ নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য দুই দিন ধরে পুকুর থেকে ভ্যেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেন। সেখানে গভীরে খননের সময় মাটি মাখা পাথর সাদৃশ্য জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। পরে তার ভাতিজা উত্তোলন করে পানি দিয়ে ধুয়ে দেখতে পায় এগুলো পাথরের মূর্তি। আস্ত মূর্তির ভাঙা তিন টুকরাসহ মূর্তি বাড়িতে রাখেন। স্থানীয়রা কেউ বলেন কালো পাথর, আবার কেউ বলেন কষ্টি পাথর। তাই কষ্টিপাথর পাওয়া গেছে- এমন খবরে শত শত লোক রাতে কৃষক ইয়াকুর শেখের বাড়িতে ভিড় করে মূর্তি গুলো একনজর দেখার জন্য। এরপরে তারা পুলিশে খবর দেয়। সদর থানার পুলিশ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ছুটে গিয়ে মূর্তিগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কৃষক ইয়াকুর শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ঘর নির্মাণ করার জন্য ভ্যেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় পুকুর থেকে মূর্তিগুলো ভ্যেকুর মাটির সাথে উঠে আসে। এরপরে আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মূর্তি ও টুকরোগুলো থানায় নিয়ে যায়। এগুলো কষ্টিপাথর কি না সেটা যাচাই বাছাই না করে তারা কিছু বলতে পারবে না।’
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে আমরা সদর উপজেলার দেবরাজ গ্রামের ইয়াকুব শেখের ঘর থেকে একটি মূর্তি তিন টুকরো পাথর উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। পাথরগুলো দেখে মনে হচ্ছে কষ্টি পাথরের মূর্তি হবে। তবে এগুলো কষ্টি পাথর কিনা তা প্রত্নতাত্তিক অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে ও পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘মাদারীপুর সদর থানার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ এলাকার ইয়াকুব শেখের বাড়ি থেকে তিন টুকরো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন ১৮ কেজি ৮৮৮ গ্রাম। আসলে এগুলো কষ্টি পাথর কিনা তা এক্সপার্টরা বলতে পারবেন। আমরা প্রত্মতাত্তিক অধিদপ্তরে সংবাদ দিয়েছি। তারা এসে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে যদি বলেন এগুলো কষ্টিপাথর তারপর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো এবং প্রত্নতাত্তিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করব।’