বিয়ের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৭ জনকে কুপিয়ে জখম
- মাদারীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৩২ এম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিয়ের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৭ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যে ঘটেছে এ ঘটনা।
কুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আহতরা হলেন, খামারপাড়া গ্রামের মৃত মানিক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার (৪৫), ওয়াজেদ হাওলাদারের ছেলে এরশাদ হাওলাদার (৩৫), রতন খানের ছেলে শহিদুল খান (৪০), দেলোয়ার বেগের ছেলে কালাচান বেগ (২২), তাজেল হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (৩২), মৃত মানিক মাতব্বরের ছেলে মান্নান মাতুব্বর (৬৫) ও মৃত গফুর মাতব্বরের ছেলে জালাল মাতব্বর (৬৫)। তাদেরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি শিশু ধর্ষণের মামলা নিয়ে শহীদুল খানের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মেম্বার রফিকুলসহ তার লোকজন। একপর্যায়ে ক্ষমতাবলে মামলাটি মিমাংসা করলেও আক্রোশ কাটেনি তাদের। শুক্রবার শহীদুলের চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে রফিকুল সহ তাদের সকল লোকজনকে দাওয়াত করা হয়। এসময় তারা দাওয়াত ফিরিয়ে দেন এবং তারা নিজদের মধ্যে গরু কেটে খাওয়া-দাওয়া করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শহীদুলের চাচাতো ভাইয়ের শশুরবাড়ির লোকজন আসলে সেই অনুষ্ঠানের মাঝে মেম্বার রফিকুল ও সালাম হাওলাদারসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এ সময় শহীদুল সহ ৭ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শহিদুল খান বলেন, “আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে মেম্বার রফিকুল সহ তাদের বাড়ির সকলকে দাওয়াত দিছি। কিন্তু তারা আমাদের দাওয়াত ফিরিয়ে দিয়ে গরু কাইটা খাইছে। এরপর আবার আমাদের অনুষ্ঠান নষ্ট করার জন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে আমাদের উপর হামলা চালাইছে। এখন আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলাম। সেই মামলা আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে মিটাই ফেলাইছে। সেই জেরেই এই হামলা করেছে।”
এ ব্যাপারে হসপিটাল ইনচার্জ এএসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় আহত ৭ জন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।