বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ না নেওয়ায় ওসি প্রত্যাহার
- নাটোর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৪২ এম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ না নেওয়াসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বড়াইগ্রাম থানা পরিদর্শনে এসে সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করেন।
মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় সেবা নিতে গিয়ে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও বিষয়টি তিনি (ওসি) সঠিক সময়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাননি। পুলিশের কাছে সেবা না পাওয়া দায়িত্ব অবহেলা। এ কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের কাছে বিষয়টির কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে এবং সাময়িকভাবে তাকে নাটোর পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
বিষয়টি তদন্ত করা হবে উল্লেখ করে ডিআইজি বলেন, ‘তদন্তে অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও যৌন হয়রানির ঘটনার তিন দিন পর মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় বাসের এক যাত্রী মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে বলেন, ‘সকালে বাসযাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে এই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
এর আগে, গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। এ সময় ডাকাতি ছাড়াও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা।
ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।