মাদারীপুরে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ মন্টু শরীফের
- মাদারীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:১২ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৫

মাদারীপুরে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ভূমিদস্যু মন্টু শরীফ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জমির প্রকৃত মালিক ও ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে শহরের কলেজ রোড এলাকার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
প্রচারিত সংবাদে সমাজসেবক মন্টু শরীফকে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘৪০ শতাংশ জমির ৩২০/৩২১/৪১ নম্বর দলিল মূলে মালিক নুরুননেছা খানমের নিকট থেকে ১৯৯৪ সালের (৭ ফেব্রুয়ারি) ২০ শতাংশ জমি ৫৩৮ নম্বর হেবা দলিল মূলে কিনেন আমার মা জাহানারা বেগম। ওই জমি ২০০৭ সালে ৯ জানুয়ারি কিনেন শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টু শরীফ। যার দলিল নম্বর -৫২/৫৬ এবং শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টুর নামে বিআরএস রেকর্ড ভুক্ত।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন মন্টু দপ্তরী বলেন, ‘যে জমি লন্ডন প্রবাসী মোফাজ্জল হোসেন গং বায়না সূত্রে নিজের বলে দাবি করছেন, সেই ৮৮ শতাংশ জমির মূল মালিক এন্তাজ উদ্দিন মুন্সী। ২০৯৬/৪৫ নম্বর দলিল মূলে মালিক আব্দুর রশিদ দপ্তরীর ২২ শতাংশ, আব্দুল কাদের দপ্তরীর ২২ শতাংশ, আমার দাদা আব্দুল মজিদ দপ্তরীর ২২ শতাংশ ও আব্দুর রহমান দপ্তরীর ২২ শতাংশ।’
জাকির হোসেন আরো বলেন, ‘আব্দুর রশিদ দপ্তরী তাঁর ২২ শতাংশ জমি এবং আব্দুর রহমান দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি তাদের সর্বমোট ৪৪ শতাংশ জমি তৎকালিন সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের নামে দান করেন এবং আব্দুল কাদের দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি আবুল হোসেন মৃধার নিকট বিক্রি করেন।’
তিনি জানান, আমার দাদা আব্দুল মজিদ দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি তার বড় ছেলে অর্থাৎ আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরীর নামে ১৯৫৭ সালে রেকর্ডভুক্ত করে দেন যাহা এসএ এবং বিআরএস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি হইতে ৪ শতাংশ জমি শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টু গংয়ের কাছে ২০০০ সালে বিক্রি করেন। বাকি ১৮ শতাংশ হতে ১৪ শতাংশ জমি ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট শরিফ মনোয়ার হোসেন মন্টুর সাথে বায়না চুক্তিপত্র করা হয়। কাজেই শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টু যে জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়েছে তা কোনো প্রকার ক্ষমতার অপব্যবহার বা জোরপূর্বক নয়।’
জাকির হোসেন আরো জানান, সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজের দানকৃত ৪৪ শতাংশ জমি প্রফেসর মোবারক হোসেন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কলেজের উক্ত সম্পত্তি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে নিজ নামে আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎকৃত সম্পত্তি হতে ১৪ শতাংশ জমি মোবারক হোসেন পুনরায় মোফাজ্জল হোসেন গংয়ের নিকট বিক্রি করেন। মোফাজ্জল হোসেন গং ওই সম্পত্তি মোবারক হোসেনের কাছ থেকে বুঝে না নিয়ে আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরীর নিষ্কণ্টক জমিতে আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা গত সরকারের আমলে বারবার দখল নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম হারুন অর রশিদ, মাদারীপুর অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম শাহজাহান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. মহিউদ্দিন হাফিজ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন শরীফ, ব্যবসায়ী নেতা খোকন বেপারী।