সৈয়দ চাষনী পীরের মাজারে দেখা মিলে ক্ষুদার্থ বানরের
- সিলেট প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫৯ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৫

৩৬০ আউলিয়া নিয়ে সফর করেন হযরত শাহজালাল (র.)। সফর সঙ্গী হিসেবে সিলেট আসেন সৈয়দ চাষনী পীর (র.)। তিনি ছিলেন ভূ-তত্ত্ববিধ অর্থাৎ মৃত্তিকা বিজ্ঞানী। হযরত শাহ জালালের (র.) সফর সঙ্গীগণের মধ্যে অন্যতম সহচর। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আসার সময় মামা হাতে মাটি দিয়া বলেছিলেন, তুমি পূর্ব দিকে যেতে থাকবে। যে স্থানে এই মাটির সমান বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদের মাটি পাবে সেই স্থানে তোমার ধর্ম প্রচার শুরু হবে এবং সেখানেই তোমার স্থায়ী বাসস্থান নির্ণয় করবে এবং যে স্থানে এই এক মুটো মাটি ফেলবে সেই স্থানের মহত্বের সীমা থাকবে না। হযরত চাষনী পীরের আসল নাম আজও খুজে পাওয়া যায়নি। তিনি জিহবা দ্বারা মাটি চুষিয়া পরীক্ষা করতে পারতেন। যার কারনে তিনি চাষনী পীর নামে পরিচিত। তিনি পরিচয় করে ছিলেন সিলেটের মাটি পবিত্র মক্কা নগরীর মাটির মিল রয়েছে।
নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়াইটুলা এলাকারটিলার উপর চিরশায়িত হযরত চাষনী পীর (র.)। তার মাজার শরিফ অনেক বছরের পুরনো হলেও প্রতিদিন এখানে মাজার জিয়ারত করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। মাজারে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। যুগ যুগ ধরে মাজারের চার পাশেই অর্ধ শতাধিকের মতো বানর খাবারের সন্ধানে ২৪ ঘন্টা অবস্থান করেন। দূর দুরান্ত থেকে মাজার জিয়ারত করতে আসা অনেকেই এখনে এসব বানরদের খাবার দেয়। ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ এই বানরদের খাবার খাওয়ান। বন ভূমি উজাড় হওয়ার ফলে লোকালয়ের দিকে ঝুকছে এসব বানরেরা। তবে চাষনী পীরের মাজারে কয়েক যুগ থেকেই এসব বানর আশ্রয় পেতেছে। চারিদিকে নিরিবিলি পরিবেশের সাথে বানরের খুনসুটি যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেয় এ অঞ্চলের।
সিলেটে ঘুরতে আসা অনেকেই প্রতিদিন এই মাজার জিয়ারত করে যান। সেই সাত মাজারের চারপাশে ঘুরতে থাকা এসব বানরকে খাবার খাইয়ে আনন্দ উপভোগ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।
মাজার জিয়ারতে আসা শিউলী আক্তার নামের পর্যটক বলেন, ‘সিলেটে বেড়াতে এসে মাজার জিয়ারত করতে এসেছি। এখানে আসার পর অনেক বানর দেখতে পেলাম। খুব ভালো লাগছে চার পাশের পরিবেশ দেখে।’
এ বিষয়ে মাজারের দায়িত্বে থাকা মোতাওয়াল্লী আব্দুর রব রউজ বলেন, ‘৩৬০ আউলিয়ার সফল সঙ্গী হযরত সৈয়দ চাষনী পীর। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ মাজার জিয়ারত করতে আসেন। বন ভুমি উজাড় হওয়ার ফলে এখানে অনেক আগে থেকেই বানরের বিচরণ। কর্তৃপক্ষ যদি একটু নজর দিয়ে আরেকটু সংস্কারের ব্যবস্থা করতেন তাহলে ভালো হতো।’