সিলেটে সেহরিতে মসজিদের মাইকে ডেকে মুসল্লীদের ঘুম ভাঙানোর রেওয়াজ পুরনো


March 2025/Sylhet Sehari.jpg

‘সেহরির সময় অইগেছে, আপনারা উঠিযাউক্কা’- রমজান মাসে প্রতিদিনই সেহরির ঠিক আগ মুহুর্তে মসজিদের মাইকে এমন আহ্বান শোনা যায় পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রামে গঞ্জে। কে কাকে কার আগে ঘুম থেকে সেহরির জন্য জাগিয়ে তুলবে- এ যেন এক মধুর প্রতিযোগিতা। ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটে প্রতি বছর এমন চিত্র যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেয় শেখায় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাবোধ। 

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পহেলা রমজানকে ঘিরে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর চারপাশে যেন রমজানের সুঘ্রাণ বইছে। মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ে মুসল্লীদের ঢল নামে। অনেকেই তৃপ্তি নিয়ে নামাজ পড়ে বাসায় ফিরেছেন। 

মসজিদে মসজিদে মাইকে সেহরি থেকে ডাকার রেওয়াজ বেশ পুরনো। বিশেষ করে গ্রামের মসজিদগুলোতে মসজিদে মাইকে দূর থেকে গ্রামের লোকদের ঘুম থেকে সেহরির জন্য জাগিয়ে তোলা হতো। যখন মোবাইলে এলারাম কিংবা প্রযুক্তি ছিলোনা তখন এক মাত্র মসজিদের মাইকের আওয়াজই রোজাদারদের শেষ ভরসা ছিলো। 

তবে যুগ যুগ ধরে প্রযুক্তিতে ভর করে সব কিছু এগিয়েছে। শুধু এগোয়নি পুরনো রেওয়াজ মসজিদের মাইকে ডেকে সেহরিতে ঘুম ভাঙানের প্রথাটি। সিলেট নগরের বাসিন্দাররা এই রেওয়াজটি বেশ উপভোগ করেন। শহরের চাকচিক্যময় বেড়াজালে এ যেন গ্রামের এক শীতল ছোঁয়া। 

আব্দুল হাসেম নামের ফার্মেসী ব্যবসায়ী বলেন, ‘ছোট বেলায় যখন গ্রামে ছিলাম আমাদের সেহরির সময় ঘুম থেকে না উঠানোর জন্য কতকি না করা হত। তবে যখন মসজিদের মাইকে ডাক শুনতাম বুঝতে পারতাম, এই বুঝি সেহরির সময় এলো। এখন আমার বাচ্চাকাচ্চারাও এটি ভিষণ উপভোগ করে।’

আব্দুল মালেক নামের একজন বলেন, ‘সেহরির সময় মসজিদের মাইকে ডেকে তোলার যে রেওয়াজ, এটি আমরা ভীষণ উপভোগ করি। যুগ যুগ ধরে বহমান এই রেওয়াজটি যেন চলমান থাকে এটাই কামনা।’

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×