হাঁসে পাড়া কালো ডিমে এলাকায় চাঞ্চল্য
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:০৯ পিএম, ০৬ মার্চ ২০২৫

সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে যে কৌতুহল জনমনে, সেই কৌতুহল নিয়েই পাতি হাঁসের পাড়া কালো ডিম নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একটি দেশি পাতি হাঁস কালো রঙের কয়েকটি ডিম পেড়েছে এমন খবরে এলাকায় তৈরি হয়েছে কৌতুহল।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার সরদার ডাঙ্গী গ্রামের মো. ইয়াছিন সরদারের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
পরিবার থেকে জানা যায়, এক বছর আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলেন ইয়াছিন সরদারের স্ত্রী হামিদা আক্তার। সবগুলো হাঁস স্বাভাবিক রঙের ডিম দিলেও গত কয়েক মাস আগে থেকে একটি হাঁস হঠাৎ করে কালো রঙের ডিম পাড়া শুরু করে। প্রথমে এই ডিম দেখে তারা অবাক হয়ে যান। সাপ অথবা অন্য প্রাণির ডিম ভেবে কাউকে না জানিয়ে রেখে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে ওই বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দুরন্ত থেকে আগত লোকজনের সমাগম ঘটছে।
গৃহবধূ স্ত্রী হামিদা আক্তার জানান, প্রায় এক বছর আগে পাশের বাড়ির এক ভাবীর কাছ থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলাম। এর মধ্যে একটি হাঁস কয়েক মাস আগে ৩/৪ টি কালো রঙেয়ের ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ গাঢ় কালো দেখে মনে করি এটা অন্যকোন প্রজাতির ডিম। গত কয়েকদিন আগে আবার পরপর ৪/৫টি ডিম পাড়ে। তখন ডিমগুলো মানুষদের দেখালে এলাকায় আশপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে হামিদার স্বামী ইয়াছিন সরদার জানান, কালো রঙয়ের ডিম দেখে প্রথমে অবাক হয়েছি। হাঁসটি কালো রঙয়ের ডিম ছাড়া সাদা ডিমও পাড়ে। এক বছর বয়সী হাঁসটি সাদা রঙয়ের ডিমের পাশাপাশি গত কয়েক মাসে মোট ৮/৯টি ডিম পেড়েছে। ডিম নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার স্মরণাপন্ন হলে তিনি বলেন এটি খাওয়া যাবে এবং এর গুণগত মান স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। পরে একটি ডিম রেখে সবগুলো খেয়ে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী মজুমদার জানান, প্রাণিদেহের বিলিভার্ডিন কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রঙ নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। এ ছাড়া জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময়ে গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রঙ কালো হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কালো রংয়ের এ ডিম খেতে কোনো সমস্যা নেই। জেনেটিক কারণে হাঁসের ডিমের রঙ কালো হতে পারে।