চট্টগ্রামে ‘ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ চালু
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০২:২৭ পিএম, ০৭ মার্চ ২০২৫

জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করল “প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”। রমজান উপলক্ষ্যে চালু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে।
সিটির চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনে শুক্রবার (৭ মার্চ) আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিকের মেয়র শাহাদাত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, রাজনীতিবিদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ।
অনুষ্ঠান ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, ‘আমাদের শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা। আমরা জানি, নালা ও ড্রেনগুলো প্লাস্টিকের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে- যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসাথে করা যায়। তাই, ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ক্লিন বাংলাদেশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কারণ এটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নগর পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বাস্তবসম্মত সমাধান দিচ্ছে। আমরা চাই, এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হোক এবং নগরবাসী প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আরও সচেতন হোক।’
রমজান মাসব্যাপী প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের সামনে এই কার্যক্রম চলবে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে চনা, ছোলা, খেজুর, ছিড়া, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিতে পারবেন সাধারণ জনগণ।
এই আয়োজন সফলভাবে পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত ও টিম লিড করছে ইমন, আলভি, জাহিদ, প্রমি, তানজিফা। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে কাজ করছে সাকিব, ইয়াজ, মুনতাসির, পার্থ।
ক্লিন বাংলাদেশ আশা করছে, এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।