প্রিজন সেলে সাবেক কাউন্সিলরের সঙ্গে আ. লীগ নেতাদের বৈঠক
- খুলনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৪১ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৫

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে কারাবন্দি খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কেসিসির ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খালিদ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে বৈঠকের বিষয়টি সাংবাদিকদের চোখে পড়ে। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের ছবি তুলতে গেলে তারা খুলনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খুলনা গেজেটের দুই সাংবাদিককে নাজেহাল করে। পরে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনেই গাড়িতে করে চলে যান।
গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর খালিশপুর থানার পদ্মা অয়েল রোডে খালিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় খালিদ একতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন তার ডান পা ভেঙে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়।
বুধবার দুপুরে প্রিজন সেলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনাম মুন্সি, খালিদের চাচা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ ফরহাদ হোসেন প্রিজন সেলের ভেতরে খালিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। প্রিজন সেলের মূল ফটকে তালা ঝোলানো। বাইরের গেটে পাহারা দিচ্ছেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরুল ও ডিম সোহেল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনাম মুন্সির বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় একটি এবং খালিশপুর থানায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৪টি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক তানভীর আহমেদ বলেন, তালা দেয়া প্রিজন সেলের প্রধান ফটকের সামনে যুবকের জটলা দেখে আমরা এগিয়ে গেলে তালা খুলে এনাম মুন্সি ও ফরহাদ বের হয়ে আসেন। ভিডিও করার সময় উপস্থিত কর্মীরা আমাদের নাজেহাল করার চেষ্টা করেন।
প্রিজন সেলের ভেতরে এক আসামির সঙ্গে অন্য আসামিদের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সেলের ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন বলেন, ‘আমি পুলিশ লাইনসে একটি কাজে গিয়েছিলাম। রেজাউল নামে এক কনস্টেবল দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার আজম খান বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।