আ.লীগে এমপির বাড়ি দখল করা সেই ‘নারী সমন্বয়ক’ আবারও রিমান্ডে
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:১১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৫

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয় দানকারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির আবারও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
চার দিনের রিমান্ড শেষে মারইয়াম মুকাদ্দাসকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খাঁন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মারইয়ামের পক্ষে জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন ও সিরাজুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন। তারা মারইয়ামের জামিন চান। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটি গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ জানান, সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখল ও চাঁদা দাবির উদ্দেশে, বিদেশ গমনের কারণসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই তাকে আবার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
গত ৮ মার্চ শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ির তালা ভেঙে মারইয়াম প্রবেশ করেন। সেখানে প্রায় ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষ উঠিয়ে দেন। ওই বাড়িটিতে ‘পাগলের আশ্রম’ চালুর ঘোষণা দেন। পরে রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই বাড়ি খালি করে। পরে মিষ্টি প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
এ ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা রবিবার (৯ মার্চ) রাতে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিষ্টি তার কিছু অনুসারী নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়
ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্য প্রয়াত ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ও সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই বাড়িগুলোর সব মালামাল লুটপাট হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করারও ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর দখল করে বৃদ্ধাশ্রম, পাগলের আশ্রম, এতিমখানা করা হবে বলে মিষ্টি জানিয়েছিলেন।