নাটোরে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত পাঁচ
- নাটোর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:২১ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২৫

নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার নাজিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা নাটোর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাতে টহল দেওয়ায় বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় জামায়াতের পক্ষ থেকে মামলা হলেও যুবদলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে যুবদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, হামলার ভয়ে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না তারা।
আহতরা হলেন-নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল (৪০), বিএনপিকর্মী হারুন (৩৬) ও জামাল হোসেন (৪৫)। অপরদিকে জামায়াত কর্মী সোহাগ আহমেদ (৩০) ও কামাল হোসেন (৩২)।
নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হামিদুর রহমান সবুজ বলেন, ‘গত শুক্রবার নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ইফতার মাহফিলের গণসংযোগ করছিলেন জামায়াতকর্মী আব্দুর রহিম, সোহাগ আহমেদ ও কামাল হোসেন। একপর্যায় নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুলের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বিষয়টি সমাধান করা হলেও কিছু সময় পরে বিপুল তার জনবল নিয়ে সোহাগ ও কামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারপর দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে জামায়াতের দুই কর্মী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
সব অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল বলেন, ‘নাজিরপুর বাজারে আমার ‘বিপুল খেলাঘর’ নামের একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য করি। প্রতিবেশি ডা. আব্দুর রহিম আমার দোকানের কর্মচারীকে প্রায় সময় মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে আব্দুর রহিমের সঙ্গে কথা বলছিলাম আমি। হঠাৎ সে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে মারধর করতে থাকে। আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টির সমাধান করে দেয়। কিন্তু রহিম ইফতার পার্টির গণসংযোগে বাধা দেওয়ার মিথ্যা কথা বলে তার দলের লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে প্রায় ২৫০-৩০০ লোক হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার এবং আমার সঙ্গে থাকা আরও দুই বিএনপি কর্মীর ওপর হামলা চালায়।’
যুবদলের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘তাদের আক্রমণে ঘটনাস্থলেই আমরা তিনজন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই। বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা আমাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়। পরে জামায়াত নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘এক পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’