কর্মীদের ঐক্যে জাসদের পুনর্জাগরণ ঘটবে, মতবিনিময়ে বক্তারা
- বরিশাল প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:২৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৫

জাসদের পুনর্জাগরণের জন্য আগে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এমনটি সম্ভব হলে কর্মীদের ঐক্যের জাসদে ফিরতে নেতারা বাধ্য হবেন। শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে বিভাগের ছয় জেলার জাসদ নেতাকর্মীর মতবিনিময় সভায় এ অভিমত দেন বক্তারা। তারা বলেন, গ্রাম পর্যায়ে ত্যাগী নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। প্লাটফর্ম সিদ্ধান্ত দেবে আগামীতে কারা জাসদকে নেতৃত্ব দেবে।
‘আমাদের লক্ষ্য, জাসদের ঐক্য’– স্লোগানে বিভাগীয় শহরে গিয়ে প্রান্তিক নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইয়ের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান।
তিনি বলেন, ‘জাসদ আদর্শিক দল। ব্যক্তির কারণে দল ভাঙলেও আদর্শ ঠিকই রয়েছে। আমরা কেউ আর ব্যক্তির জাসদ করব না। নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য আমি এ উদ্যোগ নিইনি। সিরাজুল আলম খান জীবিত থাকতে আমাকে জাসদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছেন। লন্ডনের বিলাসী জীবন ছেড়ে আমি তাঁর স্বপ্ন পূরণে ঐক্যবদ্ধ জাসদের জন্য কাজ করছি।’
ব্যারিস্টার ফারাহ বলেন, ‘এখনও জাসদের অনেক নেতা ঐক্যের বিরোধিতা করছেন। তারা সবমিলে ২০ জনের বেশি হবে না। কিন্তু কর্মীরা ঐক্য চাচ্ছেন। তাদের ঐক্যেই জাসদের পুনর্জাগরণ ঘটবে।’
পটুয়াখালী জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক এমপি সরদার আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণকারীরা জাসদ নিয়ে তাদের সুখ- দুঃখের স্মৃতি তুলে ধরেন। শুধু নেতৃত্ব দখলের জন্য নেতারা বার বার জাসদ ভেঙেছেন। জাসদের পদ ব্যবহার করে মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। জাসদের জন্য শহীদ ২২ হাজার নেতাকর্মীর পরিবারের খোঁজ নেননি বলে মত দেন তারা।
পটুয়াখালীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ দুলাল জানান, দলের বিভাজন তাঁকে জাসদ করতে দেয়নি। ছাত্রলীগের সোনালি দিন শেষ করে যখন জাসদ করার সময় হয়েছে, তখনই দল ভেঙে ব্র্যাকেট বন্দি হয়েছে।
জাসদের আরেক কর্মী মনোতোষ সিকদার বলেন, ‘জাসদ পুনর্গঠন করতে হলে জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কোনপন্থায় রাজনীতি করবেন। সমাজতন্ত্র নাকি বামপন্থি ঘরনার?’
ঝালকাঠির জাসদ কর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, জাসদ কর্মীরা অন্য দলে যোগ দিলে তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। জাসদ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। যারা অন্য দলে গেছেন, তারা কেউই ভালো নেই। এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাসদ নেতা শহিদুল ইসলাম মিরন।