চুয়েটে ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকে বহিষ্কার
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:১৯ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তির জবাব এবং শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন– চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান জিহাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই বছরের জন্য ও আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন– সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহ-সভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।
এ ছাড়া তিন শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম এবং স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন– সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক। তবে এ তিনজন যদি তাদের আইনসম্মত অভিভাবকের উপস্থিতিতে ১০ এপ্রিলের মধ্যে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে অংশগ্রহণ করবে না মর্মে মুচলেকা দেয়, তবে তাদের ১ বছরের একাডেমিক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে এ বহিষ্কারাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরও দুইজনকে কেবল সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন- চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।
এ বিষয়ে চুয়েট ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী এবং ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শাতে বলা হয়। তাদের জবাব এবং অভিযোগের বিপরীতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের আলোকে শৃঙ্খলা কমিটি এসব শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।